কার পুজো?



হ্যালো হ্যালো হ্যালো! কতদিন পর দেখা! কেমন আছেন? আমি তো অবান্তর আর আপনাদের ছাড়া গত বাহাত্তর ঘণ্টা প্রায় অর্ধমৃত হয়ে ছিলাম বলা চলে। যা খাচ্ছিলাম---সামোসা থেকে স্যান্ডুইচ---সব বদহজম হয়ে যাচ্ছিল। কারণে অকারণে বান্টিকে দাঁত খিঁচোচ্ছিলাম, রাতের ঘুম পর্যন্ত ঠিকমত হচ্ছিল না। মাঝে মাঝেই ছিঁড়েখুঁড়ে যাচ্ছিল। বিছানায় শুয়ে জানালার বাইরের আবছা অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে গাছের পাতার ছায়ানাচ দেখছিলাম আর বরফি-র লাস্টসিনে রণবীর কাপুর আর প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার হাসপাতালের বেডে সহমরণের দৃশ্যটা মনে পড়ে কীরকম কান্নাকান্না পেয়ে যাচ্ছিল।

বাস্তবের রক্তমাংসের খাঁদাবোঁচা মানুষের দুঃখকষ্টের থেকে রূপোলি পর্দার সুন্দরসুন্দর নারীপুরুষের দুঃখ আনন্দ রাগ অভিমান সবই আমাকে অনেক বেশি গভীরে স্পর্শ করে, এটা আমি আগেও খেয়াল করেছি। আপনাদেরও কি এরকমটা হয়?

মায়ের কাছে শুনলাম এবছর নাকি আমাদের পাড়ার পুজোর সুবর্ণজয়ন্তী। আমাদের পাড়ার ইতিহাস ভূগোলের গল্প কি করেছি আপনাদের এর আগে? “গঙ্গার পশ্চিম কূল/ বারাণসী সমতুল।” সেই বারাণসীর একটি প্রান্তে আমাদের পাড়া। আশপাশের সুভাষনগর, নবীনপল্লী, মৈত্রীপরিষদ আর দাসপাড়ার ভিড়ের মধ্যে ইংরিজি নামওয়ালা মাথাখানি সগর্বে উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইংরিজি নাম কারণ পাড়াটা যারা পত্তন করেছিলেন তাঁরা সব ছিলেন সাউথ-ইস্টার্ন রেলওয়ের দিশি সাহেব। সাহেবদের দূরদৃষ্টি খর ছিল। চাকরি থাকতে থাকতে কো-অপারেটিভ গড়ে শহরতলিতে পানচাষের বিঘা বিঘা জমি জলের দরে কিনে নিয়ে অবসরে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আমাদের পাড়াটা আধুনিক আবাসন প্রকল্পের একটা মান্ধাতার আমলের নমুনা বলতে পারেন। তফাৎ শুধু এই যে আজকালকার আবাসনের সব বাড়িগুলোকে আইডেন্টিক্যাল খুপরির মতো দেখতে হয়, আমাদের পুরনো পাড়া একতলা, দোতলা, তিনতলা, লাল নীল গোলাপি সাদা রঙবেরঙের বাড়ি দিয়ে সাজানো। বাড়িতে বাড়িতে আম জাম কলা কাঁঠাল থেকে শুরু করে শেওড়া পর্যন্ত পাবেন। আর ওদিকে গোলাপ টগর গন্ধরাজ রঙ্গন থেকে সিজন বুঝে গাঁদা চন্দ্রমল্লিকা ডালিয়া। উঁহু টবে নয়, মাটিতেই। নীলজল সুইমিংপুলের বদলে অশ্বত্থগাছের মস্ত ছায়াফেলা টলটলে কালোজলের পুকুর। এয়ারকন্ডিশনড কমিউনিটি সেন্টারের বদলে হলুদ দেওয়াল আর কালো বর্ডার দেওয়া লাল মেঝের দুর্গামণ্ডপ। মণ্ডপের একপাশে ক্যারামবোর্ড পাতা ক্লাবঘর আর অন্যপাশে ছোট্ট লাইব্রেরি। সে লাইব্রেরিতে হ্যারি পটার নেই কিন্তু হীরু ডাকাত আর হীরেমন তোতার গল্প যত চাও তত আছে।

তবে এতকিছুর মধ্যে আমার মনোযোগ সবথেকে বেশি কাড়ত পাড়ার ছোট্ট পার্কটি। এখন যেগুলোকে সবাই কিডজ কর্নার বলে। আমরা বলতাম সুকান্ত শিশু উদ্যান। আমাদের সেই স্বর্গোদ্যানটিতে আমরা সারা বিকেল ধরে লাফাতাম, ঝাঁপাতাম, স্লিপ খেতাম আর ঢেঁকি চড়তাম, ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে দাঁতের পাটির অ্যালাইনমেন্ট সারাজীবনের মতো বরবাদ করে মায়ের সখেদ মাথা নাড়ার সাক্ষী হতাম।

সেই পাড়ার দুর্গাপুজো এইবার পঞ্চাশ বছরে পড়বে। হইহই রইরই ব্যাপার হচ্ছে নাকি। ভুষো ত্রিপলের বদলে পতপতে সাদানীল প্যান্ডেল অলরেডি বাঁধা শুরু হয়ে গেছে, ভাসানে কেবলমাত্র ঢাকের ভরসায় না থেকে তাসাপার্টির বরাত দেওয়া হয়েছে। নাচ জমবে খুব। তৃতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত ঠাসা অনুষ্ঠানসূচি। ছেলে বুড়ো বাচ্চা সবার মনোরঞ্জনের রসদে ভরপুর। প্রদীপ জ্বালানো আর শাঁখ বাজানো তো অনেকদিনই ছিল, এবার শুনছি ‘দাদা নম্বর ওয়ান’ বলে আরেকটা কী যেন ব্যাপার হচ্ছে। পাড়ার দাদারা, যারা চিরকাল মঞ্চের বাইরে থেকে স্ত্রী-সন্তানকে উৎসাহ দিয়ে আসছেন, তাঁদেরও লাইমলাইটে আসার সুযোগ করে দেওয়া আরকি। কুঁচোকাঁচাদের নিয়ে অর্পিতাকাকিমার বাৎসরিক ঘষামাজা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। জরাজীর্ণ তাসের দেশ আর চিত্রাঙ্গদার বদলে এবছর লোপামুদ্রার কবিতাসঙ্গীত সহযোগে সালসা-জুম্বার মেডলি হচ্ছে। তবে সূচির মধ্যে শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ নবমীর সন্ধ্যেয় তিন অঙ্কের মিনি নাটক “বৌদির বিয়ে”। আদানুন খেয়ে রিহার্সাল চলছে। মা একদিন দেখতে গিয়েছিলেন। বললেন, নামভূমিকায় বুচিদিদি নাকি সাবিত্রী চ্যাটার্জির লেভেলের অভিনয় করছে।

এতসব কাণ্ড হচ্ছে, আমি মিস করছি কিনা জানতে চাইছেন? সত্যি কথা বলতে গেলে একটুও করছি না। অনেকদিনই করি না। কেন করিনা কে জানে। নস্ট্যালজিয়ার নাড়িও কেটে ফেলিনি কিংবা বুক ঠুকে নিজেকে নাস্তিকও ঘোষণা করিনি। তবু আমার পাড়ার না-দেখা পুজোর কথা মনে পড়ে একটুও মনখারাপ হয় না। অদ্ভুত।

কিংবা হয়তো অদ্ভুত নয়। হয়তো আমার স্মৃতিতে তুলে রাখা দুর্গাপুজোর সঙ্গে এই জয়ন্তী-উদযাপন করা থিমপুজোর কোনো মিল নেই বলেই আমার এই পুজোগুলোর প্রতি বিন্দুমাত্র টান নেই। আমাদের বাবামায়েদেরই কি আছে নাকি, আমাদের পুজোগুলোর প্রতি? একটুও না। পুজোর গল্প বলতে বললে আমার মা এখনো সাত বছর বয়সে সেজদি কেমন তাঁদের গাল টিপে ধরে কপালে কুমকুমের টিপ আর টিপের ওপর অভ্রগুঁড়ো ছড়িয়ে পাড়ার ঠাকুর দেখতে পাঠাতেন, সেই গল্প জোড়েন। বাবা বলেন ওই পাঁচটা দিন কেমন বন্ধুবান্ধব মিলে সাইকেল নিয়ে গোটা শহরের সমস্ত প্যান্ডেল চষে ফেলতেন তাঁরা। আর দুজনেই বলেন গানের কথা। কলকাতা শহরের আকাশ বাতাস ছেয়ে ফেলা মানবেন্দ্র হেমন্ত মান্না লতা তালাত দ্বিজেন। কী সব পুজোর গান। বলতে বলতে এখনো দু’কলি গলায় এসে যায় তাঁদের। এখন যেমন দাদা নাম্বার ওয়ান হয়, তখন তেমনি নাকি পাড়ায় পাড়ায় ম্যারাপ বেঁধে জলসা বসত। সারারাত্রিব্যাপী। দূর থেকে মাইকে তবলা বাঁধার টুং টাং থামলেই একখানা মসলিনের মতো গলা গেয়ে উঠত, “নাম রেখেছি বনলতা...” আর অমনি চারদিক থেকে “শ্যামল...শ্যামল...”

“আমাদের সময় সুমন নচিকেতা স্টেজে উঠলে যেমন হত? অথবা আজকাল রূপম, অনুপমরা স্টেজে উঠলে যেমন হয়?”

বাবা মা এমন মুখ করে আমার দিকে তাকান যেন আমার মাথাখারাপ হয়ে গেছে।

“ব্যান্ড? ছোঃ। তাহলেই হয়েছে।”

বুঝি, ওঁদের পুজোর সঙ্গে আমাদের পুজো মেলাতে যাওয়াটাই ভুল। সময় আলাদা, আলাদা সমাজ। শ্যামল মিত্রের সঙ্গে শিলাজিতের তুলনা কি হয়? নাকি হওয়া উচিত? ঠাকুরের মুখের ছাঁদ থেকে মহিষাসুরের হেয়ারস্টাইল, ঝাড়লণ্ঠনের প্যাটার্ন থেকে আলোকসজ্জার থিম---সব আমূল বদলে গেছে। তবে সবথেকে বড় বদলটা বোধহয় ঘটেছে ভক্তের। মন, শরীর, দেখার চোখ। সব বদলেছে। যে কানে ঢাকির ছেলের অপটু হাতের কাঁসর ম্যাজিকের মতো শোনাত তার এখন বিckরম ঘোষের বিট-বাদ্য ছাড়া মনই ওঠে না। এই আমার কথাই ধরুন না। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে প্রথমবার গোলাপিরঙের বুড়ির চুল খেয়ে মিষ্টির চোটে দাঁত কনকন করেছিল তবু শেষ না করে ছাড়িনি। আর মনে আছে শেষবার পুজো দেখতে গিয়ে ফুচকা খেতে গিয়ে পাশে হাঁ-করা হাইড্রেন দেখে শিউরে উঠে পায়ে পায়ে পিছিয়ে এসেছিলাম।

এই ক্যালরিমাপা, ফুচকাহীন, ভিড়-দেখে-ভুরু-কোঁচকানো পুজো এল না গেল, সে নিয়ে সত্যি হেলদোল নেই আমার। কিন্তু তাও আমি চাই পুজোটা আসুক। সবাই প্রাণ ভরে আনন্দ করুক, রাত জেগে ভিড় ঠেলে ঘেমেনেয়ে ঠাকুর দেখুক, মটনরোল সাঁটিয়ে জেলুসিল খাক। “বৌদির বিয়ে” দেখতে মাঠ-ওপচানো ভিড় জমুক। নিজের জন্য নয়। যারা এবার প্রথম ন্যাড়ামাথায় ওড়না বেঁধে বেণিমাধব কবিতার সঙ্গে নাচবে, যেমন বুচিদিদির স্কুলে যেতে শুরু করা কন্যা, তাদের জন্য চাই। যাতে ওরা সবাই একটা করে নিজস্ব পুজো পায়। আর সে পুজোর স্মৃতি বুকের মধ্যে জাপটে ধরে জীবনভরের অন্য পুজোগুলো, অন্যদের পুজোগুলো, কাটিয়ে দিতে পারে।


ছবি গুগল ইমেজেস থেকে


Comments

  1. বাহ! সক্কাল সক্কাল সুন্দর একটা লেখা পড়ে মনটা ভালো হয়ে গেলো। খাঁটি কথা- পুজো এককথায় কম বয়সের। মানে মনের দিক থেকে আর কি- বাকিটা স্মৃতি আর ওই বয়সটা ফিরে পাওয়ার গোপন ইচ্ছের যুগলবন্দী।
    দারুণ হয়েছে! :)
    ও হ্যাঁ, বরফি দেখে বিচ্ছিরি রকম জল ঝরানোর পর থেকে যাদের সঙ্গে দেখতে গেছিলাম, তারা বেজায় আওয়াজ দিচ্ছে :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. তুমি উল্টে আওয়াজ দাও সুনন্দ। বল যে তাদের মনের কোমল প্রবৃত্তিগুলো যদি তাঁরা অনেক আগেই কচুকাটা না করে ফেলত তাহলে তাঁদেরও জল ঝরত। ঘুরিয়ে পাষণ্ড বলে গালি দাও আরকি।

      Delete
  2. Replies
    1. ধন্যবাদ ধন্যবাদ শকুন্তলা।

      Delete
  3. লেখাটা খুব ভাল লাগলো| আরে কি আশ্চর্য্য, আমাদের পাড়ার পুজোরও তো এবার রজত জয়ন্তী বর্ষ| এবারে খুব ঘটা করে পুজো হচ্ছে, রোজ ই ফোনে নানান খবরাখবর পাই| প্যান্ডেল বাঁধা শুরু হয়ে গেছে বহুদিন আগে থেকে| তবে বরফির লাস্ট সিন টা বলে দিয়ে কি ভাল করলেন? নাহয় কাজের চাপে সিনেমাটা দেখে ওঠা হয়নি, তা বলে এ সপ্তাহে যে দেখতে যেতামই না সেটা কি জোর দিয়ে বলা যায়? :-(

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আমাদের পাড়ার পুজোরা সব সমবয়সী দেখছি। গুড গুড। আরে আমি ভাবছিলাম একটা স্পয়লার অ্যালার্ট দিয়ে দেব, তারপর কী মনে করে আর দিলাম না। সরি সরি। কান ধরছি।

      Delete
  4. Jak phire esechho :-) baddo khali khali lagchhilo. Ekebare dhaker baddi nie esechho. Besh laglo pore.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাঙ্ক ইউ রুচিরা। ফিরে এসে আমিও হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছি বিশ্বাস কর।

      Delete
  5. lekhata darun hoyeche..songer chabitao asamanyo:)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ ধন্যবাদ।

      Delete
  6. গত বাহাত্তর ঘণ্টা আমিও একটু২ অবান্তর কে miss করেছি... :)
    আর লেখাটা এককথায় মনের কাছাকাছি হয়েছে, ভাল লাগলো

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা আমি তোমাদের এত মিস করলাম, তোমরা অন্তত একটু অবান্তরকে মিস না করলে ভালো দেখায় নাকি সংহিতা? লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে হ্যাপি।

      Delete
  7. barfi r last scene bole bhalo korle na kintu... besh khideta jomachhilum... :(
    pujoy pandal hopping ba madox square e jawar craze ta nei bollei chole ekhon.. khanikta songir obhab, khanikta moner aloshyo...ar bosepukurer samne jokhon 2 mile lomba line dekhi, tokhon bhetorer sob creativity kei duur theke nomoskar janiye aste ichhe kore.
    pujor ekhon 3 te plus point. 1.purono chhitke chhotke jawa bondhudre sathe dekha hoe nirbhejal adda...2.khawadawa 3. amar puchki meyetake nana rongbirongi jama pore ghurte dekha..

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে সোহিনী, সরি সরি। কান ধরছি। তুমিই বা এতদিন ধরে টাঙিয়ে রেখেছ কেন সিনেমা দেখা? এইসব জরুরি কাজ কি ফেলে রাখতে আছে? এবার পুজোয় তোমার অনেক আনন্দ হয় যেন, সেই কামনা করি।

      Delete
    2. Arey amader to shoshthi'r dine badha dhora chhilo Deshapriya park er giant wheel chora. Jara nagordola chorte bhoy paye tader to Bhut ar ami kripar chokkhe dekhi :) Tachhara ekdin Kakabhai-Pishimoni ar amader family friend Guha-kaku der sange 3-4 te gari te thashathashi kore boshe North Calcutta-y jaoya, Bagbazar e eshe borora cha kheto, ami ar Dadabhai (sei buro boyesh porjonto) candy floss khetam. Aro agey amader Austin 40 te chore thakur dekha hoto, seta amr khub jhapsa mone ache. Bhut o tokhon ma-der kole boshto eta jani.
      Ekhon ar ei Vedanta Society'r kagoj er thakur dekhar kono mane hoy na. "Uttaran" er ekpal doladoli kora bangali ke dekhte jeteo poshay na amar. Amar oi Deshapriya park, Maddox square ar Shovabajar rajbari'r thakur ke mone rakhai bhalo. Abar kichu bocchor bade chhuti jomle pore pujoy jabo Kolkata :)

      Delete
    3. aami gatobochar pujoy kolkatay giyechilam. orre baba re shey ki bhir....tsunami bolle chole. aami tow dubar dolchara hoye gelam. tao tow aamra raat 11 tay pujo dekhte beriyechilam. sheshe jakhon bhor charte tokhon pandel gulo ektu khali khali (ekdom khali noy, motamuti lokjon achey)...tai bhore er diker thakur/pandal gulo bhalo kore dekha gelo. tobe lighting-pandal aar decoration has reached a new high! aami aar kothao eto bhalo lighting dekhini!

      Delete
    4. Ha, pandal er karukarjo-o. Ogulo ar craft nei, art hoye geche bola jete pare. Tobe ha, oi bhir ar sojhyo hobe kina ke jane...amar to ei Vedanta Society tei bhir dekhe matha ghure gechilo. Tobu to tader kagoj-er thakur.

      Tomra keu "kagoj er thakur" niye kono comment korcho na keno?? :P

      Delete
    5. swayang thakur e jakhon kagoj er takhon (matir) manush aar ki bolte pare. tobe bidesh e eshe aamar bariteo kagoj er saraswati thakur diye pujo hoyechilo. thakur kagojer hole ki hobe amader enthu diyei baji maat kore hoye
      gelo :))

      Delete
    6. Amar abar chhoto chhoto chhobi eshechilo Saraswati ar Vishwakarma'r. Ami ei 2 thakurer khub fan :) Pujo-o hoy majhe majhe. Vishwakarma pujoy khub ghota! Arnab er ekta YAAA GOBDA haturi ache, seta theke shuru kore je bochhor Windows 7 berolo seta, tachhara amra je je product e kaj kori tar sticker, smartphone, ar ja ja hoy sob rakha hoy.
      Lakshmi pujo te ami panchali pori ar fall er decorations hoy. Sob kichur sange Mota der khabar o deya hoy thakur ke jate otao prosad hoy. Oh, ar dhupdani nei bole Ganesh er shurer modhye diye dhup rakha hoy. Dhup gulo sob local pine er gondho-ola :) Mix-and-match pujo jake bole.
      Tobe hya, sobtai holo amra ki situation e achi tar opor.

      Delete
    7. আহা রিয়া তোমাদের ঠাকুর দেখতে যাওয়ার গল্প শুনে খুব ভালো লাগল। একগাদা লোকজন না হলে কি পুজো জমে? আমিও জায়েন্ট হুইল চড়তে পাগলের মতো ভালোবাসি, পুজোতে কখনো কলকাতা একসঙ্গে চলে গেলে তুমি আমি সোহিনী আবার চড়ব।

      আর কাগজের ঠাকুর মানে কি অরিগ্যামি করে বানিয়েছে নাকি গো?

      আর শম্পা, আলোকসজ্জার ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমাদের এঁদো রিষড়ায় যেসব ব্যাপারস্যাপার হচ্ছে শুনছি তাতেই তো চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হচ্ছে।

      রিয়া, সরস্বতী পুজোয় হাতুড়ি! এই প্রত্থম শুনলাম।

      Delete
    8. na na ota vishwakarma pujoy chilo!!

      Delete
  8. K IS BACKKKKKK! with a fatafati (na phataphati!!) post :))

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ শম্পা।

      Delete
  9. ei to! majhraate office theke firey eirom ekta post poRey ghumote jawar moja-i alada. thank you Kuntala.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম।

      Delete
  10. বুঝেছি তোমার মতলব। তুমি মিস্‌ করোনা, কিন্ত এখনকার বাচ্ছাদের এমনভাবে পূজো উপভোগ করাতে চাও যে তারা যেন তোমার বয়সে এসে পূজো মিস্‌ করে। সত্যি করে বলতো, আজ যদি 'বৌদির বিয়ে'তে উপস্থিত থাকতে, সাথে তোমার ছোটবেলার পূজোর সাথীরা তাহলে তাদের সাথে প্রাণভরে গপ্প 'তোমার পূজো'টা একটু হলেও ফিরে পেতে না? বিদেশের পূজোতে তো তোমার সেই গল্পের সাথীরাই নেই। এখানে তো বেশীরভাগই সপ্তাহান্তের পূজো আর পূজোর আড্ডা মানে কার কবে কিকরে গ্রীনকার্ড এসেছে/আসবে। এ দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো বই আর কিছু নয়। আর 'বিckরম ঘোষ' ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না তো? ঐ ইংরিজি বর্ণদুটো কি আলাদা কিছু বোঝাতে চাইছে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. এমা পড়ে তাই মনে হল নাকি আবির? যাঃ বোঝাতে পারিনি তাহলে।

      ck-র অর্থঃ বিক্রম ঘোষ নিজের নামের বানান Bickram লেখেন। তাই আমিও লিখলাম আরকি।

      Delete

Post a Comment