অপেরাহাউস আর জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরি





আমার ছোটবেলার খুব প্রিয় স্মৃতির মধ্যে একটা হচ্ছে হোল নাইট শাস্ত্রীয় সংগীতের অনুষ্ঠান শুনতে যাওয়ার স্মৃতি। টিকিট আর ব্যানারে অবশ্য সারারাত্রিব্যাপী শব্দটা লেখা থাকত, কিন্তু সে শুধু লেখার ভাষা। বলার সময় সবাই বলত হোল নাইট ক্ল্যাসিক্যাল শুনতে যাচ্ছি।

আমিও ছোটবেলায় বাবা, মা আর কাকুর সঙ্গে হোল নাইট ক্ল্যাসিক্যাল ফাংশান শুনতে যেতাম। তখন সবে হারমোনিয়ামের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে পিয়া কে নজরিয়া গাইতে শিখেছি। কিছুই বুঝি না, মাঝরাত পেরোলে মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়েও পড়ি, তবু যাওয়ার উৎসাহের অন্ত ছিল না। মা সঙ্গে ফ্লাস্কে করে চা আর টুকিটাকি খাওয়ার জিনিস নিয়ে নিতেন। কাঠিভাজা, নোনতা বিস্কুট। স্পেশাল ওকেশন বলে আমাকেও প্লাস্টিকের কাপ সিকি ভর্তি করে চা খেতে দেওয়া হত। বিলায়েত খানের ললিতের থেকে ওই চা আমাকে অনেক বেশি টানত সন্দেহ নেই।

উত্তরপাড়ার জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরিতে বছর বছর হোল নাইট মার্গসংগীতের আসর বসত। এখনও বসে। জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরি হচ্ছে আসলে উত্তরপাড়ার জমিদার জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি। লোকে বলত রাজা জয়কৃষ্ণ। রাজা বইয়ের সমঝদার ছিলেন, বেঁচে থাকতে থাকতেই বাড়িতে লাইব্রেরি বসিয়েছিলেন। পাবলিক লাইব্রেরি। জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরি হচ্ছে ভারতের, এবং সম্ভবত এশিয়ারও, প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি।

আমরা প্রতি বছর জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরির ফাংশান দেখতে যেতাম। রাজবাড়ি আর গঙ্গার মাঝে মাঠ, সেই মাঠে প্যান্ডেল বাঁধা হত। রাতের শেষে গঙ্গার ওপারের আকাশ লাল করে সূর্য উঠত আর স্টেজে কেউ ভৈরবী ধরতেন। অথবা রামকলি। কণ্ঠে, সরোদে, সেতারে বা বাঁশিতে।

একবার এই ফাংশান দেখতে গিয়েই আমি ভয়ানক বিপদে পড়েছিলাম। দুটি পরিবেশনার মাঝের সামান্য ব্রেকে মা আর আমি আরাম করে চা খাচ্ছি, এমন সময় বাবা কোথা থেকে সদ্যআলাপ হওয়া একজন সংগীতপ্রেমীকে ধরে নিয়ে এলেন। ভদ্রলোক আমাদের চা বিস্কুটে ভাগটাগ বসিয়ে তারপর হঠাৎ আমার দিকে ফিরে বললেন,

এই যে খুকি, শুনলাম তুমি গান শিখছ? বল দেখি কী কী শিখেছ?

আমি ঘাবড়ে গিয়ে একবার মায়ের দিকে তাকিয়ে হাতের কর গুনতে শুরু করলাম।

ইমন, ভৈরবী, কাফি, ভীমপ...

ভদ্রলোক হাঁ হাঁ করে উঠছেন।

কদ্দিন ধরে শিখছ যে এতগুলো রাগ শিখে ফেলেছ?

মাবাবা গর্বিত হয়ে বললেন, এই তো সবে বছর দেড়েক।

ভদ্রলোক ভীষণ আক্ষেপে মাথা নাড়লেন। নেড়ে বললেন, ঠিক এইজন্যই তো মার্গসংগীতের এই দুরবস্থা। এই যে হুড়মুড়িয়ে চারটি তিনতালের খেয়াল আর চারটি ষোল মাত্রার তান শিখিয়ে লক্ষলক্ষ ছেলেমেয়েকে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, এরা ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের কোন কম্মে লাগবে? না পারবে নিজে গাইতে, না পারবে গানের মর্ম বুঝতে। শেখার মতো শিখতে হলে নাড়া বাঁধতে হবে, কঠোর সংযম আর কৃচ্ছসাধনা করে মা সরস্বতীর পায়ের কাছে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে হবে বছরের পর বছর। তবে না তিনি মুখ তুলে চাইবেন?

আরেকটা মনে থাকার মতো ফাংশান দেখতে গিয়েছিলাম নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে। তখন আরেকটু বড় হয়েছি, ক্লাস ফাইভ হবে। সে রাতে সত্যিকারের নক্ষত্রসমাবেশ হয়েছিল। সন্ধ্যেবেলা ভীমসেন, মাঝরাতে জাকির হোসেন তস্য পিতা আল্লারাখার তবলা যুগলবন্দী, ভোররাতে বিলায়েত খানের সঙ্গে সঙ্গতে কিষন মহারাজ। আমরা বসেছিলাম স্টেডিয়ামের বেশ ওপর দিকে। গানবাজনা শুনতে কোনও অসুবিধে না হলেও শিল্পীদের নাকচোখমুখ কিছু দেখা যাচ্ছিল না সেখান থেকে।

সে ব্যাপারে কী করা যায় দেখতে সেজকাকু আমাকে নিয়ে বেরোলেন। গ্রিনরুমের সামনে পুলিশ দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেদিকে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। আমরা বাইরে বেরিয়ে গেলাম। সেখানেও অসংখ্য লোক দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ টিকিট পাননি, কেউ ইচ্ছে করেই কাটেননি। দু’পক্ষই বুদ্ধি করে লেপকম্বলশতরঞ্জি নিয়ে রেডি হয়ে এসেছেন রাত্রিযাপনের জন্য। বাইরে থেকে একতলার কতগুলো জানালা দেখা যাচ্ছিল, তারই একটার সামনে দেখলাম বেশ ভিড়। হঠাৎ সেখান থেকে গুরু গুরু রব উঠল। সেজকাকু আমার হাত ধরে ছুটলেন। জানালার ওপাশ থেকে জাকির হুসেন হাত নাড়ছেন। ঠিক রাজপুত্রের মতো দেখাচ্ছে। কাকু আমাকে দু’হাতে আকাশে তুলে ধরলেন, যাতে আমার চশমা আঁটা চোখ ভিড়ের ওপরে পৌঁছতে পারে।

কিন্তু আসল ঘটনাটা ঘটল সকালবেলা। হাট ভাঙার পর। ততক্ষণে পাহারা দিতে দিতে পুলিশকাকুরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন, কাজেই আমরা গ্রিনরুমের সামনে পৌঁছে গেলাম। ভিড়ের বাইরে দাঁড়িয়ে গোড়ালি উঁচিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছি এমন সময় চশমাপরা একটা মুখ এগিয়ে এল।

বোধহয় কাকুকে চেনে। কাকুর মতোই বয়স হবে লোকটার। সাতাশআঠাশ।


উঁহু। লোকটা কাকুর দিকে তাকাচ্ছে না। আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। নার্ভাস হাসি। কাকু আমার হাতটা শক্ত করে ধরছে। লোকটা একেবারে সামনে চলে এসেছে। লোকটার ডানহাতে একটা কাগজ। আর বাঁহাতে একটা পেন। লোকটা দু’হাত আমার দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আমাকে ভীমসেন যোশীর একটা অটোগ্রাফ এনে দেবে, প্লিজ? বাচ্চাদের ঢুকতে দিচ্ছে।

আমি কাগজপেন নিয়ে ভিড় ঠেলে গ্রিনরুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। একজন পুলিশকাকু আমাকে ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে দিলেন। কী ঠাণ্ডা আর বড় ঘর। ঠিক মাঝখানে ভুরু কুঁচকে ভীমসেন দাঁড়িয়ে আছেন। আমি এগিয়ে গেলাম। উনি হাত থেকে কাগজ টেনে নিয়ে খচখচ করে সই করে দিয়ে হাঁটতে শুরু করলেন।

বাইরে এসে ছেলেটার হাতে কাগজ ফেরৎ দিয়ে দিলাম। আমাকে আর কাকুকে একগাদা থ্যাংক ইউ দিয়ে সে চলে গেল।

সে শৈশবও নেই, সে হোলনাইট ক্ল্যাসিক্ল্যালও না। দিল্লিতে প্রায় রোজ কিছু না কিছু লেগেই থাকে। আমারই যাওয়া হয় না। অফিসকাছারি করেই এলিয়ে পড়ি আর ভাবি বাবামা অত এনার্জি পেতেন কোত্থেকে কে জানে।

বনে এসে বরং বেশ ঘনঘন অপেরাহাউসে যাওয়া হচ্ছে। সপ্তাহদুয়েক আগে ফ্ল্যামেংকো নাচ দেখতে যাওয়া হয়েছিল, মঙ্গলবার ব্যালে। আইন ডয়েশ রিকুয়েম। আগেই ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার থেকে টিকিট কেটে রেখেছিলাম। আমি, ব্রাজিলের ক্যামিলা, সাউথ ইন্ডিয়ার কোসি। তিন ক-এ মিলে গপ্প করতে করতে আর আইসক্রিম খেতে খেতে অপেরাহাউস গেলাম।

আমি জীবনে প্রথম সচক্ষে ব্যালে দেখছি আর ক্যামিলা ছোটবেলায় ব্যালে শিখেছে। রাস্তায় যেতে যেতে আমাকে নানারকম গল্প শোনাচ্ছিল ক্যামিলা। ওর ছোট মেয়ে এখন ব্যালে শিখছে। এই সবে টো-এর ওপর দাঁড়াতে শিখেছে। বলতে বলতে ক্যামিলার চোখ গর্বে চকচক করে উঠছিল।

নাচ তো খুবই ভালো দেখলাম কিন্তু তার থেকেও ভালো লাগল পরিবেশ। সুবেশা নারীপুরুষের দল ভিড় করে হলে ঢুকছে, মুক্তোর হার পরা দিদিমারা দলে দলে এসেছেন। নাচের পর মিনিটদশেকের হাততালির সেশন। বেরিয়ে এসে ব্যালের চুলচেরা বিচার করতে করতে তিন ক মিলে হপ্টবানহফের দিকে হাঁটা লাগালাম। আকাশে  তখনও দিনের আলোর শেষ রেশটুকু লেগে আছে।

কোনও মিলই নেই, তবু হাঁটতে হাঁটতে কেন যেন আমার জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরির কথা মনে পড়ে গেল। আর তাই আপনাদের এত কথা বলে ফেললাম।

Comments

  1. ishh! ki daroon daroon shob raag/ustad/classical nite er goppo....aamar dover lane music conf er katha mone pore gelo. gato bochor NYC te whole nighter e pt jasraj ke shunlam....arekbar arati ankalikar sakal sakal bhairav dhorlen.
    jaykrishna mukujjer engrezi biography achey "a bengal zamindar" ...ke likhechey mone nei kintu 19th century bengal er khub shundor barnona achey!

    ReplyDelete
    Replies
    1. নেট-এ জয়কৃষ্ণ নিয়ে খুঁজতে গিয়ে আমিও বইটার নাম দেখলাম কালকেই শম্পা। পেলে পড়ব।

      Delete
  2. Porlam lekhata..bhalo laglo..porte porte apnake ektu hingsha korlam..boyos e apni amar theke onek boro non..tao koto kichu paren ami pari na..:)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমিও কিছুই পারি না সৌমেশ। বাবামা একসময় অনেক পরিশ্রম করে শিখিয়েছিলেন। এখন সব গোল্লায় গেছে।

      Delete
  3. gangar dhare surjo otthar plus oi bhoirabi surer barnona-ta... oof! darun laglo!!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ব্যাপারটাই দারুণ মনস্বিতা।

      Delete
  4. amar-o mone pore gelo whole night function-er katha...Kolkata-te thaka kalin proti bachor-i jetam...aha baro shundor chilo dingulo!!! ekhan r hay na...Pune-teo to hay kintu oi hoye othe na...ei kathata thik bolecho ma baba eto energy kotha theke peten. amio ekdin boshe tai bhabchilam... amader juge to eto shubidha- home delivery, nuclear family etc. etc. r ma-der shamayer katha bhable to amar matha-i kharap hoye jay...
    jak ge apera dekho...bhalo thako r o lekho

    ReplyDelete
    Replies
    1. সুবিধের থেকে অসুবিধে হয়ত আমাদের বেশি, কে জানে দেবশ্রী। ইন্টারনেট এসে গোটা ব্যাপারটা মাটি করেছে। তোমার সঙ্গে ছোটবেলার স্মৃতি ভাগ করে নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

      Delete
  5. Kolkatar Dover lane er kotha mone porchhe tomar lekha pore, ar oi majhe majhe dhule pora ar takhoni kono bikhato silpi r nipun rag raginir alap-e ghum bhule jaoa.kichhui hoito bujhtam na, mane ekhono bujhina, tobu bhalo lagto oi surer mayajal.
    Ballet amar darun lage, ki moja tomar ghano ghnao operahouse jabar sujog pachho :-) .

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেটাই তো ইচ্ছাডানা, বুঝি আর না বুঝি, জিনিসটা এতই ভালো যে মন ছুঁয়ে যায়।

      Delete
  6. তুমি ছোটবেলায় ক্ল্যাসিকাল প্রোগ্রাম শুনতে যেতে!আবার মাবাবার সঙ্গে! উফ্‌, কি দারুণ হিংসে করার মত ছোটবেলা কেটেছে তোমার। তোমার তো দেখি সমৃদ্ধির অন্ত নেই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার নিজেরই আমার ছোটবেলাটাকে হিংসে হয় মালবিকা।

      Delete
  7. ষাট সত্তর দশকের মানুষেরা অনেক কমপ্লিট ছিল বলে মনে হয়,এটা একটা যুগের ফসল । তোমার লেখাটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল গানের কান,ছবির চোখ ,বই এর নেশা এ সব তো তাঁরাই দিয়েছেন । আমার বাবারা আবার সারা রাত বাইরে দাঁড়িয়েও গান শুনেছেন । কিছুদিন আগে শুনলাম উস্তাদ আব্দুল রশিদ খানের গান । ১০৫ বছরের শিল্পীর গান শোনাও একটা ব্যাপার বটে। তবে গান ছাড়া মন্দির প্রাঙ্গণে ক্লাসিক্যাল নাচের প্রোগ্রাম বছর কয়েক দেখার সুযোগ হয়েছিল যার বর্ণময়তা ভোলা যায় না । আর ওই যে লিখেছ সুবেশা নারীপুরুষের দল,সেটা দেখতে সত্যি খুব ভাল লাগে ,কুন্তলা ।

    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. এ ব্যাপারে আমি একদম একমত মিঠু। আমার মাবাবা সমস্ত দিক থেকেই আমার থেকে অন্তত একশোগুণ বেশি সক্ষম ছিলেন। আব্দুল রশিদ খান আমার বাবার খুব প্রিয় শিল্পী। নাচ দেখতে আমারও খুব ভালো লাগে মিঠু। হাই ফাইভ।

      Delete
  8. এইটা একটা খুব কাছাকাছি মিলের কথা হয়ে গেছে। ছোটবেলায় সারারাতের ক্লাসিকাল শুনতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হত আমার মালদায়, মায়ের সঙ্গে... খুব ছোট থাকাকালীন জাকির ওস্তাদের বাজনা শুনতে গেছিলাম, বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়েছিলাম- তবে মনে আছে তবলায় (আমাদের মত শিশু আর গণ্ডমূর্খদের জন্যেই ওসব করেছিলেন হয়তো) একবার ট্রেন আর মিসাইল ওড়া শুনে ঘুম উড়ে গিয়েছিল।

    অনেক বড় হয়ে তারপর উত্তরপাড়া সঙ্গীতচক্রে গেছি। অনেকবার সুযোগ আসা সত্ত্বেও একবারই গেছি, সেটাই স্মৃতি হয়ে থেকে গেছে। আমাদের বাঁশির স্যার (আমরা প্রথা লঙ্ঘন করে ওঁকে স্যার বলেই ডাকি) আমাদের আগে থেকেই বলে রেখেছিলেন। শেষ রাতে হরিপ্রসাদের বাঁশি শুরু হবে বলে সন্ধ্যে থেকে অনেক কিছু দেখছি, শুনছি। সঙ্গে অতি প্রাচীন ক্যামেরা-ভিডিও করবো (তখন বয়স কম ছিল বলেই হয়তো ধারণা ছিল- খুব বেশি করে দাদুর বাজনা শুনলে আর কিছু না পারি নকল করতে পারবো (দীইইইর্ঘশ্বাস))
    বাজনা তো শুনেইছিলাম, মুগ্ধ হয়ে প্যান্ডেলভরা লোকের সঙ্গে হাততালিও দিয়েছি- কিন্তু মোটা পাওনা ছিল অনুষ্ঠানের আগে দাদুকে গিয়ে পেন্নাম ঠুকে আসা। মাইরি, ওইরকম বুকের খাঁচা না থাকলে অমন বাঁশি বাজেনা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ও মা, তুমিও সংগীতচক্রে গেছ সুনন্দ। কী ভালো। আমি চৌরাসিয়া একবারই স্বকর্ণে শুনেছিলাম, অদ্ভুত।

      Delete
    2. Ki darun mil.. ei abigyoata ta ekdom mile gelo.. maa baba r sathe sei 'whole night classical' shunte jaoa choto bela te...

      r ami o maa baba r sathe gechhilam sei Zakir Hussain er program tate. r amar o ghum chute chhilo sei 'train' 'bojro-bidyut' er awaj e.

      ekbar Malda te Hariprasad Chaurasia o esechhilen.. ekhon khali mone achhe uni ekdom sesh e ekta chotto petoler (ba onno kono metal er o hote pare) bnashi bajiyechhilen.

      onek onek bhalobasa nao Kuntala.. chotobelar eto bhalo part ta mone koranor jonno.

      Delete
    3. ওরে বাবা, তার মানে তুমি আর সুনন্দ একই ফাংশান দেখতে গিয়েছিলে গোবেচারা...পৃথিবীটা কত ছোট ভাবা যায়? তুমিও আমার অনেক ভালোবাসা নিয়ো গোবেচারা। তোমাদের ছোটবেলা আমার ছোটবেলার সঙ্গে মিলে গেলে আমারও সারাদিন মন খুশি থাকে।

      Delete
    4. এইটা এ বছরের সেরা সমাপতন হয়ে গেল দেখছি! দারুণ ব্যাপার!

      Delete
  9. Bohudin dhore ei post tate comment korte chaichhi, phone thekek kichhutei hochhilona.
    Lekha niye ar alada kore kichhu bolar nei.
    Tobe ei lekhata khub moner kachher ekta lekha. Amar chhotobelar ekta chotto ongsho ekhono Uttarparaye roye gechhe. Amar pishir bari chhilo Uttarparar rajbarir thik pashe, Gangar dhare.
    Raat jaga ganer ashore jawa hoyechhe, kintu tar kichhui khub ekta mone nei. Tobe oi jala diye bishal ganga dekha khub mone achhe. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে তুমি ওদিকটা চেন দেবিকা। কী ভালো লাগল শুনে। জানালা দিয়ে গঙ্গা, ভাবতেই চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে।

      Delete

Post a Comment