শপথ # ৩-থোড়া ফাইটওয়া করো জী



তিন নম্বর শপথের কথাটা লিখতে একদিন দেরি হয়ে গেল। ঠিকই আছে, কারণ তিন নম্বর শপথটাও একদিক থেকে দেখতে গেলে দেরি নিয়েই।

ইদানীং আমার সময়টা বিশেষ ভালো যাচ্ছে না। শরীরগতিক ঠিকই আছে, মনেরও খারাপ থাকার কোনও কারণ ঘটেনি, তবুও খারাপ আছি। আড্ডায় বসে হঠাৎ হঠাৎ চুপ মেরে যাচ্ছি, অফিসের জানালা দিয়ে বাইরে আকাশের দিকে তাকিয়ে শূন্যতায় চোখ আটকে যাচ্ছে, সবথেকে অবিশ্বাস্য যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে অবান্তরেও আমার আর মন বসছে না। রোজ এসে একবার করে চোখ বোলাচ্ছি, কী লেখা যায় ভাবছি, নেটে ঘুরে ঘুরে চোরাই মাল খুঁজছি, কিন্তু সবই ওপর ওপর। ভাসা ভাসা।

কেন বলুন দেখি?

গ্রহনক্ষত্রের ঘাড়ে দায়টা চাপাতে পারতাম কিন্তু পারছি না। কারণ আমি জানি আমার কী হয়েছে। কাজের অভাব। মানে কাজ আছে যথেষ্টই কিন্তু কাজের ইচ্ছে অন্তর্হিত হয়েছে। দুপাশ দিয়ে ল্যাম্পপোস্টের মতো হুশ হুশ করে ডেডলাইন বেরিয়ে যাচ্ছে, আমি জানালায় বসে বসে অম্লানবদনে দেখছি আর হাওয়া খাচ্ছি।

চরম ফাঁকিবাজির মহামারী লেগেছে আমার জীবনে।

অনেক সেলফ হেল্প গুরুরা শুনেছি বলেন, প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর একটা উপায় হচ্ছে কম কাজ করা। টু ডু লিস্টে কাজ যত কম, কাজ না হওয়ার সম্ভাবনাও ততই কম। যুক্তি আছে। কিন্তু যুক্তি দিয়ে কেই বা কবে বড়লোক হয়েছে? আমার আগাপাশতলা অযৌক্তিক জীবনে আমি এ নিয়মের ব্যত্যয়ই বেশি দেখেছি। পরীক্ষার মাঝে ছুটি যত বেশি, পড়া তত কম। জানালার পাশে ফাঁকা সিট যত বেশি, গা এলিয়ে বসে হাওয়া খাওয়ার শান্তি তত কম। কে জানে ওপাশের জানালাটার ভিউ বেটার কিনা। ছুটি যত বেশি, ছুটির মজা তত কম। স্বাধীনতা যত অগাধ, স্বাধীনতার স্বাদ তত বিস্বাদ।  

ডিমিনিশিং মার্জিন্যাল ইউটিলিটি। সেই কবেকার থিওরি, এখনও সমান কাজের।

যাই হোক। থিওরি-টিওরি থাক। প্র্যাকটিকাল জীবনের সমস্যা শত থিওরি দিয়েও সমাধান করা যায় না। তার জন্য চাই স্ট্র্যাটেজি আর স্ট্র্যাটেজির সফল প্রয়োগ। আর স্ট্র্যাটেজি ফাঁদতে চাই মগজ। একটার জায়গায় দুটো হলে ভালো।

ফোন তুলে বান্টিকে বললাম, “ইউটিউব, সলিটেয়ার, দিবাস্বপ্ন---যা করেই সময় নষ্ট করছিস না কেন, সব ফেলে রেখে চলে আয় এক্ষুনি। আভি। ইসি ওয়ক্ত। নয়তো দেখবি মজা।”

বান্টি এসে সব শুনেটুনে বলল, “দেখো কুন্তলাদি, সব সমস্যাটার মতো তোমার সমস্যাটারও দুটো সমাধান আছে।”

“কী কী?”

“প্রথম উপায়টা হচ্ছে লাইফ থেকে এক্সপেক্টেশন কমিয়ে দেওয়া। এক্সপেক্টেশন থাকলেই তার পেছনে কাঠখড় পোড়াতে হবে, পোড়াতে গেলেই খাটতে হবে, খাটতে গেলেই ইউটিউব দেখতে ইচ্ছে করবে, ইউটিউব দেখলেই কাঠখড় পোড়ানো হবে না, অপরাধবোধ হবে, এক্সপেক্টেশন অপূর্ণ থাকবে, তাতে মন খারাপ হবে, ডিপ্রেশন আসবে, ডিপ্রেশনে আরও ইউটিউব, আরও কাজ কম, আরও অপরাধবোধ...”

আমি লাফিয়ে উঠে বললাম, “এক্স্যাক্টলি! আমার তো এক্স্যাক্টলি এটাই হয়!”

বান্টি স্মাগ লুক দিয়ে বলল, “হতেই হবে। আমার সব জানা আছে। এক্সপেক্টেশন না থাকলে সমস্যাও নেই। বাংলার অ্যাগাথা ক্রিস্টি হওয়ার দায়টাই যদি না থাকে তোমার তাহলে তো উপন্যাস লেখারও দায় থাকবে না, লেখা হচ্ছে না বলে গিল্টের আগুনে ভাজা ভাজা হওয়াও থাকবে না। সিম্পল।”

আমি গোঁজ হয়ে থাকি। এই সমাধানটা মনে ধরে না আমার। এক্সপেক্টেশনহীন জীবন কেমন হবে, হলেও পাতে দেওয়ার মতো হবে কি না, কল্পনাই করে উঠতে পারি না। লেখক হওয়ার সাধ কি আমার আজকের? সেই ক্লাস থ্রি-র বাংলা ক্লাসে “বড় হয়ে কী হতে চাও” রচনায় ধ্যাবড়া হাতের লেখায় যত্ন করে “লেখিকা” লিখেছিলাম, সে চাওয়ার সুতো কেটে আকাশে উড়িয়ে দাও বললেই কি দেওয়া যায়? 

আপনারাই বলুন?

বান্টি পা নাচাতে নাচাতে আমার মুখের ভাবভঙ্গি লক্ষ করে। বলে, “এটা পছন্দ না হলে আরেকটাও উপায় আছে অবশ্য।”

“কী?” আমি অনেক চেষ্টা করেও গলায় উৎসাহ ফোটাতে পারি না।

“স্বপ্নের ঘাড় ধরে, টুঁটি টিপে, বাস্তবের ঘোল খাইয়ে নেওয়া। হবে না বললেই হল? তুমি তো আর অ্যান্টার্কটিকা যেতে চাইছ না যে ফিটনেসে আটকে যাবে, কিংবা সিনেমার হিরোইনও হতে চাইছ না যে চেহারায় কুলোবে না।”

বান্টির স্পষ্টভাষে অভিভূত হয়ে আমি সজোরে ঘাড় নাড়ি।

“বিশ্বাস কর চাইছি না। উপন্যাসও যদি না হয় না হোক। আমি চাই শুধু রোজকার কাজগুলো ঠিক করে করতে, ডেডলাইন মেটাতে, রোজ রাতে মাথার ভেতর একগাদা দুশ্চিন্তা আর ঘাড়ের কাছে টানটান নার্ভের জট নিয়ে না ঘুমোতে যেতে।”

বান্টি হাত ঝেড়ে উঠে পড়ে।

“হয়ে যাবে, নো চিন্তা ডু ফুর্তি। দুটো জিনিস মনে রেখো। এক, আজকের কাজটা আজকেরই কাজ, কালকের নয়। দুই, ফাঁকি দেওয়ার কনসিকোয়েন্স আছে। এক্ষুনি টের পাচ্ছ না। পরে পাবে। পাবেই। মিস করা ডেডলাইনের পাহাড়ে একদিন চাপা পড়ে দমবন্ধ হয়ে মরবে। কাজেই যথেষ্ট ভয় পাও আর লেগে পড়...অবশ্য যদি না এক্সপেক্টেশন গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিয়ে পায়ের ওপর পা তুলে জীবন কাটানোর ডিসিশন নাও।”

বলে হাওয়া হয়ে যায় বান্টি।

আমি দরজা বন্ধ করে এসে বসে বসে ভাবি। এক্সপেক্টেশন হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়ার সাহস আমার নেই। এত দিনের, এত কষ্টের তিলে তিলে জড়ো করা এক্সপেক্টেশন---শুধু তো আমার নয়, আমার বাবার, মায়ের, পূর্বপুরুষের, প্রতিবেশীর, বন্ধুর---হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেই তো গেল। মা ফলেষু কদাচন গীতার পাতাতেই ভালো লাগে, বাস্তব জগতে কি ওরকম হয় আদৌ, নাকি হওয়ার দরকার আছে? কোথাও কোনও আশা না থাকলে কি রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারে কেউ? পেরেছে কি কখনও?

তার থেকে লেগে পড়ে কাজ করার রাস্তাটাই ভালো। কাজ না করার কারণও তো নেই আমার। বুঝদার বস, দয়ালু অ্যাডভাইসর। সকলেই হাসিমুখে হেল্প করার জন্য রেডি হয়ে আছে, কেবল আমার নড়েচড়ে বসবার অপেক্ষা। আর তো আছেই অবান্তর আর আছেন আপনারা, ব্লগোস্ফিয়ারের বেস্ট সেট অফ পাঠকবৃন্দ। কাজের ফাঁকে ফাঁকে দেদার আড্ডা মারার জন্য, মনের কথা বলে হালকা হওয়ার জন্য।

কাজেই আমি ঠিক করেছি কাজ করব। আদা নুন খেয়ে, মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন করে। ২০১৩ থেকে নয়, আজ থেকেই। উচ্চাশাগুলোকে তো ছাড়ছিই না, বরং সেগুলোর আগুনে ঘি ঢালার তোড়জোড় করছি। যাতে তারা দপদপিয়ে জ্বলে উঠে ইউটউব আর সলিটেয়ারের মরণফাঁদ পুড়িয়ে আমাকে বার করে আনতে পারে।

সেদিনের ব্রেনস্টর্মিং-এর পর বান্টি একটা গান পাঠিয়েছে আমায়। গানটা আমারও খুব প্রিয়, তবে আগে এত মন দিয়ে শুনিনি। বিশেষ করে এই চারটে লাইন।

যো ভি রংগওয়া হ্যায় উসে
সেট রাইটওয়া করো জী
নাহি লুজিয়ে জী হোপ
থোড়া ফাইটওয়া করো জী, থোড়া ফাইটওয়া করো জী...

ফাইটওয়া দেওয়াই সাব্যস্ত করলাম। ঠিক করলাম না? 

Comments

  1. একদম ঠিক করেছেন... থোড় বড়ি খাড়া যাই হোক না কেন, ফাইটওয়া না করলে কি আর আয়নার সামনে সোজা হয়ে দাঁড়ানো যায়, বলুন?
    একই রকম অবস্থা এদিকেও, তাই আজকের পোস্ট ভয়ানক ভাল লেগেছে। :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই অবস্থায় হাই ফাইভ দেওয়াটা ভালো দেখায় না তাই দিচ্ছি না। কিন্তু সুনন্দ, তুমিও ফাইটওয়া দাও, আমিও দিই। জয়ের ওপারে দেখা হবে, কী বল?

      Delete
  2. ei fatafati lyrics gulo kon gaaner go? fan hoe gelam !!

    all the best for Faiiit-wa...

    ReplyDelete
    Replies
    1. গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর বলে একটা সিনেমা হয়েছে জানো তো সোহিনী? এটা সেই সিনেমাটার (গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর ২) সেকেন্ড পার্টের একটা গান। গানের নাম "মুরা"; আমার খুব প্রিয় লাইন। বিশেষ করে এই চারটে লাইন।

      Delete
  3. I like Bunty's first advice. Ami shottiy jibone expectation komiye diyechi, aaj ja important mone hoy, du din por emnitei tar ar mahatto khuje paoa jai na, tai michi michi chute are tension kore hobe ki.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেটা আমিও মানি বং মম, কিন্তু আবার মনে হয় ছাড়তে ছাড়তে সবই যদি ছাড়তে হয়? আর এই তিল তিল করেই জীবনের মধ্যে ফারাক বড় হয়ে যায়। আমি যে জিনিসগুলো অতও কিছু নয় ভেবে ছেড়ে দিয়েছিলাম, সেগুলোই অন্য আরেকজন কষ্ট করে ধরে রেখেছিল বলে আজ সে আমার থেকে এগিয়ে আছে। আমার যদি তাকে দেখে হিংসে না হত, তাহলে আমি আমার ছেড়ে দেওয়াটাকে জাস্টিফাই করতে পারতাম হয়ত, কিন্তু তা তো হয় না। হিংসেও হয়, পরিশ্রমও করতে ইচ্ছে করে না। মহা ঝামেলা।

      Delete
  4. amar mone hoy ami এক্সপেক্টেশন গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিয়ে পায়ের ওপর পা তুলে জীবন কাটানোর ডিসিশন niechi...fankibaji kore jibon katche,kono bantio nei je huro debe:(

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভালোই তো, তাতে যদি মন ভালো থাকে তাহলে নো প্রবলেম।

      Delete
  5. Kuntala_di, amar life eo thik same ekta phase jache, kaj korchi na, die shei nie tension aar depression e bhugchi, ei post ta ebong Bunty-er kotha theke onupranito holam khoob :)
    Dekhi 1-2 week pore tomar snge notes melabo, kotodoor kaj egolo :) thik hai?

    ReplyDelete
    Replies
    1. একদম ঠিক হ্যায় পরমা। আমিও তোমাকে বলব যে আমার কিছু কাজ হল কিনা।

      Delete
  6. Good, good...fightwa dao. asholey kichu din por por dhil dawa ta manush er nature....takhon oi fightwa diye sidhe korte hoy....ek rokom discipline aarki. kichu achieve korte gele agey tow mon take discipline kortei hobe :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. মনটাই তো বড় বালাই গো শম্পা। কাজের বেলায় ঢুঁ ঢুঁ, ঝামেলার বেলায় নৃসিংহ অবতার।

      Delete
    2. নৃসিংহ rahashsya bole akta serial hoto..setar gaanta hathat mone pore gelo..suruta hoto...'ache se ache.......

      Delete
    3. এই হচ্ছে অনলাইনের অসুবিধা। সামনে থাকলে তোকে গেয়ে শোনাতে বলা যেত।

      Delete
  7. Arey Bunty ke amar hoye ekta hi-5 diye diyo. Or amar dada (ba bhai, ami jani na o amar theke boro na chhoto) hoye jonmano uchit chilo. 2nd advice tai beshi kajer jodio. Kintu expectation komate jeona. Ha oi Antarctic e to jachho na...normal life er expectation to thakbei, na holey follow korbe ki?
    Dekho, amader software development e 3te basic stage thake - requirements, development ar testing. To jiboner requirement tai kintu expectation/dream. Setai lokhyo thik kore debe. Development phase ta holo jokhon tumi actually kaj korbe ar testing phase ta jeta pore dekhabe tumi ki ki parle ar ki ki ektu maja ghosha dorkar. Simple byapar. Egiye jao botsyo (ar khao motsyo). (Na mane ota chhondo miliye bollam...hee hee).

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহাহা, মৎস্য খাওয়ার অ্যাডভাইসটা জব্বর দিয়েছ রিয়া। ওটা মানব, তোমার বাকি কথাগুলোর সঙ্গেই। সত্যিই তো অ্যান্টার্কটিকা তো আর যাচ্ছিনা, রোজকার পান্তাভাত জীবনও যদি ঠিক করে চালাতে না পারি তাহলে আর কিছু বলার নেই।

      Delete
  8. Eto sakaler i abastha! Amar mone hoy Banti'r dui matamati bhalo. Amar dharana prathamtay, beshi saphalyer sambhabona. Saphalya ei janya, je expectationer oi bojha ta charte parle, expectation er chahida gulo metano onek sahaj hoye jay, ki kore konta kore phellam janar aage hoye jay. Kintu, ei strategy'r mushkil hocche expectation charar kono formula nei. Tai chaileo pratibar chara jay na, antata sadaharon lok chailei pare na.

    fightwa mara anek beshi formulaic, set korar padhati amader sakaler jana aache, ebong anya paramarhsa'r moto phal na peleo, kichu phal to paowai jay.

    Kono upayer katha na bole, anek bishleshon kore besh kichu line bhoriye dilam. Kintu, aapni Abantare golpo to besh jamiye koren. Tobe Agatha Christie hote gele to ektu anya dharaner golper darkar. Choto khato kichu nomuna (Bhalo gulo nahoy boier janya thaklo) ki Abantare dekha jabe?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আপনিও যেমন rgb,অ্যাগাথা ক্রিস্টি হব, তাহলেই হয়েছে আরকি। অবান্তরে গল্প লিখলে আপনারা দুদিনে বাপ বাপ বলে পালাবেন, আমার রোজকার বাজে গপ্পগুলো আর শুনতে আসবেন না। আমি সে রিস্কে নেই।

      আপনার বাকি কথাগুলোর সঙ্গে আমি একমত। কী করে কী হল না বুঝতে পেরে হওয়াটাই বেস্ট। ছোটবেলায় স্কুলের পরীক্ষায় ফার্স্ট সেকেন্ড হওয়ার মতো। বাংলাদেশের একটি অটোর পেছনে এই জাতীয় একটা কোটেশন লেখা ছিল, "যাইত্যাসি যাইত্যাসি কই যাইত্যাসি জানি না", আমিও বিশ্বাস করি ওই রকম যাওয়াটাই বেস্ট যাওয়া। কিন্তু ওই যে বললেন, ওরকম যাওয়ার কোনও ফর্মুলা নেই, আর আমার মতো সাধারণ এলিতেলি লোকেদের ফর্মুলাই সম্বল।

      খুব ভালো লাগল আপনার কমেন্ট পড়ে। উপায়ের কথা বলেননি তো কী হয়েছে। সেটা তো আমরা সবাই জানি, "পরিশ্রমের বিকল্প নেই" হ্যানাত্যানা। আসল মজা হল সমস্যা নিয়ে লেবু কচলাতে।

      Delete

Post a Comment