Posts

Showing posts from September, 2009

পুজো

Image
ইনি হচ্ছেন কলম্বাস, ওহায়োর বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের মা দুর্গা। এঁরই ছুতো করে গত শনিবার আমরা সুটকেস ঘেঁটে তাঁতের শাড়ি, ফ্যাবইন্ডিয়ার পাঞ্জাবি, বাটিকের ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগ আর কোলাপুরি চটি ধুলো ঝেড়ে পরে বেরিয়েছিলাম। আকাশে ঘন কালো মেঘ আর দিনভর ঘ্যানঘেনে বৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও। প্রদীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকানোর যে পর্বটা থাকে, আমদের বেলায় পুজো দেখতে যাওয়ার আগের সেই পর্বটা হচ্ছে চাঁদা নিয়ে দরাদরি। এই অনাদিঅনন্তকাল ধরে চলতে থাকা ছাত্রাবস্থা, বছরের এই সময়টুকুতেই যা একটুখানি মাইলেজ দেয়। গরিব গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টদের জন্য দয়ালু কর্তৃপক্ষ চাঁদা কম ধার্য করেন। যাতে আমরা দোল বেঁধে গিয়ে মাসরস্বতীর পায়ে বই ঠেকিয়ে আসতে পারি। চুল বাঁধতে বাঁধতে, শাড়ির কুঁচি ঠিক করতে করতে, রং মিলিয়ে লিপস্টিক পরতে পরতে আর একখানা পাঞ্জাবি গলিয়েই যাদের সাজ কমপ্লিট সেই ছেলেছোকরাদের গালি খেতে খেতেই বেলা এগারোটা। ঊর্ধ্বশ্বাসে পুজোর ভেনুতে পৌঁছে দেখি তক্ষুনি সেকেন্ড ইন্সটলমেন্টের অঞ্জলি জাস্ট শুরু হয়েছে। মাদুর্গাকে মনে মনে মনে থ্যাংকস দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ি। কলকাতা বা কলম্বাস, পুজো যেখানকারি হোক না কেন, কোনওখানেই মা

সত্যিমিথ্যে

আজ সকালে মাকে আবার একটা মিথ্যে কথা বললাম। অকারণেই। একটা কাজ করব বলে অনেকদিন আগে ঠিক করে রেখেছিলাম, সেই খবরটা এমন ভাবে দিলাম যেন এই এক্ষুনি মাথায় এল। কথাটা অতি সামান্য কিন্ত ভয় হয়েছিল শুনলেই বুঝি না করে দেবে। আমার ভয় মিথ্যে প্রমাণিত করে বাবামা অত্যন্ত স্বাভাবিক মানুষের মতো আচরণ করলেন এবং আপত্তির ধারপাশ দিয়ে গেলেন না। মিথ্যে বলার মানসিক চাপটা আমি অকারণই নিলাম। চাপ বইকি। মনের জোর কম বলেই হোক, অথবা স্মার্টনেসের অভাব – মিথ্যে বলতে গেলে এখনও কথা জড়িয়ে যায়, ফোন কানে পায়চারির গতিবেগ বাড়ে, গলা মুদারা ছেড়ে উদারায় নেমে যায়। অথচ আমি মোটামুটি নিয়মিত মিথ্যে কথা বলে থাকি। সবথেকে বিরক্তিকর ব্যাপারটা হচ্ছে, যে বিষয়গুলো নিয়ে আমি মিথ্যে বলি সেগুলো এতই হাস্যকর রকমের ছেঁদো যে পরে ভেবে দেখলে নিজেরই হাসি পায়। এমপিরিক্যাল কাজকর্ম করে থাকি, ডেটা আমার শালগ্রাম শিলা। সার্ভে করে দেখেছি, আশেপাশের সবাই মিথ্যে বলার ব্যাপারটা স্বীকার করেছে। কিন্তু স্ট্রিক্টলি মহৎ উদ্দেশ্যে। মৃত্যুপথযাত্রী বাবাকে কারগিল যুদ্ধে সন্তানের মৃত্যুর খবর দেওয়ার সময় অথবা দাঙ্গা চলাকালীন সংখ্যালঘুকে বাড়ির ভেতর লুকিয়ে রাখার সময় ছা

গৌরচন্দ্রিকা

নতুন করে বলার কিছু নেই। খুব চেনা একটা পরিস্থিতি। অনেক কিছু করার আছে, কিন্তু করার ইচ্ছে নেই। পুরোনো খেলনাগুলোতে ধুলো পড়েছে, ভেঙেচুরে গেছে, অথবা তাদের থেকে আমার মন উঠে গেছে অকারনেই। তাই এই নবতম খেলনার আমদানি, ব্লগিং। ঋতুপর্ণ ঘোষ কোথাও একটা ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, তিরিশ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষের নামের প্রতি একটা মোহ থাকে। আমি অবশ্য মনে করি ব্যাপারটা যত না মোহের, তার থেকে বেশি টেনশনের। নাম নিয়ে এই টেনশনটা দুভাবে থাকতে পারে। হয় সে নিজের নাম সবাইকে জানাতে চায়, নয় সর্বক্ষণ সেটা আড়াল করতে চায়। একটা সময় পর্যন্ত যেমন আমি নিজের জন্য হন্যে হয়ে নিজের জন্য একটা পছন্দসই ছদ্মনাম খুঁজতাম। খ্যাতনামা হওয়ার স্বপ্নটা তখনও ছিল, তা বলে স্বনামে খ্যাত হওয়াটা ছিল দুঃস্বপ্ন। ঋতুপর্ণের কথা সত্যি করে, নামের টেনশন আমার ঘুচে গেছে, অথবা যাচ্ছে বলা ভালো। স্বনামে খ্যাত হতে আমার আর কোনও আপত্তি নেই, বরং বেশ উৎসাহ আছে। তিরিশ ঘনিয়ে আসছে, পনেরোও যেগুলো হবে না বিশ্বাস করতে পারতাম না, এখন তার দশ শতাংশও সত্যি হলে নিজেকে চিমটি কেটে দেখতে হবে। তাতে অসুবিধে কিছু নেই, কারণ আমার সুবিধেবাদী মন নিয়ত পুরোনো অ্যাম্বিশনগুলো