Posts

Showing posts from May, 2015

সাপ্তাহিকী

Image
উৎস Individually, men may present a more or less rational appearance, eating, sleeping, and scheming. But humanity as a whole is changeful, mystical, fickle, delightful. Men are men, but Man is a woman.                                                                                                    --- G.  K. Chesterton মানুষের বুদ্ধি টেনেহিঁচড়ে বাড়ানো কি ভালো? সেই কথা ভেবেই কি শঙ্কু বুদ্ধিবর্ধক বটিকা আবিষ্কার করে যাননি? গণ্ডারের গল্প।   আত্মহত্যানিবারণী প্রকল্প হিসেবে কেউ হেমলক সোসাইটি খোলে, কেউ খোলে সমাধি সমিতি। মরার পরের অনুভূতিটা ঠিক কেমন হয় সেটা হাতেকলমে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। বলাই বাহুল্য, এও বড়লোকদের জন্য। সেকালের গোঁসাঘর, একালের Crying rooms । Food hats. আমি চিরকাল ‘হাহা’র দলে। আপনি? Everything we know is wrong. এ সপ্তাহের গান।

রেডিওর গোয়েন্দা

আজকাল মাঝে মাঝে চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে কলকাতা দূরদর্শনে থামি। বছরকয়েক আগেও এ জিনিস অভাবনীয় ছিল। আসলে বয়স হচ্ছে তো, ইন্দ্রিয়ের জোর কমছে । ডিস্কো আলো, গলা সপ্তমে তুলে চিৎকার, গা ভর্তি গয়না, টকটকে লালপাড় সাদা শাড়ি আর নাকের ডগা থেকে সিঁদুর টেনে বাঙালিয়ানার বিজ্ঞাপন, রোডিও ষাঁড়ের পিঠে চেপে কুইজকুইজ খেলা, এসব দেখলে আজকাল বুক ধড়ফড় করে। সে তুলনায় কলকাতা দূরদর্শনের মলিন ছায়াছায়া সেট, নিচু গলায় ও স্পষ্ট বাংলায় কথাবার্তা আরাম দেয় । প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানগুলো দেখি না, ওগুলোর মধ্যে চকচকে চ্যানেলগুলোকে টোকার একটা চেষ্টা থাকে। চেষ্টাটা সফল হয় না বলাই বাহুল্য, মাঝখান থেকে গোটা ব্যাপারটা দেখতে আরও করুণ লাগে। বরং এমনি গানের অনুষ্ঠানে, যেখানে তক্তপোশের ওপর বসে গাইয়ে সাবেকি কায়দায় হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করেন আর ঘিরে বসে বাজিয়েরা তাঁকে সঙ্গত দেন, সেই রকম অনুষ্ঠান দেখতে থামি কখনওসখনও । চমৎকার দু’কলি কীর্তন কিংবা ছোটবেলায় শেখা দু’লাইন নজরুলগীতি শোনা হয়ে যায় । আর সাক্ষাৎকার দেখি মাঝে মাঝে। তাও সব নয়। বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষক, সমাজসেবীর সাক্ষাৎকার দেখতে তেমন উৎসাহ পাই না, সিনেমাথিয়েটারের চেনা মুখ

Graphology

Image
প্রথমেই খারাপ খবর, আমি শাই কিংবা স্টুডিয়াস, দুটোর একটাও নই। কনসেনট্রেটেড আর মেটিকুলাসও নই। জঘন্য। অবশ্য ভালো খবর হচ্ছে খেলাটা তার মানে বুজরুকি নয়। আমাকে যদি কনসেনট্রেটেড বলত তাহলে আর কিছু বলার থাকত না। পরেরগুলো কী বলে দেখা যাক। নাঃ, খেলাটাকে সিরিয়াসলি নিতে হচ্ছে। বলছে আমি আউটগোয়িং নই, পিপল-ওরিয়েন্টেডও নই। পিপল? পাগল? অ্যান্টি পিপল ওরিয়েন্টেড বলে যদি কিছু থেকে থাকে তবে আমি সেটা। বলছে আমি নাকি অ্যাটেনশনও ভালোবাসি না। হোয়াট? এক সন্তান, অ্যাটেনশন ভালোবাসি না কী রকম? পাই না সেটা আলাদা কথা। অবশ্য তাতে আমার দুঃখ নেই। যতক্ষণ মা আর অর্চিষ্মান (আর অবান্তরের পাঠকরাও) আমাকে অ্যাটেনশন দিচ্ছে ততক্ষণ আমি পৃথিবীর আর কারও অ্যাটেনশনের তোয়াক্কা করি না। বাঃ বাঃ, এই তো আমাকে ওয়েল অ্যাডজাস্টেড আর অ্যাডাপ্টেবল বলেছে। বলেছিলাম, খেলাটা ভালো। এই মেরেছে, বলছে শব্দের মধ্যে বিরাট বিরাট ফাঁক দিয়ে লিখলে তবেই নাকি সব স্বাধীনতাপ্রিয় আর তারা নাকি কেউ ভিড়ে যেতে পছন্দ করে না। আর যারা ঘেঁষাঘেঁষি করে লেখে তাদের নাকি একা থাকতে কান্না পায়। আমি একলা থাকতে মারাত্মক রকম পছন্দ করি কিন্তু আবার খাতার এমাথা ওমাথাত

রোসাং সোল ফুড

Image
দিল্লিতে গরম পড়েছে। অফিসে অফিসে কাজের ধুম। উৎপাদনশীলতা আকাশ ছুঁয়েছে। সকাল ন’টা বাজতে না বাজতে সবাই সিটে, এসির তলায়। পাঁচটা সাতাশ বাজলে যারা কম্পিউটারের ঝাঁপ ফেলত তারা সাড়ে ছ’টায় জানালার বাইরের চোখধাঁধানো আলোর দিকে তাকিয়ে শিউরে উঠছে। বলছে, আরও খানিকটা কাজ সেরে নিই এইবেলা। একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে। ওয়ার্মেস্ট মনডে ইন ফর্টি ইয়ারস। হটেস্ট ওয়েনস্‌ডে ইন থার্টি। মেয়েরা জিনস ত্যাগ দিয়ে ফিরে গেছে চিকনের কুর্তি আর সুতির ঢিলে সালওয়ারে। ছেলেদের সহ্যশক্তি দেখে তাদের চোখ কপালে। ওরা এখনও ট্রাউজার চালাচ্ছে কোন ভরসায়? পাজামা/ধুতি দোষ করল কীসে? সন্ধ্যেবেলা প্রতিদিন ঝড় উঠছে। নিষ্ফলা ঝড়। অটোভাইসাবকে নেহরু প্লেসের জ্যাম এড়িয়ে জি. কে. ওয়ান ধরার পরামর্শ দিয়ে মুখ বন্ধ করতেই দাঁতের সারি জুড়ে কিচকিচে ধুলো। গোটা শহরটা চাপা পড়ে গেছে খটখটে শুকনো ধুলোর তলায়। অটোর কাঁচে দুফোঁটা জল পড়ল? নাকি মূলচন্দের মোড়ে মরীচিকা দেখছি? আমার দেহটাই শুধু পড়ে আছে দিল্লিতে। গরমে ভাজাভাজা হচ্ছে, লু-তে পুড়ছে, ধুলোয় মাখামাখি হচ্ছে, এয়ারকন্ডিশনড অফিস থেকে বেরিয়ে ব্লাস্ট ফার্নেস অটো আর ব্লাস্ট ফার্নেস অটো থেকে বেরিয়ে এয়ারকন্ডিশনড অফি

সাপ্তাহিকী

Image
Solitude is fine but you need someone to tell that solitude is fine.                                                                                                     --- Honoré de Balzac ধারাবাহিক পড়া কিংবা দেখা, কোনওটাই আমার পছন্দ নয় (কমিটমেন্ট ইস্যুস)। তবে এই ধারাবাহিকটা নিয়ম করে দেখব ভাবছি। The girl who would live forever. একফোঁটা বৃষ্টির জন্য চাতকপাখি হয়ে বসে আছি ঠিকই কিন্তু এইরকম বৃষ্টি চাই না তা বলে। Should you tweet/message/post/publish that? শেষ কবে পাখির ডাক শুনেছেন মন দিয়ে? অভ্যেসটা ফিরিয়ে আনার কারণ আছে কিন্তু। ডেনমার্কের বাজারে একটা বিপ্লব আসতে চলেছে। বিশ্বরেকর্ড। জলে ভাসে বাড়ি। বিখ্যাত অভিনেতাদের অডিশন শোনার আগ্রহ থাকলে ক্লিক করুন। এ সপ্তাহের গান।   

Tom Wolfe on the Intellectual

We must be careful to make a distinction between the intellectual and the person of intellectual achievement. The two are very, very different animals. There are people of intellectual achievement who increase the sum of human knowledge, the powers of human insight, and analysis. And then there are the intellectuals. An intellectual is a person knowledgeable in one field who speaks out only in others. Starting in the early twentieth century, for the first time an ordinary storyteller, a novelist, a short story writer, a poet, a playwright, in certain cases a composer, an artist, or even an opera singer could achieve a tremendous eminence by becoming morally indignant about some public issue. It required no intellectual effort whatsoever. Suddenly he was elevated to a plane from which he could look down upon ordinary people. Conversely — this fascinates me — conversely, if you are merely a brilliant scholar, merely someone who has added immeasurably to the sum of human knowledge and

কালো ডাণ্ডা

কালো ডাণ্ডাদুটো কোথা থেকে  আমাদের বাড়িতে    এসেছিল কেউ জানে না। আমার জানার কথাও না অবশ্য, কিন্তু মাও নাকি জানেন না। বললেন, “সেই বিয়ে হওয়া থেকে দেখছি।” বাবা বললেন, “বিয়ে? ফুঃ। আমি দেখছি সেই জন্মে থেকে।” ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করতে ঠাকুমা আকাশ থেকে পড়ে বললেন, “কালো ডাণ্ডা? কোন কালো ডাণ্ডা?” “আরে, ওই যে একহাত মতো লম্বা, কুচকুচে কালো, মোলায়েম গা।” ঠাকুমা সিলিং-এর দিকে ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলেন। “আরে, ওই যে নতুনঘরের খাট আর ম্যাট্রেসের ফাঁকে যে ডাণ্ডাদুটো শুয়ে থাকে। মা রোজ মশারি গোঁজার সময় সেগুলো সরিয়ে চেয়ারে রাখে আবার সকালবেলা বিছানা তোলার সময় স্বস্থানে ফিরিয়ে দেয়।” “ওঃ, ওই ডাণ্ডাদুটো? ওগুলো তো সেই যে বছর কলকাতায় ভয়ংকর বৃষ্টি হয়েছিল, রেললাইন ডুবে গিয়ে ট্রেনমেন সব বন্ধ হয়ে সে এক বিতিকিচ্ছিরি কাণ্ড ঘটেছিল। সাঁতরাগাছির লোকোমোটিভ ফ্যাক্টরি থেকে ধুতি হাঁটুর কাছে তুলে খপরখপর করে সেই জল ভেঙে হেঁটে হেঁটে হাওড়া এসে সেখান থেকে ঠ্যালাগাড়ি চেপে সব বাড়ি এসেছিল। একা নয় অবশ্য, সঙ্গে বন্ধুবান্ধবও ছিল । শান্তিকাকুকে দেখেছিস তো তুই? শনিরবিবার সকালে তোর বাবাকাকাকে অংক করাতে আসত। সরু ক