Posts

Showing posts from June, 2012

সাপ্তাহিকী

Image
The Neverending Commute by Jamie Beck Above all, be the heroine of your life, not the victim.                                                                   Nora Ephron (1941-2012) আপনি কাউকে পোস্টে সবথেকে অদ্ভুত কী পাঠিয়েছেন? মেলের আমি মেলের তুমি, মেল দিয়ে যায় চেনা। অবিকল আমার বর্ণনা। পিন গোঁজাও হল, প্রতিশোধ নেওয়াও হল। সিমেট্রি। আমার প্রিয় জিনিস। যারা বোস হেডফোন কিনবেন বলে পণ করেছেন তাঁদের জন্য আমার সাবধানবাণী। অবশেষে সত্যিটা মুখের ওপর বলার সৎসাহস হল কারো। সবশেষে এ সপ্তাহের গান। শোনার পর যদি অন্তত একঘণ্টা মাথার ভেতর না গুনগুন করেছেন তো আমার নাম নেই। 

সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট#৩ - প্রেম না নারীস্বাধীনতা?

টাইমস স্কোয়্যারে লভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট হওয়ার একই গল্প একশো পঞ্চান্ন বার শোনা কিংবা বিচের ধারে একশো পঞ্চান্ন রকম ভঙ্গিতে তোলা আলিঙ্গনাবদ্ধ ছবি দেখার থেকেও অস্বস্তিকর যদি কিছু থেকে থাকে সেটা হল বন্ধুদের প্রেম ভেঙে যাওয়ার সাক্ষী থাকা। অস্বস্তিকর এবং বেদনার। সামনে থেকে একজন পছন্দের মানুষকে যন্ত্রণা পেতে দেখা সবসময়েই কষ্টকর। তাও আবার অকারণে। ডাক্তারের চেম্বারে ব্যথার চার্ট টাঙানো থাকে দেখেছেন? এক থেকে দশ পর্যন্ত ব্যথা অ্যাসেন্ডিং অর্ডারে সাজানো? পেটব্যথা মাথাব্যথা হাঁটুকনকন যতরকম সমস্যার জন্য আমাকে যখনই ডাক্তারখানায় যেতে হয়, ডাক্তারবাবু যতবারই আমাকে চার্ট দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করেন কতখানি ব্যথা করছে, আমি সর্বদা দশ নম্বর ব্যথার স্মাইলিটা দেখিয়ে দিই। ডাক্তারবাবু প্রতিবারই অবিশ্বাসী মুখ করে আমার দিকে তাকান কিন্তু আমার খালি মনে হয় এর থেকে কম ব্যথা করছে বললে যদি সিরিয়াসলি না নেয়? প্রেম ভেঙে যাওয়ার ব্যথাটা হচ্ছে চার্টের এক নম্বর ব্যথা। বিশ্বাস করুন আমি একটুও কমিয়ে বলছি না। যতদিনেরই পুরনো প্রেম হোক না কেন, যত মেড ইন হেভেন প্রেমই হোক না কেন, জীবনের বেশির ভাগ ট্র্যাজেডিই প্রেমে ব্

A Word on Statistics

by Wislawa Szymborska Translated from Polish by Joanna Trzeciak Out of every hundred people, Those who always know better: fifty-two. Unsure of every step: almost all the rest. Ready to help, if it doesn't take long: forty-nine. Always good, because they cannot be otherwise: four -- well, maybe five. Able to admire without envy: eighteen. Led to error by youth (which passes): sixty, plus or minus. Those not to be messed with: four-and-forty. Living in constant fear of someone or something: seventy-seven. Capable of happiness: twenty-some-odd at most. Harmless alone, turning savage in crowds: more than half, for sure. Cruel when forced by circumstances: it's better not to know, not even approximately. Wise in hindsight: not many more than wise in foresight. Getting nothing out of life except things: thirty (though I would like to be wrong). Balled up in pain and without a flashlight in the dark

চেনেন নাকি?

Image

টিফিন খেতে খেতে

পৃথিবীর সমস্ত লোককে দুটো পরিষ্কার শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। একদল দল বেঁধে টিফিন খায়, আরেকদল খায় একা একা। আজকের অবান্তরের পোস্ট টিফিন নিয়ে। ঠিক টিফিন নিয়ে নয়, টিফিন খাওয়ার সময়টুকু নিয়ে। ছোটবেলায় যেটাকে টিফিন পিরিয়ড বলত। আমাদের স্কুলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পিরিয়ড ছিল টিফিন পিরিয়ড। বাংলা ইংরিজি অঙ্কও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাছাড়াও স্বাতীর কাছে ভূগোলের ক্লাস জরুরি ছিল ধরে নিচ্ছি কারণ স্বাতী এখন ইস্কুলের বাচ্চাদের ভূগোল পড়ায়। দেবাঞ্জলির কাছে জীবনবিজ্ঞান দরকারি ছিল নিশ্চয় কারণ দেবাঞ্জলি এখন বাচ্চা বুড়ো সবার জিভ টেনে, নাড়ি টিপে, পেটে টোকা মেরে পরীক্ষা করে দেখে কার শরীরে কী গোলমাল ঘটেছে, সেই বুঝে তাদের ধরে ধরে বিষতেতো ওষুধ গেলায়। অদিতির বাংলা কাজে লেগেছে, তনুর ইংরিজি কাজে লেগেছে, সোমদত্তার ইতিহাস, শতরূপার ভৌতবিজ্ঞান আর আমার কিছুই কাজে লাগেনি বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু যে ক্লাসটা সব্বার কাজে লেগেছে সেটা হচ্ছে টিফিনের ক্লাস। আমি কিন্তু শুধু পুষ্টিগত দিক থেকে কাজে লাগার কথা বলছি না। মায়েরা ভাবেন টিফিন খাইয়ে শিশুর শরীরে শতসিংহের জোর আনবেন, কিন্তু ভস্মে ঘি ঢালার এর থেকে ভা

আশ্চর্য ব্যাপার

Image
দিগন্তজোড়া ন্যাড়া মাঠের ওপর নীল আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে সারি সারি মূর্তি দাঁড়িয়ে। তাদের খুদে খুদে শরীর, প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড মাথা, মাথায় আকর্ণ ড্যাবড্যাবে চোখ, প্রায় অদৃশ্য নাক আর কুলোর মতো থ্যাবড়া থ্যাবড়া কান। তার ওপর মুখে দুনিয়ার দুশ্চিন্তা মাখামাখি। কয়েকটা মুণ্ডুর ওপর আবার উল্টোনো হাঁড়ির মতো লাল পাথরের টুপি পরানো। আজ থেকে নয়, কাল থেকে নয়, সেই ১২৫০ থেকে ১৫০০ সালের মাঝামাঝি কোনো এক অনির্দেশ্য সময় থেকে মূর্তিগুলো দাঁড়িয়ে আছে। ঠায়। নট নড়নচড়ন। এক একটার দৈর্ঘ্য প্রায় চার মিটার, আর ওজন তেরো টন। উৎস মূর্তিগুলো এমনি তো দেখতে চমকপ্রদ বটেই, কিন্তু তাদের নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠেছিল যখন জানা গেল যে মূর্তিগুলো যেখানে পাওয়া গেছে সেখানে আদৌ তাদের বানানো হয়নি। বানানো হয়েছিল দ্বীপের অন্য প্রান্তে। তারপর সেগুলোকে কী করে মাঠের ওপর এনে দাঁড় করানো হল সেই ভেবে ভেবে বৈজ্ঞানিকদের মাথার সব চুল উঠে গেল, UFO -বাদীরা বললেন “এ তো ইজি ব্যাপার, চাকতিতে চাপিয়ে উড়িয়ে নিয়ে এসেছে”, কেউ বলল পাহাড়ের মাথায় একটা পাগলিবুড়ি থাকত নাকি---সে ইচ্ছে মতো আঙুল নাড়িয়ে কুচ্ছিত মূর্তিগুলোকে এদ

ঘড়ি দেখা খরগোশের পিছু নিয়ে

Image
যদি গর্তের ভেতর পড়েই যান, এটা হাতের কাছে রাখুন। চলাফেরায় বিস্তর সুবিধে হবে। উৎস

Dis or Dat: রাস্তাঘাটের খাওয়াদাওয়া

Image
আলোকচিত্রীঃ অ্যালিস গাও (Lingered upon) এই এপিসোডের আইডিয়াটা বেরিয়েছে রু-এর মাথা থেকে। রু, এই নাও তোমার এক্সক্লুসিভলি খাওয়াদাওয়া নিয়ে Dis or Dat. আলুকাবলি না ঘুগনিঃ আলুকাবলি। বাপুজি কেক না প্রজাপতি বিস্কুটঃ প্রজাপতি বিস্কুট চাউমিন না রোলঃ রোল চুসকি না বুড়ির চুলঃ চুসকি। কালাখাট্টা হ্যায় ভাইয়া? ঝালমুড়ি না ভেলপুরিঃ ঝালমুড়ি বার্গার না হটডগঃ বার্গার টাকো না জিয়োরো ( Gyro): জিয়োরো চুরোস না ফ্রেঞ্চ ফ্রাইঃ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পাপড়ি চাট না আলুটিক্কিঃ পাপড়ি চাট বড়া পাও না বান অমলেটঃ বান অমলেট               পাওভাজি না কচুরি আলুর তরকারিঃ কচুরি আলুর তরকারি। মৌলালির মোড়ে একটা ভাঙাচোরা দোকান আছে সেইটার হলে সবথেকে ভালো। ফুচকা না চুরমুরঃ ফুচকা কুলফি না কাঠি আইসক্রিমঃ কাঠি আইসক্রিম মিক্সড ফ্রুট চাট না শশা চারফালি করে বিটনুন দিয়ে খবরের কাগজের টুকরোয় মুড়েঃ  শশা চারফালি করে বিটনুন দিয়ে খবরের কাগজের টুকরোয় মুড়ে। ফুলুরি না বেগুনিঃ বেগুনি পেঁয়াজি না আলুর চপঃ  পেঁয়াজি আদা লজেন্স না কমলা লজেন্সঃ আদা লজেন্স বাদ

ব্লগিং-এর ভেতরের কথা

Image
বাকি সবরকম পেশার মানুষদের মতো ব্লগারদেরও নানারকম তুকতাক থাকে। মঙ্গলবারে পোস্ট করলে পেজভিউস বেশি হয়, ডানদিকে তাকিয়ে তোলা ছবির পোস্টে বাঁদিকে তাকিয়ে তোলা ছবির পোস্টের থেকে বেশি কমেন্ট পড়ে, সোমবার সোমবার মাংস খাওয়া বাদ দিলে বছর পাঁচেকের মধ্যে বুক ডিল ঠেকায় কার সাধ্যি, এই রকম সব গোঁড়া বিশ্বাস আছে ব্লগারদের। তাঁরা নিজেরা অবশ্য এগুলোকে তুকতাক বলে মানেন না। অনেকদিনের অভিজ্ঞতায় তাঁরা বারবার মিলিয়ে নিয়েছেন, এগুলো সত্যি সত্যি কাজে দেয়। আমি যদিও পেশাদার ব্লগার নই, নিতান্তই নেশাখোর ব্লগার, তবু এই আড়াই বছরে আমিও কয়েকটা জিনিস লক্ষ্য করেছি। যেগুলোকে তুকতাক না বলে পর্যবেক্ষণ বলাই ভালো। তার একটা দুটো আপনাদের বলি দাঁড়ান। এক, লোকে শনিরবিবারে ব্লগ পড়েনা। এটা অ্যাকচুয়ালি উল্টো হওয়া উচিত, তাই না? সপ্তাহের বাকি পাঁচদিন নাক ডুবিয়ে কাজ করে শনিরবি ফ্যানের তলায় আরাম করে হাত পা ছড়িয়ে বসে কে কার ব্লগে নতুন কী বোকামো করেছে ঘুরে ঘুরে সেসব দেখে বেড়ানো উচিত। কিন্তু সেটা হয়না। আমি পেজভিউসের গতিপ্রকৃতি লক্ষ্য করে দেখেছি, লোকে অফিসে গিয়েই ব্লগ পড়তে বসে। কাজ শুরু করার আগে ওয়ার্ম আপ করে

সাপ্তাহিকী

Image
উৎস  মানুষ কতরকমের হয়।  Full circle. ফোটোসেশন। মডেলঃ ম্যাকবার্গার। প্রাচীনকালের মালিশ। ছোট্ট হিপোর গপ্প। মশা আর বৃষ্টির লড়াই। রঙ বদলের রূপকথা। আজকের মিনি সাপ্তাহিকী এই পর্যন্তই। যাওয়ার আগে একটা গান শুনিয়ে যাই। ভয়ানক হাই থটের। কিন্তু শুনতে ভালো। দেখা হবে। টা টা।

চেনেন নাকি? (বোনাস)

Image
এটা না পারলে সবার একবেলা খাওয়া বন্ধ।

সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট #২-গ্রুপচ্যাটের গেরো

ই আর উ-এর প্রেমটা শুরু হয়েছিল ফেসবুকে। ইন্ডিয়ার দারিদ্র্যসীমা সংক্রান্ত একটা মারকাটারি বিতর্ক চলছিল আরেক বন্ধুর ওয়ালে, তার কমেন্ট থ্রেডে। একে অপরের সাথে নখদাঁত বার করে লড়ছিল ই আর উ। একে অপরকে স্টুপিড রাস্কেল বলে গালি দিচ্ছিল। আমার মতো প্রেম বিশেষজ্ঞ কেউ কাছাকাছি থাকলে তক্ষুনি ধরে ফেলতে পারত, কিন্তু ই আর উ-এর বন্ধুরা ওদের প্রেমের খবর শুনে আকাশ থেকে পড়ে বলেছিল, “সেকী তোরা তো একে অপরকে সহ্য করতে পারিস না!” পোলাপান। ই আর উ প্রেমের ঘোষণাও করেছিল অনলাইনে। স্কাইপের গ্রুপ চ্যাটে। দুজনেই ভীষণ মিশুকে স্বভাবের। মোটে একা (বা দোকাও) থাকতে পারে না। চ্যাট করতে বসলে একেকবারে ৯-১০ জনকে জুটিয়ে নিয়ে বসে। বন্ধুরা অবাক হয়েছিল, কিন্তু খুশিও হয়েছিল সবাই মন থেকে। ভার্চুয়াল কেক কেটে, কাল্পনিক শ্যাম্পেন ঝাঁকিয়ে ওদের দীর্ঘ এবং হ্যাপি প্রেমজীবনের কামনা করেছিল সবাই। প্রথম ঝগড়া যেদিন হল, খুনসুটি নয়, শক্ত শক্ত কথা দিয়ে একে অন্যকে সত্যি সত্যি আহত করতে চাওয়া সিরিয়াস ঝগড়া, সেদিনও চ্যাটে দুজন বন্ধু সাক্ষী ছিল। ভাগ্যিস ছিল, তাই বেশিদূর গড়ায়নি ব্যাপারটা। চট করে মিটে গেছে। ই আর উ পরে হাসাহাসি ক

চেনেন নাকি?

Image

অবান্তরের দীর্ঘতম পোস্টঃ বিষয় ফোটোগ্রাফি

Image
আমাদের স্কুলে বছরে একবার করে ছোট ছোট দিদিমণিরা, যারা এখনও পুরো দিদিমণি হননি হওয়ার চেষ্টাচরিত্র করছেন, তাঁরা পড়াতে আসতেন। প্র্যাকটিস টিচিং করতে। নতুন দিদিভাইদের আমরা খুব ভালোবাসতাম। ক্লাসে আমরা গোলমাল করলে তাঁরা খুব ভয় পেয়ে গিয়ে বলতেন, এই চেঁচিও না চেঁচিও না প্লিজ, আমার নম্বর কাটা যাবে। আর কতরকম যন্ত্রপাতি থাকত তাঁদের বাপরে। আমাদের সুব্রতাদি’ভাই তো ঘামতে ঘামতে ক্লাসে ঢুকে খালি হাত বোঁ করে ঘুরিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে কমলালেবুর মতো পৃথিবী আর তার গায়ে ওপর নিচ আর আড়াআড়ি দাগ কেটে ৫ মিনিটে অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ বুঝিয়ে দিতেন---এই নতুন দিদিভাইরা গ্লোব, মানচিত্র, পাঁচরকম রঙের চক, পয়েন্টার, হ্যানা ত্যানা আরও কতকিছু যে ঘাড়ে করে ক্লাসে আসতেন ভাবা যায়না। একজন বেঁটে মতো নতুন দিদিভাই একবার ইতিহাস ক্লাসে চোল সাম্রাজ্যের দেওয়ালজোড়া ছবি এঁকে এনেছিলেন, সাম্রাজ্যের উত্তর সীমানা চিহ্নিত করতে গিয়ে শেষে আর হাত পাননা। আমরা দয়াপরবশ হয়ে বললাম, আমরা সবাই বুঝতে পেরেছি চোল সাম্রাজ্য কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, আপনাকে অত লাফালাফি করতে হবেনা। শুনে সেই দিদিভাই খুব করুণ মুখ করে বলেছিলেন, লাফাতে নাকি

Dis or Dat

Image
হরলিকস না কমপ্ল্যানঃ   কমপ্ল্যান গামছা না তোয়ালেঃ   গামছা হাইব্রিড   SUV   না অটোঃ   অটো সাদা টিউবলাইট না হলুদ বাল্বঃ   হলুদ বাল্ব শুকতারা না কিশোর ভারতীঃ   শুকতারা স্লিপ না ঢেঁকিঃ   স্লিপ সদন্ত শ্বাপদ না মেরুদণ্ডহীন বুকে হাঁটাঃ সদন্ত শ্বাপদ  রাজমা না ছোলেঃ   ছোলে লুচি না পরোটাঃ   লুচি ক্যাবলা না অতিচালাকঃ   ক্যাবলা মশা না মাছিঃ   মশা গেরিলাযুদ্ধ না অসহযোগ আন্দোলনঃ   অসহযোগ আন্দোলন ফুলকপি না বাঁধাকপিঃ   বাঁধাকপি বম্বে না দিল্লিঃ   দিল্লি সপ্তমী না অষ্টমীঃ   সপ্তমী নাইকি না বাটাঃ   হাঁটা মানে বাটা পাটিসাপটা না ডেথ বাই চকলেটঃ   পাটিসাপটা হীরের আংটি না হোম অ্যালোনঃ   হীরের আংটি স্নেপ না ডাম্বলডোরঃ   ডাম্বলডোর হাসির না ভূতেরঃ   ভূতের ভূতের প্লিইইইইইইইজ লিমকা না থামস আপঃ   লিমকা ডনবৈঠক না শবাসনঃ   শবাসন পঞ্চমদা না শচীনকত্তাঃ   শচীনকত্তা দই চিঁড়ে না দুধ সিরিয়ালঃ   দই চিঁড়ে SMS   না ই মেলঃ   ই মেল সানন্দা না উনিশকুড়িঃ   সানন্দা সোনা

Pros and Cons

Image
আর সাত দিন বাদে কেউ ভোরবেলা চায়ের জল বসিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে আমাকে ঘুম থেকে ডাকবে না। আর সাত দিন বাদে কেউ আমার বাড়িওয়ালার গলা হু-ব-হু নকল করে হাসিয়ে পেটে খিল ধরাবেনা। ধরিয়ে বাড়িভাড়া বাড়ার দুঃখ নিমেষে অর্ধেক করে দেবেনা।  আর সাত দিন বাদে সর্বশক্তি আর হাফ বোতল ব্লিচ দিয়ে ঘষলেও রান্নাঘরের কাউন্টার আর ক্যাবিনেটগুলো এত ঝকঝকে হবেনা, এই মুহূর্তে যেমন আছে। আর সাত দিন বাদে কেউ ফ্রিজে পাঁচ রকমের শাক ঝেড়ে বেছে ধুয়ে থরে থরে সাজিয়ে রাখবেনা। আর সাত দিন বাদে কেউ আমাকে তেতো থেকে চাটনি পর্যন্ত  ফাইভ কোর্স মিল,  ফ্রম স্ক্র্যাচ রেঁধে খাওয়াবেনা। আর সাত দিন বাদে পথ ভুলে মাঝে মাঝে রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে বাটির ঢাকা তুললেই গুপ্তধনের মতো গরম গরম মাছের ডিমভাজা বেরিয়ে পড়বেনা। কিংবা ডালের জন্য ভেজে সরিয়ে রাখা মুগডাল। আর সাত দিন বাদে শনিরবির দুপুরগুলোয় কার্বোহাইড্রেট কোমায় আচ্ছন্ন হয়ে সুখনিদ্রায় ডুবে মরা যাবেনা। আর সাত দিন বাদে আকাশে রুপোর থালার মতো চাঁদ উঠলে আমার পাশে বসে কেউ এখনও কিশোরীর মতো মিষ্টি গলায় “চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে” গেয়ে উঠবেনা। আর সাতদিন বাদে যত বৃষ্টিই নামুক না কেন সে বৃষ্