Posts

Showing posts from July, 2012

অলিম্পিকস অলিম্পিকস

Image
অলিম্পিকস দেখছেন? আমি নিয়মিত ফলো করছিনা, যদিও এদিকসেদিক খবরাখবর রাখছি, শুনছি, পড়ছি। আমার সহকর্মী A রোমহর্ষক রেসের ক্লিপিংস পাঠাচ্ছে অফিস-মেলে, সেগুলো দেখছি। আমি নিজে লুডো ছাড়া কিচ্ছু খেলতে পারিনা, কিন্তু খেলা দেখতে আমার ভালোলাগে। এটা মায়ের থেকে পেয়েছি বোধহয়। মা জন্মে কিছু খেলেননি কোনোদিন, সারাজীবন বাড়ির বাগানে মামাদের ফুটবল খেলায় হাওয়াই চটি হাতে গলিয়ে গোলকিপার-গিরি করে এসেছেন, অথচ সৌরভ গাঙ্গুলি সম্পর্কে মায়ের উৎসাহ দেখলে আপনার শ্রদ্ধা হবে। খেলাধুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় মাকে হারাতে পারবনা, তবে আমি সত্যি সত্যি মনে করি টিভিতে খেলা ছাড়া আর দেখার কিছু নেই। বাজার গরম করা উড়ো খবর, অপসংস্কৃতিময় নাচাগানা কিংবা সারাদিন ধরে রান্নার ক্লাস দেখার থেকে বল নিয়ে গুঁতোগুঁতি দেখা ঢের ভালো। আমার ছোটবেলার সবথেকে স্পষ্ট স্মৃতিগুলোর মধ্যে বাবার পাশে বাবু হয়ে বসে ফুটবল ওয়ার্ল্ডকাপ দেখার স্মৃতি একটা। দেখছি আর বাবার দেখাদেখি গম্ভীর মুখে মাঝে মাঝে বলছি, “উফ পাসটা কী বাড়ালো দেখলে? ইন্ডিয়া খেলবে এদের সঙ্গে? তাহলেই হয়েছে।” ছোটবেলায় খুব উৎসাহভরে অলিম্পিকস দেখতাম। ওপেনিং সেরিমনি থেকে শুরু

Dis or Dat

Image
রেনল্ডস না সেলো গ্রিপারঃ  সেলো গ্রিপার রবিবাসরীয় না রোববারঃ  রবিবাসরীয় মারুতি ৮০০ না অ্যামবাসাডরঃ  অ্যামবাসাডর আবহাওয়ার খবর না নিরুদ্দেশ সম্পর্কে ঘোষণাঃ  নিরুদ্দেশ সম্পর্কে ঘোষণা আইসক্রিম না জেল্যাতোঃ  আইসক্রিম  ইন আ কাপ না ইন আ কোনঃ  ইন আ কাপ প্লিজ। সুগার অ্যান্ড স্পাইস না মনজিনিসঃ মনজিনিস। আমার ফেভারিট ছিল  চিকেন ইন্টারনেট ।  প্রেম না অ্যারেঞ্জডঃ  প্রেম  (যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া) বাসন মাজা না কাপড় কাচাঃ বাসন মাজা শ্রেয়া ঘোষাল না সুনিধি চৌহানঃ  সুনিধি চৌহান হিল্যারি ক্লিন্টন না সোনিয়া গান্ধীঃ  হিল্যারি ক্লিন্টন জ্যাজ না কান্ট্রিঃ  কান্ট্রি ম্যাডোনা না মাইকেল জ্যাকসনঃ  মাইকেল জ্যাকসন প্রণব না প্রতিভাঃ  প্রণব  পিয়ার্সিং না ট্যাটুসঃ  ট্যাটুস ক্যাপুচিনো না অ্যামেরিক্যানোঃ  ক্যাপুচিনো  মাঝরাত না ভরদুপুরঃ  মাঝরাত  পিয়্যানো না গিটারঃ গিটার ভিক্স না হলসঃ ভিক্স কি গোলি লো, খিচখিচ দূর করো। মৌরি না জোয়ানঃ জোয়ান কমলা না বাতাবিঃ বাতাবি। জন্ডিসের সময় প্রাণভরে খেয়েছিলাম।  পাতি না গন্ধঃ গন্ধ আর

যে আগুন নেভেনা

Image

গল্প যখন ফুরোয়

Image
সব আড্ডাতেই একটা না একটা সময় আসে যখন আর নিন্দেমন্দ করার মতো লোক খুঁজে পাওয়া যায়না। একে অপরের লেগপুলিং শেষ, অ্যাডভাইসরের পিণ্ডি চটকানো শেষ, মাতৃভূমি পিতৃভূমির সমাজ-সংসার-রাজনীতি নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শেষ, এদিকে হাতে ধরা লাল, সাদা, বাদামী---কড়া, নরম নানারকম পানীয় তখনও শেষ হতে দেরি আছে অনেক। গল্পের মুডও আছে ষোলআনা। অতঃকিম? তখন আপনারা আমরা যেটা করি সেটা করতে পারেন। লাইট যদি মৃদু করার উপায় থাকে করে দিন, না থাকলে এ ঘরের আলো নিভিয়ে অন্য ঘরের আলো জ্বালিয়ে আসুন যাতে একটা আলোছায়ার ভাব সৃষ্টি হয়। একটা ল্যাপটপ বাদে বাকিগুলোর ঝাঁপ ফেলে দিন, (একটাই বা বাকি থাকে কেন সেটা একটু পরেই খোলসা হবে।) এবার গান ধরুন। সরু মোটা ভাঙা ব্যারিটোন, ভগবান যাকে যেমনটি দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, খুলে গান ধরুন। মনে রাখবেন এ গাওয়া যত না গাওয়া তার থেকে বেশি গানগুলোর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে লেপটে থাকা একটা সময়কে খুঁড়ে তুলে আনা। হলই বা শুধু একটা সন্ধ্যের জন্য। গত শনিবার ছিল আমাদের এরকম একটা গান পার্টির দিন। রুজিরুটির খোঁজে দূরে চলে যাওয়া পুরোনো ক’জন বন্ধু এসেছিল। সঙ্গে করে এনেছিল গোটা দুই গি

সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট #৬-ভালোবাসা। দেখাবার না লুকোবার?

প্রেম কীসে হয়, কীসে টেঁকে, কীসে ভাঙে সে নিয়ে বাজারে কম থিওরি নেই। কেন এত থিওরি আছে সেটা নিয়ে আমার অবশ্য আরেকটা থিওরি আছে। যতই মনের মিল, টেম্পারামেন্ট, প্রিয়কবি ইত্যাদি দেখেশুনে বাছাবাছি করা হোক না কেন, আসলে তো ব্যাপারটা একটা পর্বতপ্রমাণ জুয়া। মানি আর না মানি, জানি আর না জানি। বেশিরভাগ লোকেই অবশ্য আন্দাজ করতে পারেন এবং পেরে শঙ্কিত হয়ে থাকেন। থিওরিগুলো তখন শঙ্কার মুখে খড়কুটোর কাজ দেয়। একটা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি, লোকে কী দেখে প্রেম বাছে (লোকের মধ্যে আমিও পড়ি, যদিও এটা আমার গল্প নয়) সে দেখলে সত্যি বলছি পিলে চমকে যায়। আমার এক স্নেহের পাত্রের একটি মেয়েকে খুব মনে ধরেছিল। ক’দিন ঝড়ের মতো মেসেজ-চ্যাট চলার পর দেখি হঠাৎ সব চুপচাপ। আমি বললাম, “কী রে? কী হল? হাল ছাড়লি নাকি?” তাতে সে ছোকরা বলে, “ছাড়ব কি গো, পালিয়ে বেঁচেছি। যে মেয়ে চে গুয়েভারার নাম জানেনা, তার সাথে প্রেম করব? আমি?” গল্পের নীতিকথা একটাই, যারা প্রেমের খোঁজে আছেন তাঁরা উইকিপিডিয়া খুলে চে-র জীবনীটা ঝালিয়ে নিন। কখন কোথায় কাজে লাগবে বলা যায় না। আজকের সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট মেয়েটির সমস্যা/প্রেমটার শুরু হয

সাপ্তাহিকী

Image
এঁরা কী করছেন? প্রেম। কখন কীরকম। Have you ever had a bad time in Levi's? সত্যি বলছি, না। আরেকটা মোক্ষম সত্য। OCD আছে? তাহলে কিনে ফেলুন। সিরিয়াসলি, এটা আমারও প্রশ্ন। কী সুন্দর স্টেশন। যদি আমিও পারতাম। আজ আসলাম তবে? ভালো হয়ে থাকবেন। ভিড় কম থাকতে থাকতে এইবেলা পুজোর বাজার শুরু করে দিন। দরজির দোকানে ব্লাউজপিস দিয়ে আসুন। যাচ্ছি যাব করে পুজোর একমাস আগে গিয়ে তারপর ডেলিভারি না পেলে কাঁদবেন না। সোমবার দেখা হবে, টা টা।

ঘোষণা

সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট #৬ এই সপ্তাহে শুক্রবারের বদলে রবিবার বেরোবে। আপনাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। 

চেনেন নাকি? (বোনাস)

Image

নিজের গল্প

Image
আত্মজীবনী লেখা খুব শক্ত কাজ শুনেছি। সত্যি কিনা জানিনা কারণ আমি কোনোদিন লেখার চেষ্টা করিনি। যারা লিখেছেন তাঁদের আত্মজীবনীর শুরুতে কৈফিয়ৎ বলে যে চ্যাপ্টারটা থাকে সেখানে পড়েছি, কেন তাঁরা আত্মজীবনী লিখেছেন এবং লিখতে গিয়ে কোথায় কোথায় প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। যারা আত্মজীবনী লেখেননি তাঁরা কী কী প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে লেখেননি, সেও পড়েছি। তবে সাধারণবুদ্ধিতে মনে হয় ব্যাপারটা সোজা হওয়ার কোনো কারণ নেই। লোকজনকে না চটানোর ব্যাপার আছে, সত্যিমিথ্যের টানটান দড়ির ওপর দিয়ে ব্যালেন্স রেখে হাঁটার ব্যাপার আছে। নিজের অসাধারণত্বের মুখ রাখার জন্য, অতি সাধারণ দিনরাতকে উদ্ভট সাজপোশাক পরিয়ে পাঠকের সামনে মিছিল করানোর ব্যাপার আছে। রোয়াল্ড ডাল ঠিকই বলেছেন, আত্মজীবনী হল ইতিহাস বই। পার্থক্য শুধু এই যে শেরশাহ বা ঝাঁসির রাণীর বদলে মূল চরিত্রে আপনি। আর ইতিহাস বই লেখা কি সোজা হতে পারে কখনো? সত্যি বলছি পড়াও শক্ত। আমি পারতপক্ষে জীবনী বা আত্মজীবনীর ধার মাড়াইনা। কত প্রিয় লোকের আত্মজীবনী পড়তে বসে যে আমার তাঁদের সম্পর্কে মোহ ছুটে গেল, কত অপ্রিয় লোকের আত্মজীবনী পড়তে বসে তাঁরা যে আ

চেনেন নাকি?

Image

'কথা'র কথা

কথা তো বলার জন্যেই ব্লগটা দেখেছেন নিশ্চয় আপনারা সবাই? ওটা সুনন্দ  আর সংহিতা  আর ওদের আর ক ’ জন বন্ধু মিলে চালায়। নিজেরা লেখে, অন্যদের দিয়ে লেখায়, সে লেখায় কমেন্ট করে, অন্যদের চোখা চোখা কমেন্টের খোঁচা সামলায়। সবাই মিলে একসাথে। একে অপরকে খুন না করে ফেলে। আমি পারতাম না। আমার CV তে গাদাগাদা মিথ্যে কথা লিখে রেখেছি আমি কিন্তু ‘ টিমওয়ার্কার ’ কথাটা এমনকি আমার মতো মিথ্যুকের হাত দিয়েও বেরোয়নি। টিমওয়ার্কের নাম শুনলেই আমার কম্প দিয়ে জ্বর আসে। আমার এবং টিমে আমার সাথে যাঁদের কাজ করতে হয়, তাঁদেরও। যাই হোক, আজকে আমার একখানা লেখা বেরোচ্ছে ‘কথা’য়। লেখাটা আপনারা অনেকে আগেও পড়েছেন, ‘ মিসেস ব্যানার্জি ’। যারা পড়েছেন, যারা পড়েননি, তাঁদের সবার কাছে আমার অনুরোধ, 'কথা'য় উঁকি মেরে আরেকবার লেখাটা দেখে আসবেন। কেমন দেখাচ্ছে সেটাও যদি একটু বলে আসেন তাহলে তো কথাই নেই। আমার খুব ভালো লাগবে।

অন্য অ্যাঙ্গেল থেকে

Image
উৎস

Don't yell, don't run, don't worry, and above all, don't quit.

Image
1946 U.S. Forest Service Safety Flyer থেকে।

নিতাইস্যার আর প্রণববাবু

আমি ক্লাস ইলেভেন টুয়েলভে যার কাছে বাংলা পড়তে যেতাম তাঁর নাম ছিল নিতাইবাবু। স্থানীয় রামকৃষ্ণ আশ্রম স্কুলের রেজিস্টারে অবশ্য তাঁর নামের জায়গায় ত্রিদিবেশ ভট্টাচার্য লেখা ছিল, কিন্তু সহশিক্ষক বা স্কুলের কর্মচারী বা বছরের পর বছর পাস করে বেরনো ছাত্রদের একজনও তাঁকে ওই নাম ধরে ডাকেনি কোনোদিন। রিষড়া স্টেশনে নেমে মিশনের রিটায়ার্ড টিচার নিতাইবাবুর বাড়ি যাব বললেই সবাই দেখিয়ে দিত। “ত্রিদিবেশবাবুর বাড়িটা কোথায় দাদা” জানতে চাইলে হাঁ করে তাকিয়ে থাকত। বা হাত নেড়ে বলত, “ওই নামের কোনো স্যার মিশনে ছিলেন না জম্মে। নাম ঠিক করে জেনে আসুন।” আমি যখন পড়তে যেতাম তখন নিতাইবাবুর বয়স ষাট পেরিয়েছে। কিন্তু রোগা লম্বা শরীরের মাথায় ব্যাকব্রাশ করা এবং কলপ না ছোঁয়ানো চুলে তখনও সাদার ছোঁয়ামাত্র লাগেনি। স্যারের তিন চাকরি করা ছেলে সবাই পৈতৃক বাড়িতে একসাথে নিজেদের স্ত্রী সন্তান সহযোগে বাস করত। একান্নবর্তী সিস্টেমে। কাজেই স্যারের টিউশন করার দরকার ছিলনা। আমাদের পাশেরবাড়ির বুচিদিদির জেঠু মিশনে নিতাইবাবুর সমসাময়িক অঙ্কের মাস্টারমশাই ছিলেন। আমার মা জেঠুকে ধরে নিতাইবাবুকে রাজি করিয়ে ছিলেন আমার বাংলাট

মনের কথা

Image
উৎস

Dis or Dat: এই বই সেই বই

Image
ছবি গুগল ইমেজেস থেকে গৌরচন্দ্রিকা আর ফুটনোট, দুটো ব্যাপারই আমার জঘন্য লাগে। ভালো ছাত্ররা শুনেছি প্রতিটি আর্টিকলের প্রতিটি ফুটনোট পড়েন। আমার এক প্রফেসর ক্লাসে বলেছিলেন ওটাই ভালো আর যেমনতেমন ছাত্র আলাদা করার সবথেকে ফুলপ্রুফ ছাঁকনি। ফুটনোটের ছাঁকনি আমারও অবশ্য আছে একটা। ভাল আর যেমনতেমন আর্টিকল আলাদা করার জন্য। তবে সেটা প্রফেসরমশাইয়ের ছাঁকনিটার থেকে সামান্য অন্য ভাবে কাজ করে। তবু এই পোস্টটা শুরু করার আগে একটা গৌরচন্দ্রিকা লিখছি (এবং অন্তে একটা ফুটনোটও কায়দা করে গুঁজে দিয়েছি), কারণ এই পোস্টটা স্পেশাল। বই নিয়ে ডিস অর ড্যাট লেখার আইডিয়াটা যখন মাথায় এসেছিল তখন ব্যাপারটাকে হাতিঘোড়া কিছু মনে হয়নি, লেখা শেষ করার পর দেখছি মাথার চুল অর্ধেক পাতলা হয়ে গেছে। প্রথমে ভেবেছিলাম ইংরিজি, বাংলা দুরকম বইই থাকবে। সে তাসের ঘর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার পর বাংলা বইয়ের মধ্য থেকেও কবিতা, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী---বেসিক্যালি উপন্যাস (আর একজোড়া নাটক) ছাড়া সবই---বাদ চলে গেল। ছোটগল্পের* সঙ্গে সঙ্গে বাদ চলে গেলেন উপেন্দ্রকিশোর, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী, নরেন্দ্রনাথ মিত্র, বনফুল, গজেন্দ্রকুমার মিত্র

বানানভিতির প্রোতি

ছোটোব্যালায় লোকের অনেক কিছু নিয়ে অকারোন উদ্দেগ থাকে। আমার মা কল্পোনা কোরতেন হঠাৎ অ্যা কদিন জোদি দরজা খুলে দ্যাখেন ইন্দিরা গান্ধি দাড়িয়ে আছেন তাহলে মা কথোপোকথোন চালাবেন কি করে? তিনি তো অতো ইংরিজি জানেন না। আমার বাবা র শুনেছি অ্যালজেব্রার অংকো কোশতে গিয়ে ভিশোন টেনশন হোতো , ব্র্যাকেট খুলতে খুলতে আর পড়াতে পড়াতে কখোন বুঝবেন যে অংকোটা শেশ হোয়ে গেছে? আর কিছু করার দরকার নেই? অংকো বা ইংরিজিতে আমার ভয় ছিলোনা। দিদিভাইরা বোলতেন বাংলা মিডিআমের আর পাচটা ছাতরোছাতরির তুলোনায় কুন্তলা ইংরিজিটা ভালো জানে। অংকোও তাই। অংকো অরথাত পাটিগোনিত। কেষ্টোদার দোকানে গিয়ে মা ধোনে, জিরে, পোস্তো, শোর্শের তেল কিন্তেন, কেষ্টোদার আগে আগে আমি মুখেমুখে জোগ কোরে বোলে দিতাম মোট কতো টাকা হোয়েছে। খুশি হোয়ে কেষ্টোদা আমাকে অ্যাক্টা এক্লেয়ারস ফ্রি-তে খেতে দিতেন। মা দাম দিতে চাইলেও কিছুতেই নিতেন না। আমার ভয় ছিলো বানানে। বাংলা ইংরিজি শবরকম বানান। বিশম ভয়। প্রিথিবিতে জতো শব্দো আছে তাদের প্রোত্যেকটির বানান জোদি আমাকে শিখতে হয়? লক্ষ লক্ষ কোটিকোটি লোক শারাদিন অবিরাম কথা বোলে জাচ্ছে, ট্রেনে বাসে কফিশপে মোব

জানোয়ার বলে কি মানুষ না?

Image
আপনারা যদি ভেবে থাকেন যে কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন আর মোটা মেয়ের নাম তন্বী কেবল মানুষের সংসারেই হয়, ভুল ভেবেছেন। মানুষ কেবল নিজের ছেলেমেয়ের নাম রাখতেই গোলমাল পাকায় না, মানুষই দিব্যি সোজা জায়গার নাম উল্টোডাঙা রাখে এবং জন্তুজানোয়ারদেরও ছেড়ে কথা বলে না। প্রমাণ চান? এই দেখুন।  উৎস

তবু যদি কখনো

Image
কেমন আছেন? সপ্তাহান্তে কী করলেন? ডার্ক নাইট রাইজেস দেখলেন নাকি? কেমন হয়েছে? আমারও দেখতে যাওয়ার কথা ছিল এসপ্তাহে, কিন্তু লোকজন জুটিয়ে, মেলের পর মেল পাঠিয়ে, হাতে পায়ে তেলমালিশ করে, সবার সব সুবিধে অসুবিধের জায়গা করতে করতে শেষপর্যন্ত আর যাওয়াই হল না। আমারই দোষ। একা একা চলে গেলেই হয়। কিচ্ছু খারাপ লাগে না একা একা সিনেমা দেখতে, আমি পরীক্ষা করে দেখেছি। বরং অনেক বেশি ভালো লাগে। পপকর্ন খেতে খেতে হাহা হাসো, ফ্যাচফ্যাচিয়ে কাঁদো---কে কী ভাবল, আমার বোকামো দেখে হাসল কিনা সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না। ইন্টারভ্যালে বাথরুমে লম্বা লাইন দিয়ে ফিরতে ফিরতে সিনেমা শুরু হয়ে গেলে “এক্সকিউজ মি এক্সকিউজ মি” বলতে বলতে সবার পা পাড়িয়ে সিটে এসে বসে পাশের লোককে টোকা মেরে “কী হল দাদা এতক্ষণ?” জেনে নিলেই হয়। কেউ কিচ্ছু মাইন্ড করে না, বরং হাত পা নেড়ে অভিব্যক্তি সহযোগে গল্প বলতে পেরে বর্তেই যায়। কিন্তু সিনেমা দেখতে যাওয়ার আগে এত কথা মনে থাকলে তো। সমাজবদ্ধ জীব হওয়ার এই ঝামেলা, সব ব্যাপারে প্রথমেই দল পাকানোর কথা মাথায় আসে। আইসক্রিম খেতে যাবি রে? সিনেমা দেখতে যাবি রে? দোলনা চড়তে যাবি রে? যেন একা

সাপ্তাহিকী

Image
utso “Sow a thought, reap an action; sow an action, reap a habit; sow a habit, reap a character; sow a character, reap a destiny.”                                                                      Stephen R. Covey (1932-2012) পুরুষদের জ্ঞাতার্থে। মেয়েদের জ্ঞাতার্থে। ‘অ্যান্টি গ্র্যাভিটি ইলিউশন’ কার আবিষ্কার বলুন দেখি? খেলতে খেলতে। চলতে চলতে। তথ্য বিস্ফোরণ। ফ্যান ফিকশন কাকে বলে জানতেন? আমি জানতাম না। সবশেষে এ সপ্তাহের গান। সময়োপযোগী এবং চিরকালীন। আজ তবে এইটুকু থাক। বাকি কথা সোমবারে হবে। টা টা। 

সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট #৫--সহবাস। বিয়ের আগে না পরে?

হাই কুন্তলাদি, আমার ফিয়ন্সে আর আমি আলাদা শহরে থাকি। ও আমার থেকে একবছরের সিনিয়র। গ্র্যাজুয়েট করে অন্য শহরে চাকরি নিয়ে চলে গেছে। আমিও ওই শহরেই জবের জন্য অ্যাপ্লাই করেছিলাম। পেয়েও গেছি। বিয়ের পরে একসাথে থাকা যাবে কী মজা। দ্য থিং ইজ, আমার চাকরির জয়েনিং ডেট আর বিয়ের ডেটের মধ্যে ছ ’ মাস গ্যাপ আছে। ও বলছে “ আমার সাথে থাকো। ” আমারও তাতে আপত্তি নেই। ও একলা থাকে কাজেই রুমমেট-ফেটের ওপিনিয়নের ঝুটঝামেলা নেই। কিন্তু আমার বাবা মা, বিশেষ করে মা এব্যবস্থায় ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছেন। বলছেন “ ছ ’ মাসের জন্য আত্মীয়স্বজনদের কাছে ছোট হয়ে কী দরকার। ” ফ্র্যাঙ্কলি, আমি আত্মীয়স্বজনের পরোয়া করিনা। কিন্তু মায়ের করি। মা সেটা জানে। তাই ব্ল্যাকমেল করছে। ওর বাড়ির লোক কুলকাল। কিছুতেই আপত্তি নেই। আমার বাড়ির লোক এত ব্যাকওয়ার্ড আমি সিরিয়াসলি ইম্যাজিন করিনি। কী করব? মায়ের কথা শুনে ছ’মাস আলাদা থেকে বিয়ের পরেই মুভ-ইন করব? নাকি কারো কথা না শুনে সোজা ওর বাড়িতে গিয়ে উঠব? ওহ আর বিয়েতে তোমার নেমন্তন্ন রইল কিন্তু, না আসলে কপালে দুঃখ আছে। ইতি, ব্যাকওয়ার্ড বাড়ির প্রোগ্রেসিভ কন্যা।

আবহাওয়ার খবর

Image
কোনো এক জোকসের বইতে পড়েছিলাম যে ওয়েদার চ্যানেল হচ্ছে বুড়োদের MTV.  কথাটা একেবারে মিথ্যে নয় কিন্তু। মনে আছে ছোটবেলায় আমরা বাড়ির সবাই একসাথে বসে রাতের নিউজ শুনতে শুনতে রুটি তরকারি খেতাম। তাই বলে সবাই সব কিছু সমান মন দিয়ে শুনতাম না। বাবা মা গম্ভীর মুখে রাজনীতির খবর শুনতেন, সেজকাকু চোখমুখ কুঁচকে একাগ্র হয়ে খেলার খবর শুনত, আমাকে পুরো খবরটাই শুনতে হত কারণ ওটা ছিল আমার ইংরিজি শেখার ক্লাস। আর আবহাওয়ার খবর শুরু হলেই ঠাকুমা মহা উৎসাহে চেয়ারের প্রায় কানায় এগিয়ে এসে বসতেন। বলতেন, “আহ চেঁচাস না, কী বলে শুনতে দে।” উৎস ভারতের ম্যাপে কলকাতার ওপর মেঘ দেখাচ্ছে না সূর্য সেটা ঠাকুমার কাছে জীবনমরণ ব্যাপার ছিল। লেবুর আচার রোদ পাবে কিনা, সদ্য পোঁতা পদ্মচারা বিনা বৃষ্টিতে শুকিয়ে মরবে কিনা, নানারকম দুশ্চিন্তা। ঠাকুমার উৎসাহ দেখে বাবা মা চোখাচোখি করে হাসতেন, কাকু চোখ ঘোরাত। আমিও তাঁদের দেখাদেখি ব্যাপারটাকে খুব হেয় করার চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা। বয়সটা যত গুঁড়ি মেরে ঠাকুমার বয়সের দিকে এগোচ্ছে বুঝছি যে আবহাওয়ার গুরুত্ব মানুষের জীবনে কতখানি। আমার জীবনে, এবং যৌবনম

On Writing

Image
Reading Maketh a Full man; Conference a Ready Man; Writing an Exact Man.                                                                         Francis Bacon (1561-1626) Desire to seem clever, to be talked about, to be remembered after death, to get your own back on the grown-ups who snubbed you in childhood, etc., etc. It is humbug to pretend this is not a motive, and a strong one. Writers share this characteristic with scientists, artists, politicians, lawyers, soldiers, successful businessmen — in short, with the whole top crust of humanity. The great mass of human beings are not acutely selfish. After the age of about thirty they almost abandon the sense of being individuals at all — and live chiefly for others, or are simply smothered under drudgery. But there is also the minority of gifted, willful people who are determined to live their own lives to the end, and writers belong in this class. Serious writers, I should say, are on the whole more vain and self-centere