আনন্দ







অফিস থেকে ফিরে স্নান করে চুলটা ঘাড় থেকে যতখানি ওপরে সম্ভব তুলে বেঁধে অবান্তর খোলা।

দিনের প্রথম কাপ চা।

না পড়া, টাটকা গোয়েন্দা গল্প।

শনিবার সারাদিন ধরে শার্লক-এর একটা গোটা সিরিজ। না থেমে।

এয়ারপোর্টে যাকে খুঁজছি তাকে দেখতে পাওয়ার প্রথম মুহূর্ত। সে যদি আমাকে দেখতে না পেয়ে এদিক ওদিক হাঁদার মতো তাকায় তাহলে আনন্দ ডবল।

ক্লাস ওয়ানে লেখা ডাইরির পাতা উল্টোনো। মায়ের অফিসে যাওয়ার বাসের নম্বর নিজের বেস্ট হাতের লেখায় টুকে রেখেছি আমি ওখানে। কেউ কিছু বললেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা মায়ের কাছে চলে যাব।

ফোনের ওপারে ঠাকুমার কাঁপা কাঁপা গলায় “হ্যা-অ্যা-অ্যা-লো-ও”।

বাবার গলায় “সোনা-মা” ডাক।

নতুন খাতার প্রথম পাতা।

ছাদখোলা কনভার্টিবল, তীরের মতো সোজা রাস্তা, চোখজোড়া দিগন্ত আর ভীষণ জোরে গান।

অনেক বছর পরে হঠাৎ “তোমাকে চাই”।

লোডশেডিং + ছাদ + মাদুর + হাতপাখা + মায়ের গান।

কোনো কাজ করে নিজেই বুঝতে পারা, কাজটা ভালো হয়েছে।

লক্ষ্মণের শক্তিশেল।

বৃষ্টি।

এবার আপনাদের আনন্দের লিস্ট শোনার পালা। রেডি? 


বিঃদ্রঃ এই পোস্টের অনুপ্রেরণা এসেছে আমার প্রিয় ব্লগ Mom-101-এর এই পোস্টটি থেকে।

Comments

  1. kichhu repetition hoye jabei, tobu...

    thomthome dupur, aktana ghughu ar "priyo bondhu"...

    goromer dupur, shobdo kore ghora pakha, abchhaya ghor ar sharadidndu :)

    ajhor brishti, janlay ami ar bon, chupchap ba rabindranather gaan..

    hostel er jhi-jhi daka raat, badminton court...

    bari ferar raate airport e dur theke dekha babar dishehara opekkha...

    loadsheding, fele asa purono bari ta, khola hawa ar baba-r golay "ay khuku ay"....

    shanto colorado, halka nouko, "ei lobhinu songo tobo.."...oboshyo eta anondo na bole sukh bola jay, tirtire tibro akta sukh...

    purono khata, purono bondhuta, purono somoy...

    aro a-n-e-k a-n-e-k kichu..
    likte giye obak hoye bhabchi, tobu ami keno nijeke dukkhi vabi!

    ReplyDelete
    Replies
    1. btw, khub mon bhalo kora (ba bhalo lagar mon-kharap-kora) post..thanku :-)

      Delete
    2. ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম স্বাগতা। তোমার আনন্দগুলো আমারও আনন্দ। কলোরাডোর ছবিটা অবশ্য যত না আনন্দ তার থেকে বেশি হিংসে।

      তবে একটা জিনিস বলতেই হচ্ছে। "প্রিয় বন্ধু" আমার খুবই অপ্রিয় জিনিস। আমি নিশ্চিত আগের জন্মে অঞ্জন দত্ত আমার ভয়ানক ক্ষতিটতি করেছিলেন। এজন্মে তাই ওনাকে দেখলেই/শুনলেই আমার মাথা ধরে যায়। গা চিড়বিড় করে।

      Delete
    3. hehe...amar khub j bhalo lage ta na but priyo bondhu ta amar abar khub i valo lage..
      onyo akta kotha: sherlock valo quality te dekhar link thakle share korbe plz?2nd season..

      Delete
    4. দেখছি দাঁড়াও।

      Delete
  2. Ei sab gulo ar amar chhanatar khilkhile hasi ar phone-e maayer gala. Borer ranna ektu murighanto ar notun kono problem solve korte parar anondo (anno Karo problem hole aro bhalo se besh thank you tank you bolbe). Notun ekta experiment-er idea ar porte chaoa ekta boi ba dekhte chaoa ekta cinema hathat online peye Jaoa. Kintu sabar chaite bhalo tuktuker Galar awaj prothom bar shona ar tar smriti.

    ReplyDelete
    Replies
    1. টুকটুকের গলার হাসি যে জিতবে সে নিয়ে কি সন্দেহ থাকতে পারে রুচিরা? ওটা বেস্ট। আমি সর্বান্তকরণে সমর্থন জানাচ্ছি।

      তবে তোমার অনলাইন সিনেমা খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারটা দারুণ বলেছ। আমিও যখন প্রথম "শার্লক" খুঁজে পেয়েছিলাম কিংবা "মিস মার্পল"---এখনও ভাবলে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।

      Delete
  3. অনেকদিন আগে পড়া একটা কবিতা মনে পড়ে গেল, শুনতে পাই সেই কবিতা টা নিয়ে নাকি গান ও বাঁধা হয়েছে, কে যে এই কাজগুলো করে!

    আমরা তো অল্পে খুশি, কি হবে দুঃখ করে
    আমাদের দিন কেটে যায় সাধারণ ভাত কাপড়ে
    কেটে যায় দিন আমাদের অসুখে ধারদেনাতে
    রাত্তিরে দু ভাইয়ে মিলে টান দিই গঞ্জিকাতে
    রোজ রোজ হয় না বাজার, হলে হয় মাত্রাছাড়া
    বাড়ি ফিরে আসার পথে কিনে আনি গোলাপচারা
    কিন্তু পুঁতব কোথায়, ফুল কি ফুটবে তাতে?
    সে অনেক পরের কথা, টান দিই গঞ্জিকাতে
    কোনোদিন পাই না কিছু, বাড়ি ফিরি দুপুর রাতে
    খেতে বসে রাগ চড়ে যায়, নুন নেই ঠাণ্ডা ভাতে
    রাগ আমার মাথায় চড়ে, আমি তার মাথায় চড়ি
    বাপ ব্যাটা দু ভাইয়ে মিলে সাড়া পাড়া মাথায় করি
    আমাদের চাই না কিছু, আমরা তো সামান্য লোক
    আমাদের শুকনো ভাতে লবণের ব্যাবস্থা হোক।

    (স্মৃতি থেকে লিখলাম, একটু ভুলচুক হলে নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন)

    ReplyDelete
    Replies
    1. কবিতাটা খুবই ভালো দেবাশিস কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে কবিতাটা পড়ে ঠিক কী মনে হচ্ছে, বা কী মনে হওয়া উচিত, সেটা বুঝতে পারছিনা। অপরাধবোধ? এত কিছু পেয়ে আরও চাওয়ার জন্য? যাঁদের ঠাণ্ডা ভাতে নুন জোটেনা তাঁদের জন্য মনখারাপ? নাকি সাধারণ মানুষ কত কমে দিব্যি চালিয়ে নেয় সেই দেখে আরও একবার চমৎকৃত হওয়া?

      যাই হোক, বুঝতে যখন পারছিনা তখন চেষ্টা করে লাভ নেই। বরং আপনাকে আরও একবার ধন্যবাদ দিই এত ভালো একটা কবিতা শোনানোর জন্য। আর পিঠ চাপড়ে দিই স্মৃতি থেকে পুরো কবিতাটা লিখে দিতে পারার জন্য। কবিতা মুখস্থ বলতে পারাটা এখন একটা লুপ্ত বিদ্যা।

      Delete
    2. বোঝাতে পারবো না, জানতাম।

      সেদিন আমি আর গিন্নি ঠিক এই কথাই বলছিলাম, যে আমরা কিসে খুশি হই। দেখা গেল যে গিন্নির অনেক শখ ইত্যাদি আছে (সিনেমা, বেড়ানো, জামাকাপড়, বই, গানবাজনা)... আর আমার জন্য আনন্দদায়ক জিনিস কেবল একটা - খাবার। মুটেমজুরদের যা হয় আরকি, চারটে খেতে পেলেই খুশি।

      আপনার লিস্টটা যদি আমি আমার জন্য কাস্টমাইজ করি, তাহলে প্রথম দুটো আইটেম হবে -

      - ফ্রিজ ভর্তি মিষ্টি
      - রাতে খেতে বসে আবিষ্কার করা যে মেনুটা আমার পছন্দসই জিনিসে ভরপুর

      তবে মানুষ নাকি শুধু রুটি খেয়ে বাঁচতে পারে না (যদিও সাথে একটু আলুরদম পেলে আমি পারবো), তাই লিস্টটা আরেকটু এক্সটেন্ড করা যাক

      - টেবল টেনিসে পরপর দুটো স্ম্যাশ রিটার্ন করতে পারা
      - টিভিতে খেলা দেখছি, আর সবকিছু আমার মনমতো হচ্ছে
      - একলা ঘরে বসে ওই দাড়িওলা বুড়োর প্রিয় গানগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শোনা
      - যে কোন ভালো কাজ করতে পেরে তৃপ্তি

      আর বেস্ট-অফ-দ্যা-লট হল - ছুটির দিন, দারুণ গরম, তিন বোতল বিয়ার খেয়ে, চান করে, একপেট ভাত খেয়ে, এসি চালিয়ে, দু ঘন্টা ভাতঘুম।

      একটা লোকের আর কি চাই? সাড়ে তিন হাত মাটি? সে তো কপালে জুটেই যাবে।

      Delete
    3. আরে দেবাশিস আপনি পিং পং খেলতে পারেন! অনবদ্য ব্যাপার। আমার বাবাও খেলতেন একসময়। আমি নিজে খেলাধুলোয় অষ্টরম্ভা কিন্তু বাবা যে খেলতেন এটা আমার খুব গর্বের জায়গা, তাই আমি সুযোগ পেলেই শুনিয়ে দিই। আর কেউ পিং পং খেলতে পারে জানলে তার প্রতি এক্সট্রা প্রসন্ন হয়ে যাই।

      রুটিপ্রীতিটাও মিলেছে দেখছি। আমার অবশ্য আলুরদমের বদলে রুটির সাথে একটুকরো পাটালিগুড় হলেও স্বচ্ছন্দে জীবন কেটে যাবে তবে সেক্ষেত্রে রুটিটা হাতে গরম হলে ভালো।

      সাড়ে তিন হাত মাটির কথাটা যা বলেছেন। ওটা থেকে বঞ্চিত করে কার সাধ্য।

      Delete
  4. Sealdah stationey neme, taxi dhorar por, taxi ta jokhon Park Circus periye Gariahater poth dhore. (Kaaney goja mp3 tey tokhon Chandrabindoor 'amar shohor' bajle seta bonus.)

    Gorom, dhnowa otha bhaat.

    Didar songe sara dupur adda.

    Jhomjhome brishti ar ilish machh bhaja.

    Jhomjhome brishti, ar Southern Avenue te amar bondhur saat tola barir janla diye puro Kolkata ta ke bhijte dyakha. Backgroundey 'baanwra mann'.

    Arsalaner biriyani.

    Nijhum dupur ar ekta jompesh goyenda golpo.

    Bochhorer prothom dhaaker awaaj.

    Mohaloyar din ghum chokhe Birendra Krishna Bhadra.

    Je kono sondhye te, ekdol bondhur sathe, ishot neshagrosto obosthay, Park Street diye hnete jawa.

    Sheeter sokale, Jadavpur ey amar departmenter corridor ey boshe boi pora ar komolalebu khawa.

    Amlan dar ebong Sukanta dar sei gaaye kNaata dewa Shakespeare ebong Milton er classgulo.

    Sonar Kella. Goopy Gain Bagha Bain. Sound of Music. Sholay.

    Majhraatey, leper tolay torch jaliye Sharadindu.

    Benarasey, bikeler dikey ek cup cha niye ghaater snirir opor chup kore boshe gonga dyakha.

    Chupchap dupurey S er sathe boshe boi pora. Ek boi pora noy kintu. Ami ekta boi porchhi, S arekta boi porchhe. Nijer mone. Shudhu pashapashi boshe.

    Brishti.


    (Ufff, KOTO KOTO achhe Kuntala di. Ekbar shuru kore thamtei parchhi na je!)

    ReplyDelete
    Replies
    1. বিম্ববতী, তোমাকে কলকাতা প্রচুর আনন্দ দেয় দেখতে পাচ্ছি।

      আমার অবশ্য বৃষ্টির সাথে ইলিশমাছের থেকেও মুড়ি তেলেভাজা বেশি প্রিয়। তার সাথে কামড়ে খাওয়ার জন্য একটা রামঝাল কাঁচালঙ্কা অ্যান্ড ভূতের গল্প। স্বর্গ।

      সাদার্ন অ্যাভিনিউতে সাততলা বাড়ি পাওয়ার জন্য আমি সিরিয়াসলি অনেক কিছু করতে রাজি আছি। যেগুলো আমি লোকসমক্ষে স্বীকার করতে চাই না।

      মহালয়া মিলেছে, ঢাকের আওয়াজ মিলেছে, সোনার কেল্লা মিলেছে, গুগাবাবা তো অফ কোর্স মিলেছে। বেনারসের বাকি সব ঠিকই আছে শুধু চারদিকে বড় গোবরের উৎপাত।

      পাশাপাশি শুয়ে বই পড়াটায় একটা বিরাশি শিক্কার হাই ফাইভ। আলাদা বই হওয়াটা মাস্ট। আমি একসাথে একটাই বই পড়ার চেষ্টা করে দেখেছি। মুখ দেখাদেখি বন্ধ হওয়ার ওর থেকে ফুলপ্রুফ রেসিপি আর হয়না।

      Delete
  5. ক্যাম্পারির রোল শেষ করার পর আবিষ্কার করা যে মাংসের একটা বড় খণ্ড কাগজের মোড়কে পড়ে আছে।

    দশমবার কোনো অ্যাস্টেরিক্স পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করা যে গত ন'বারে একটা জোক বা রেফারেন্স আমি মিস করে গেছি।

    ইটার্নল সানশাইন অফ দ স্পটলেস মাইন্ড দেখতে গিয়ে হঠাৎ "মেরা মন তেরা প্‌য়াসা" শুনে চমকে ওঠা।

    বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফেরা, তারপর গরম জলে চান করে কফি নিয়ে প্রচুর ক্লিশে-ভর্তি বলিউড বা তামিল সিনেমা দেখা।

    বিরক্তিকর কোনো রাত্রে, যখন শুধু হাঁটতে ইচ্ছে করে, বা তাও করে না, কোনোমতে টেনে টেনে হাঁটি, কাউকে ফোন করতেও ইচ্ছে করে না বা বাস-অটো-ট্যাক্সি ধরতে, তখন নিজের মনে "অন্ধেরি রাতোঁ মেঁ" গেয়ে নিজেই হেসে ফেলা।

    ছোটবেলার কোনো ছবি হঠাৎ খুঁজে পাওয়া। বিশেষ করে স্কুলের।

    অচেনা গোয়েন্দাগল্প পড়া।

    ক্রিকেটে অপ্রত্যাশিত ম্যাচ জেতা। মানে, সাংঘাতিক অপ্রত্যাশিতভাবে।

    গ্রীষ্মের দুপুরে রোদে সেঁকা চাদরের গন্ধ।

    হঠাৎ করে কোনো কোল্ড ড্রিঙ্কের দোকানে মিল্কোজ খুঁজে পাওয়া।

    ReplyDelete
    Replies
    1. তুই খুব ছোট। :D

      Delete
    2. কাগজের মোড়কে আত্মগোপন করে থাকা মাংসের টুকরো উদ্ধার করাটা সত্যি খুব আনন্দের মুহূর্ত। জিনসের পকেট থেকে ভুলে যাওয়া নোট বেরনোটাও।

      ইটারনাল সানশাইন...সিনেমাটার নাম শুনলেই আমার শরীরে কেমন একটা অস্বস্তি হয়।

      বৃষ্টিতে ভেজা, বাড়ি ফেরা, স্নান করা, কফি খাওয়া পর্যন্ত মিলেছে। একা একা হাঁটার ব্যাপারটাও।

      আর বিম্ববতী, মিলকোস একটা সাদারঙের কোল্ডড্রিংক। খুব খারাপ খেতে।

      Delete
    3. বাচ্চাদের ভুলভাল শেখাস্‌না। মিল্কোজ একটা স্বর্গীয় জিনিস।

      ইটার্নল সানশাইন অফ দ স্পটলেস মাইন্ড শুনে শরীরে অস্বস্তি হয় কেন?

      Delete
    4. সিনেমাটা দেখে অস্বস্তি হয়েছিল বলে বোধহয়। চরিত্রগুলোকে আমার পক্ষে বড় বেশি অন্যরকম মনে হয়েছিল তখন। ভালো লাগেনি।

      Delete
    5. jak ekjon ke paoa gelo jar ei cinema ta bhalo lageni! ami ei katha bollei sabai kemon tere ase!

      Delete
    6. রুচিরা, এবার থেকে তেড়ে এলে গম্ভীর মুখে বলবে, "তোরা কিন্তু সিনেমা ব্যাপারটা সত্যিই বুঝিস না" তারপর দেখ কীরকম জোঁকের মুখে নুন পড়ে।

      Delete
  6. sheet er dupur....rodh poyate poyate goyenda kahini pora

    gorom er bikel...ga dhuye, ponds sandal wood powder er kouto ta upor kore (nijer ebong mejer opore) chulta ghar theke opore tule clip kore, ekta drink...on the rocks:)) haate niye, andhokar boshbar ghore lamp jaliye rashid shaheb er nadan giya re gum gayo rey!

    barite jomjomat party...bandhu bandhab, adda, khawa dawa, jor golay tarko shob cholce, tar madhe hatat impromptu gaan er ashor

    raat 12 ta....shara para nijhum, laptop niye khate boshe paper likhte likhte hatat ekta notun idea....notun point baar kora!

    je kono vista point theke surjyoday ba suryashto.
    tobe (ebar ektu name drop korchi...maaf korben) angkor vat er sunrise aar serengeti'r sunset ke keu beat korte parbe na.

    ReplyDelete
    Replies
    1. মেঝের ওপর পন্ডসের কৌটো যতখুশি উপুড় কর শম্পা, তারপর তাতে আছাড় খেয়ে পা ভেঙো না। অন্ধকারে রশিদ খানের গলা আরও খোলে, তোমার সাথে আমি একমত।

      রাতে খাটের ওপর বসে তুমি পেপার লেখ, আমি ইউটিউব দেখি কিন্তু দুটো অভিজ্ঞতাই দুর্দান্ত। লা-জবাব।

      সেরেঙ্গিটিতে সানসেট!! হিংসে হিংসে।

      Delete
  7. 1. Kolkatar bari te pathor-ghorer khate boshe golpo - sobai mile.
    2. Shonibar bikel e Bhut-er sange hete hete Lake Market giye fuchka khaoa.
    3. Backcountry camping. Raate tent er modhye shuye shuye baire nodi'r shobdo shona.
    4. Saradin pore bari dhuke dorja khultei Mota ar May'r eshe paye matha ghosha, "meow" daak ar nake nake kora :-)
    5. Weekend e sokal e deri kore uthe, aro deri obdi coffee khete khete Arnab er sange khate boshe boshe nana rokom bokbok kora.
    6. Bandhobi der sange Gariahat e tukitaki kena.
    7. Puri te bus ta mor ghurtei prothom somudro dekha ar Darjeeling e hotat megh sorle Kanchenjungha!
    8. Ma-r sange kono boi/cinema'r discussion.
    9. Baba'r "chaliye jao, kono chinta nei. Sob bhaloi hobe" :D
    10. Eden Gardens e cricket match Kakabhai ar Basanta-da'r sange.
    11. Ilish machh!! :D
    12. Alarm shune otha, uthei mone pora "aj to chhuti"!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. মোড় ঘুরে পুরীর সমুদ্র দেখাটা আমি মিস করে গেলাম কীকরে! প্রথমটা কীরকম ধাঁধা লেগে যায় না রিয়া, এটা সমুদ্র তো নাকি আকাশটাকেই ভুল করছি? অনবদ্য। মনে করানর জন্য অনেক অনেক থ্যাঙ্ক ইউ রিয়া।

      তাঁবুর ভেতর শুয়ে নদীর শব্দ---শোনা হয়নি কখনও কিন্তু স্বপ্ন রইল। শনিবার সকালের ঘুম ভাঙাটাও অনবদ্য। ঠিকই বলেছ। খুব সুন্দর লিস্ট রিয়া। হাই ফাইভ।

      Delete
  8. আপনার লেখাটা পড়ে এই গানটা মনে পড়ে গেল... আমার খুব প্রিয় গান: http://www.youtube.com/watch?v=td8rLo-us3c
    আপনার ও ওপরে অন্যদের তালিকার সঙ্গে আমার অনেক কিছুই মিলবে - যেমন গোয়েন্দা গল্প, সোনার কেল্লা, গুপি গাইন, নিঝুম দুপুর, প্রথম সমুদ্র দেখা, নতুন খাতা, ইলিশ মাছ আর সবার ওপরে মহালয়া আর ঢাকের শব্দ|
    গ্র্যান্ড ক্যানীয়নে সূর্য উঠতে দেখা | নিজের এমন ফটো খুঁজে পাওয়া যার অস্তিত্ব জানতামনা | নতুন পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা | এলাহাবাদের গরমের বিকেলে মায়ের হাতের আমপোড়ার শরবত | না পড়া (বা ভুলে যাওয়া) টিনটিন বা এস্টেরিক্স |
    আমাদের বাড়ির সনোডাইন এমপ্লিফায়ার আর বড় কাঠের স্পিকারে গ্রামাফোন রেকর্ডে দেবব্রত বিশ্বাসের গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত, আর হেমন্তর গলায় গাঁয়ের বধু, রানার, পালকির গান | এই আইপড আর ডুমুরের সাইজের ইআরফোনে কি গান হয়? ছোঃ |
    সিনেমার পর্দায় প্রথম জুরাসিক পার্ক | কলকাতার গরমের দুপুরে ঘামতে ঘামতে নিউ এম্পায়ার এ গিয়ে এমন একটা জগতে প্রথম হারিয়ে যাওয়া যেখানে বিশাল বিশাল টেবিলের চারপাশে ইস্কুলের নতুন ছাত্রেরা খেতে বসে, তাদের মাথার ওপর শুন্যে ভেসে থাকে মোমবাতি আর তার ওপরে ছাদে আকাশ দেখা যায় | বাড়ি ফেরার পথে বাসের ভিড় যেন গায়েই লাগেনি সেদিন - আমি অন্য কোনো জগতে ছিলাম |
    শীতের সন্ধ্যায় চিনেবাদাম আর ঝাল নুন, কিম্বা ধনেপাতার ঝাল চাটনি |
    দিল্লি এয়ারপোর্টের কাস্টমস আর ইমিগ্রেশন পেরিয়ে ডোমেস্টিক টার্মিনালের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া |
    বহুদিন আটকে থাকার পর কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রামের সব সমস্যা নির্মূল করে চালু করতে পারা এবং মনের মতন রেজাল্ট দেখতে পাওয়া |
    নাহ, এর কোনো শেষ নেই | পড়ে মনে পড়লে আরো লিখব | মনটা কিন্তু অলরেডি অনেকটা ভালো হয়ে গেল |

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমারও মন ভালো হয়ে যাচ্ছে সবার কমেন্ট পড়ে। আনন্দের উপকরণ যে এত আছে কে জানত।

      আপনার লিস্টের প্রত্যেকটা জিনিস আমার লিস্টেও থাকতে পারত। নতুন পূজাবার্ষিকী, রানার, জুরাসিক পার্ক। আমি সিনেমাটা দেখতে গিয়ে টেনশনে রুমালের চারপাশের হেম-সেলাই দাঁত দিয়ে খুলে ফেলেছিলাম। নিউ এম্পায়ারের বর্ণনাটা অদ্ভুত দিয়েছেন। ছোটবেলায় সবকিছুকেই কী ইম্প্রেসিভ লাগত ভেবে এখন কষ্ট হয়। এখনও যদি সেরকম হত।

      চিনেবাদাম আর ঝাল নুন। সুখের শেষ কথা। কাস্টমস পেরোনোর মুহূর্ত। সব সব সব মিলেছে।

      Delete
  9. প্রথমেই বিম্ববতী কে "Dis or Dat: এই বই সেই বই"- এর comment-এ দি(??!!) বলা টা উয়িথড্র করছি। কারণ, আমি জানি মিল্কোজ কি জিনিস। আর, কুন্তলাদি,মোটেই সেটা খারাপ খেতে নয় ! :)
    তোমার এই লেখাটা পড়ে অদ্ভুত মন কেমন করা ভাললাগায় ভরে গেলাম। বিশেষ করে "লোডশেডিং + ছাদ + মাদুর + হাতপাখা + মায়ের গান।"- কিছুতেই মন সরাতে পারছি না এটা থেকে !সাথে ভিড় করছে আরো সব হারিয়ে যাওয়া আনন্দ-রা।লোডশেডিং-প্রসঙ্গেই, মাঝরাতে অনেকক্ষণ কারেন্ট না থাকার পর হঠাৎ করে পাখা ঘুরতে শুরু করার পরের বাকি ঘুমটুকু! ওই আরামের আনন্দটা এখনও feel করতে পারছি!"গ্রীষ্মের দুপুরে রোদে সেঁকা চাদরের গন্ধ।"!!!!এটা আরও কারুর ভালো লাগতে পারে ভাবতেই ভালো লাগছে!সাথে শীতের রোদ্দুরে সেঁকা লেপ-ই বা বাদ থাকে কেন? আমি বড্ড শীতকাতুরে। শীত পড়তে না পড়তে বায়না ধরতাম,মা লেপ বার করো! আর যেদিন কম্বলের বদলে লেপ পেতুম, রোদের গন্ধমাখা লেপ- আআহ!!!
    ঋতুর প্রথম কালবৈশাখী !বৃষ্টি ভিজে এসে এলো চুল পিঠে মেলে বিছানায় উপুড় হয়ে গীতবিতানের পাতা ওলটানো ।কিম্বা মায়ের সাথে শিলাবৃষ্টির সময় শিল কুড়োতে উঠোনে ছোটাছুটি, আর সেগুলো কুড়িয়ে মুখে পোরা। :)
    ছোটবেলায় নাটকের রিহার্সাল,বা ফাংশানের তোরজোড়!
    গরমের ছুটির বিকেলে কুলফিওয়ালার টিং টিং ঘণ্টি !
    গোয়েন্দা গল্প, সোনার কেল্লা, গুপি গাইন, নিঝুম দুপুর, নতুন খাতা,মহালয়া আর ঢাকের শব্দ -এসব আমারও।নতুন পূজাবার্ষিকী, রানার ,মোড় ঘুরে পুরীর সমুদ্র দেখা। যেগুলো সবাই বলে ফেলেছে অলরেডি।
    কোন কোন বিকেলের অদ্ভুত সোনালি আলো- অনেক দূরের মেঘ,যাতে আকাশ টাকে আরও অনেক উঁচু লাগে। গঙ্গার ধার। জেট প্লেন। আর তার সাদা দাগের আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাওয়া দেখতে থাকা, দেখতে থাকা।
    আর বৃষ্টি। একমাত্র বৃষ্টি পারে আমার মনকে যখন তখন ভালো করে দিতে।আমি বৃষ্টি পাগলের মত ভালবাসি।বৃষ্টির মধ্যে গঙ্গায় ভাসতে ভাসতে জলের মধ্যে জলের শব্দ শোনা।খুব নেশার মত লাগে।
    আর একটা,একটু উদ্ভট ভালো লাগা,অনেকদিন পর ধুম জ্বর আসা। বিশেষ করে একটু বড় হওয়ার পর থেকে।জ্বরের ঘোরে কপালে মায়ের ঠাণ্ডা হাত।ওটার ওপর আমার সাংঘাতিক লোভ!
    লিস্ট বাড়তেই থাকবে,এবার ইতি টানা দরকার।

    ReplyDelete
  10. ওহহো ! আরো একটা মনে পড়ল ! ছুটির দুপুরে ছাদে বসে মাকে লুকিয়ে আচার, তেঁতুল মাখা খাওয়া ।আর আমড়া মাখার সাথে জিভের ডগায় একটু current নুন!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হুম সবগুলোই প্রায় মিলেছে আমার সাথে। আমরা ইলেকট্রিক নুন বলতাম অবশ্য। জ্বরকে আমিও খুব মিস করি হিয়া। জ্বর বা যে কোনো শরীর খারাপ, মাকে অফিস কামাই করিয়ে সারাদিন পাশে বসিয়ে রাখা নিয়ে কথা।

      Delete

Post a Comment