শুভ বিজয়া


ঐতিহ্য শব্দটা শুনলেই আমার কীরকম ধারা সরষের তেলের বিজ্ঞাপনটার কথা মনে পড়ে যায়। সেই যে বাহারি রেলিঙের আলোছায়া ফেলা চকমেলানো বারান্দায় সোনালি রঙের গিলে করা পাঞ্জাবি আর ধাক্কা পাড়ের ধুতি পরা একজন ভদ্রলোক আরামকেদারায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন, আর মাদুর্গার মতো দেখতে একজন মাসিমা গা ভর্তি গয়না আর গরদের শাড়ি পরে মাথায় ঘোমটা টেনে, ইয়াব্বড় এক থালায় ঢিবি করা ইলিশমাছভাজা এনে (ধারা সরষের তেলে ভাজা) ভদ্রলোকের মুখের কাছে ধরছেন, আর ভদ্রলোক একখানা পুরুষ্টু দেখে মাছ হাতে নিয়ে, আহ্লাদে চোখ কপালে তুলে তাতে কামড় বসাচ্ছেন---এই ছবিটা।

আমার মায়ের ভাষায়, দেখলেই বোঝা যায় ব্লু ব্লাড। আমার সাউথ-ইস্টার্ন রেলওয়েজের কেরানি পিতামহ কিংবা উদ্বাস্তু হয়ে আসা এবং পরবর্তীকালে মহাকরণের করণিক মাতামহ কাউকেই আমি ওই ছবিটায় কল্পনা করতে পারিনা। কালেভদ্রে তাঁরাও ইলিশমাছভাজা খেতেন নির্ঘাত, কিন্তু সে সোঁদা রান্নাঘরে বাবু হয়ে বসে, স্টিলের থালায়, বাড়া ভাতের পাশে, একটা কিংবা মেরেকেটে দু’টো পিস। তাও কি শান্তি করে খাওয়ার জো ছিল? খেতে খেতে একশোবার করে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে হত, “ওরা খেয়েছে? তোমার আছে? সত্যি করে বল কিন্তু...” হ্যানাত্যানা।

আমার কেন যেন ওই বড়বাড়ির ছবিটার থেকে এই ছবিটা কোনো অংশে কম তো লাগেই না, বরং সত্যি বলছি একটু বেশিই ভালো লাগে।

যাই হোক ঐতিহ্য নিয়ে কথা হচ্ছিল, হঠাৎ করে ইলিশমাছটাছ কোত্থেকে এসে পড়ল কে জানে। লোকের একটা ধারণা আছে ঐতিহ্য বুঝি শুধু ব্লু-ব্লাডদেরই থাকেযেমন ধরুন এই যে সিঁদুরখেলার ব্যাপারটা। সব পাড়াতেই হচ্ছে, সব কাকিমা জেঠিমারাই নড়বড় করতে করতে টঙে চড়ে মাদুর্গার গালে পান বোলাচ্ছেন, একগাল হেসে একে অপরের সিঁথিতে, গালে, শাঁখায় সিঁদুর ছোঁয়াচ্ছেন, সব পাড়াতেই ছোটরা তাঁদের পায়ে পায়ে ঘুরছে, বলা যায় না থালা থেকে একখানা সন্দেশ যদি টাল খেয়ে নিচে পড়েই অমনি ক্যাচ লুফবে---অথচ ই-টিভি তাঁবু ফেলে বসে আছে ওপারের দাঁ-বাড়ির প্যান্ডেলে। কী? না ঐতিহ্য। দাঁ-বাড়ির খাঁ-খাঁ প্যান্ডেলে দু’চারজন বউ নেহাত চক্ষুলজ্জার খাতিরে প্রতিমাবরণ করছেন আর মনে মনে ভাবছেন, কখন এই মশার আড্ডা থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে ম্যাসাচুসেটসে গিয়ে হাঁফ ছাড়ব, তবু তাঁদেরই পেছন পেছন গদগদ সঞ্চালক পোষা কুকুরের মতো মাইক নিয়ে ঘুরছেন। “একটু বলুন কেমন লাগছে?” বউমারা অমনি একগাদা মিথ্যে কথা হড়হড়িয়ে বলে গেলেন, “দাআআআআরুণ। সারাবছর তো এই সময়টার দিকেই তাকিয়ে থাকি, কবে পুজো আসবে, কবে বাড়ি যাব, কবে প্রোমোটারের হাতে বাড়ি সঁপে দিয়ে হাড় জুড়োব...”

শেষ লাইনটা অবশ্য বলা হয়ে ওঠেনা। তার আগেই বিচক্ষণ বড়জা পেছন থেকে রামটিপুনি দেন।

তবু তাঁদের ঐতিহ্য নিয়েই সবার মাতামাতি, লাফালাফি, চক্ষে হারানো।

আমি রেগে গেছি। এ কী অন্যায় কথা? সাধারণ বাঙালিঘরের যে ছোটছোট কত রীতিরেওয়াজ, নিয়মকানুন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলতে চলতে সেগুলোও তো পারিবারিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে, সেগুলোর খবর কে রাখবে? ই-টিভি পাত্তা দেবে না, না দিকগে, আমিই আমার বাড়ির বিজয়ার বৃত্তান্ত লিখে রেখে যাব। যাতে আমার নাতিপুতিরা কখনো বুড়োবয়সে ভীমরতি ধরলে ঠাকুমার ল্যাপটপ খুলে আবার এসব শুরু করতে পারে। তাদের নাতিপুতিদের হাহাহিহি গা-টেপাটিপি উপেক্ষা করেই।

আমাদের বাড়ির বিজয়া আমাদের পাড়ার বিজয়ার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়ানো। মানে ধরুন দশমী লেগে গেছে সকাল দশটায় কিন্তু আমরা ততক্ষণ কেউ কাউকে প্রণাম, নমস্কার, কোলাকুলি কিচ্ছু করবনা যতক্ষণ না পাড়ার প্রতিমা পুকুরে ফেলা হবে। অর্থাৎ কিনা যতক্ষণ ঠাকুরের সামনে ভাসানের নাচ চলবে। অর্থাৎ কিনা যতক্ষণ পল্টু, বিল্টু, বোটন আর টুকাইয়ের সিদ্ধির নেশা না নামবে।

যখন নেশা নামে, কিংবা বড়রা চড়চাপাটি দিয়ে, “অনেক হয়েছে, আবার পরের বছর নাচিসখ’ন” বলে ঠেলেঠুলে ঠাকুরের সামনে থেকে সবাইকে সরিয়ে দেন তখনই হঠাৎ সবকিছু সিরিয়াস আর গম্ভীর আর কীরকম দুঃখ দুঃখ হয়ে যায়। মাদুর্গার সিঁদুর, সন্দেশ মাখামাখি মুখখানা পর্যন্ত। অসুরকে দেখেও মায়া লাগে। তারপর ছেলেপুলেরা “হেঁইও” বলে এমন চাগাড় দেয় যে ওই বিরাট দশাসই মাদুর্গা নিমেষে শূন্যে। চারদিক থেকে “সামলে সামলে দেখে দেখে” রবের মধ্যে দিয়ে কাদাভর্তি পিছল মাঠের ওপর দিয়ে হেঁটে কোনোমতে পুকুরঘাটে পৌঁছনো হয়। দাদুরা, যারা এই অসাধ্যসাধনটা বছর তিরিশ আগে শেষ করেছিলেন, এখন ধুতি লাঠি চশমা হিয়ারিং এড সামলাতেই অস্থির, তাঁরা পেছন পেছন ছুটে এসে বলেন, “নামিয়ে রাখো নামিয়ে রাখো, একটু জিরিয়ে নাও।” জিরোনো জরুরিও কারণ এর পরেই আছে সাতপাকের ব্যাপার। ঘাটের পিছল চাতালে ওই দুম্বা দুর্গা চাগিয়ে সাতবার ঘোরা, ভাগ্যিস ছেলে হয়ে জন্মাইনি। তার ওপর তো চারদিক থেকে ইয়ার্কিফাজলামির নিরবিচ্ছিন্ন স্রোত তো আছেই। “ভালো করে ঘোরা, মাদুর্গা খুশি হয়ে সুন্দরী বউ দেবেন”। আছে সারাবছরের শত্রুতা মেটানো। “এই তো মোটে পাঁচ হল, আরও দুবার ঘোর বলছি”।

সেসবও শেষ হয়। টেনে রাখার আর কোনো অছিলাই বাকি থাকেনা। শেষ আশ্বিনের হিম পড়ে আমাদের পুকুরের কালো জল তখন বেশ ঠাণ্ডা। তার মধ্যেই উৎসাহীরা নেমে পড়ে রেডি হয়ে থাকে। মা জলে পড়লেই হাতের খাঁড়া আর তীর উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাবে। পুকুর ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকা ভিড়ের চোখের পলক পড়ে না। শেষমুহূর্তটা মিস না হয়ে যায়।

ওই মুহূর্তটা। যখন প্রতিমার মুখ জল ছোঁয়। আমি বুঝিনা কেন বুকের ভেতর থেকে একটা “যাঃ” ধাক্কা দিয়ে ওঠে। কেন আমার সারাবছরের “নন-রিলিজিয়াস” স্ট্যাটাসটা একসেকেন্ডের জন্য হলেও ফ্যাকাশে হয়ে যায়। কেন আমার মাথার ভেতর কেউ অনবরত বলতে থাকে, “মা মা, যেন সব ভালো হয়, যেন সব ভালো হয়।” ‘জানিনা’-র গর্ব ভুলে কেন লোভীর মতো সব কিছু চেয়ে নিতে ইচ্ছে করে। কেন একবারের জন্যও সংশয় মাথা তোলেনা। কেন মনে হয়, “চাইলেই পাব”।

দেখেছেন, পাড়ার গল্প করতে করতেই সাতশো পঁচাত্তর শব্দ হয়ে গেল। এরপর কখনই বা শান্তিজলের গল্প হবে, কখনই বা দধি-চিপিটকের হাঁড়ি ঘিরে কাড়াকাড়ি হবে, কখনই বা ছুটতে ছুটতে বাড়ি ফেরা হবে, যেখানে বিজয়ার মঙ্গলঘট, বেলপাতা ফুল দিয়ে সাজিয়ে আর কাঁসার থালায় ধান দূর্বা তিল নিয়ে ঠাকুমা সেই সন্ধ্যে থেকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন।

আমরা সবাই হাঁটু গেড়ে মাথা ঠেকিয়ে ঘটকে প্রণাম করব। উঠে দাঁড়িয়ে ঘাড় তুললেই জোয়ান বয়সের টেরিকাটা ঠাকুরদা দেওয়ালের ছবি থেকে গম্ভীর চোখে তাকিয়ে আছেন। ভক্তিভরে তাঁকেও প্রণাম করা হবে। তারপর আমি ঠাকুমা, বাবাকে আর মাকে প্রণাম করব, বাবা ঠাকুমাকে প্রণাম করবে, মা ঠাকুমাকে প্রণাম করবে আর মোটে তিনমাসের বড় স্বামীকেও। বাবা দাঁত বার করে হাসবেন। তারপর আসল মজা শুরু হবে। নাড়ু, নিমকি, ঘুগনি, দানাদার, মুড়কি। খাটের ধারে বসে খেতে খেতে পা দোলাব আর টিভি দেখব আর মাঝে মাঝেই কড়া নাড়া শুনে উঠে গিয়ে দরজা খুলতে হবে। “আরে এস এস...আয় আয়...থাক থাক...বেঁচে থাক, মাদুগগা সুমতি দিন...আরে ডায়েটিং আবার কাল থেকে করিস, এখন খা তো...”

আপনাদের সবাইকে আমার শুভ বিজয়ার অনেক প্রীতি, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা আর কোলাকুলি জানাই। মাদুর্গা আপনাদের সবার ভালো করুন, পরীক্ষায় বেশি বেশি নম্বর পাইয়ে দিন, অফিসে টপাটপ প্রোমোশন হইয়ে দিন, অবান্তরের প্রতি আপনাদের মনোযোগ অটল রাখুন, এই কামনা করে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। আসছে বছর আবার হবে। 

Comments

  1. shubho bijaya kuntala di...darun bhalo laglo lekhata pore...tobe virtually o mishti mukh ta korale na? :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আরে সরি সরি স্বাগতা। এই নাও লবঙ্গলতিকা, গুড়ের রসগোল্লা আর গরম গরম পান্তুয়া।

      Delete
  2. শুভ বিজয়া। সবাই ভালো থাকবেন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনাকেও শুভ বিজয়া দেবাশিস। আপনিও ভালো থাকবেন এই কামনা করি।

      Delete
  3. labongo lotika, rosogolla aar pantua'r sange amar patey jodi ektu nimki aar ghugni porto tahole ki bhaloi na hoto.

    tobe complain korbo na....aajke ratre bijoya dinner e fried rice, cholar daal, alu bhaja, ilish, chingri aar murgi'r jhol just kheye elam tow..tai!!!

    dhara'r ad er kathay amar all time fave khabar duto scene mone pore jay....
    ek) harihar chete putey saag bhaat khachhe as sarbajaya is giving hawa with haath pakha (somehow oi scene ta te tripti kore khabar byapar ta puro dhore tola hoyechey)
    dui) chotomama gohona bori te kamor boshalo with kormore awaj...aar anila jatno kore daal dhalchey pate

    er cheye boro abar ki oitijhyo achey bangali'r kache :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে এই তো এখানে সব নিমকি শিঙাড়া ঘুগনি রাখা আছে শম্পা, নিয়ে খেয়ে নাও। তোমাদেরও যদি "নিন নিন, খান খান, লজ্জা করবেন না" বলতে হয় তাহলে তো বিপদ।

      বাই দ্য ওয়ে, তোমার বিজয়ার ডিনারটি তো মন্দ হয়নি। খাওয়ার দৃশ্যদুটো চমৎকার বলেছ।

      Delete
    2. Aha goyna bori...!!! Thik bolecho Shampa. Agantuk er oi scene tay ekta odbhut bangaliyana ache. Ekkebare amar "comfort zone" er modhye pore.

      Delete
  4. Tomar chhotobelay sricharaneshu mejomashima, shubho bijayay tumi amar pro naam nio - ei jatio asonkhyo chithi likhe likhe post card bhorate hoto na? Uff bhaggis phone-ei bijaya kore neoa jai ekhon. Ar tumi to dekhchhi blog-ei mishtio khaiye dile!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. উঁহু, পোস্টকার্ড তো লিখিনি গো রুচিরা। আমার বাবার পিসিমা লিখতেন অবশ্য।

      Delete
  5. sabbaike subho bijoya :)... narkel naru,nimki,kalojam,khir kadambo,kamalabhog,ar mihidana je ja icche nie nao:)

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ তিন্নি। ক্ষীরকদম্ব আমার ফেএএএভারিট।

      তোকেও শুভ বিজয়ার অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানাই।

      Delete
  6. Shubho bijoya Kuntala di! Ei ektu aage Dilli phirlam. Phire thekei monta kirom khna khna korchhe. Er opor eta pore abar monta dukkho-dukkho hoye galo kirom. Sokol-i phuray, phuchkar pray, pore thake shaalpata, ityadi.:(

    p.s. Dna barir lokera kintu bhari bhalo. Amar ek bondhuo oder barir chhele kina, tai bolchhi. :P

    ReplyDelete
    Replies
    1. এমা ছি ছি। দাঁ বাড়ির লোকজন সবাই খুবই ভালো সে নিয়ে আমার কোনো সন্দেহই নেই। আমি ওটা "সাহিত্য" করার অত্যুৎসাহে লিখে ফেলেছি। কিছু মনে কোরো না প্লিজ।

      তোমাকে শুভ বিজয়ার অনেক ভালোবাসা, আশীর্বাদ আর কোলাকুলি জানাই বিম্ববতী। উদ্ধৃতিখানা জম্পেশ দিয়েছ।

      Delete
  7. Shubho Bijoya kuntala_di! Pujo nie shobkota lekha-e daarun hoeche, tobe eto kolkata-r pujo nie beshi likhle mon kharap hoe jaye :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. শুভ বিজয়া পরমা। মনখারাপ করাতে চাইনি, সরি সরি। তবে আর তো পুজো নিয়ে লেখা হবেনা, কাজেই তুমি হাসিমুখে অবান্তর পড়বে, এই কামনা করি।

      Delete
  8. Sobai ke "Shubho Bijoya". Ja bolecho, Durga Pujo'r somoy ki ar "non-religious" tokma niye boshe thaka jaye? Ota je mathar modhye hardcoded hoye ache kobe theke. Thakur bhashan ar biyer pore shoshurbari jaoya case ta same. Bhebe chinte kono kaj tokhon manush korena. Ekkebare 100 years pichhiye jaye ek dhakkay. Setai ashol "oitijyo".
    Ar tomar "oitijyer" proshonge boli, "kobe promoter er haate bari diye haar jurobo"... hahahahah!!!! Durdanto diyecho eta!!! Tobe I hope tara bouma, barir meye holey eta boltona.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমাকেও শুভ বিজয়ার অনেক ভালোবাসা জানাই রিয়া। হার্ডকোডেডটা খুব সত্যি কথা বলেছ। আমারো একই অবস্থা।

      অর্ণবকেও আমার শুভ বিজয়ার প্রীতিশুভেচ্ছা জানালাম। ম্যাও আর মোটার জন্য অনেক আশীর্বাদ রইল।

      Delete
    2. Thank you thank you... Mota der ami janiye debo :)

      Delete
  9. Shubho Bijaya Kuntala :) Lekhata besh bhalo...ar tai mon ta ektu kharap hoe galo. asche bachar kolkatay thakboi! Jai ma durga :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. শুভ বিজয়া সায়ক। ইয়েস। আসছে বছর কলকাতায়। আমিও মনে মনে মাদুর্গাকে বলে রেখেছি। জয় মা।

      Delete
  10. শুভ বিজয়া, দি। মিষ্টি তো অনেক হল, আমার কিন্তু নারকোল দেওয়া ঘুগনি চাই।
    আর লেখাটা যথারীতি খুব ভালো। ধারা তেলে ভাজা ইলিশ, মশা থেকে ম্যাসাচুসেটস, সিদ্ধির নেশা, 'সুন্দরী বৌ' এর লোভ দেখানো, প্রতিমার জল ছোঁয়া, বিজয়ার কোলাকুলি - সবকিছু দেখতে পেলাম স্পষ্ট।

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমাকেও শুভ বিজয়ার অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা জানাই আবির।

      Delete
  11. Kuntala, shubho bijoya... khub mon bhalo kora post... bisorjon er para ta besh touchy... khub sundor.. besh chhobir moto fute othe..

    porer bochhor kolkatay eleo kokhono bhashan dekhte gangar ghat e jeo na. gangar pollution rodh korte, maa durga ke crane e kore jhuti/thyang dhore tule dhhai kore pare dump korchhe dekhte ekdomi bhalo lagbe na.

    ReplyDelete
    Replies
    1. যা বলেছ সোহিনী| ওসব না দেখাই ভালো| লেখাটা তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগল|

      Delete
  12. Jodio ami gurer mishti khai na tobu...Shubho Bijoya. Mon kharap-bhalo kora post. Keno jani na, ei probasher pujo, pujo bole mone hoy na..oboshho eibar Houston er Durgabari te oshonbhob shundor ayojon dekhlam, dolbol niye gan o geye elam.

    ReplyDelete
    Replies
    1. শুভ বিজয়া শকুন্তলা। তাতে অসুবিধে নেই, আমিও ছানা প্রেফার করি। আমরা সাদা রসগোল্লা আর পান্তুয়া দিয়ে কোলাকুলি সারব না হয়। ওহ, তাহলে তো পুজো ভালো কেটেছে বলতে হবে।

      Delete

Post a Comment