Posts

Showing posts from November, 2015

দ্য মাস্টার অফ গো

Image
সেদিন মেট্রো স্টেশনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পর পর পাঁচখানা খালি মেট্রো নাকের ডগা দিয়ে চলে গেল, ছ'নম্বর ট্রেনটা ঢুকতে দেখলাম ভিড়ের চোটে লোকের নাকের ডগা দরজায় সেঁটে গেছে আর তিন নম্বর কামরার দরজার কোণা থেকে ভিড়ের মাথার ওপর দিয়ে উঁকি মারছে একটা চেনা চশমার ফ্রেম আর ফ্রেমের পাশে টা টা করার ভঙ্গিতে নড়ছে পাঁচটা রোগা রোগা আঙুল। সেটা আমার উদ্দেশ্যেই হবে ধরে নিয়ে আমি আমার লোকাল ট্রেনের প্র্যাকটিস কাজে লাগিয়ে ঠেলেধাক্কিয়ে ট্রেনে উঠে পড়লাম, উঠতে না উঠতে আমার ঝুঁটির এক মিমি দূরত্বে দরজাটা খটাস করে বন্ধ হয়ে গেল, আর আমি উচ্চকণ্ঠে "এক্সকিউজ মি এক্সকিউজ মি" চেঁচাতে চেঁচাতে চশমার ফ্রেমের মালিকের পাশে এসে সবে ডানপায়ের গোড়ালিটা রাখার জায়গা করেছি এমন সময় অর্চিষ্মান বলল, "ঠিক করে দাঁড়িয়েছ তো? গুড।" এই না বলে একটা বই দিয়ে নিজের নাকমুখ আবার আড়াল করে ফেলল। বুঝুন। এতক্ষণ আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য দুঃখপ্রকাশ না, মিষ্টি হাসি না, "হাউ ওয়াজ ইয়োর ডে?" মার্কা ভদ্রতাসুলভ আলাপের কথা তো ছেড়েই দিলাম। কাজেই বাধ্য হয়ে আমাকে বইখানা কেড়ে নিয়ে দেখতে হল যে কী এমন জরুরি ব্যাপার লেখা আছে তাতে।

সাপ্তাহিকী

এবারে নারীবাচক শব্দগুলোর দিকে তাকাই। একটু ব্যুৎপত্তির দিকে যেতে হবে, একটু সহ্য করবেন এই অনুরোধ। অঙ্গনা, রমণী, কামিনী, ললনা, প্রমদা, যোষা, যোষিৎ, বনিতা কত নামই তো আছে নারীর। কিন্তু নারী হিসেবেই নারীর মর্যাদা সেখানে নেই। 'অঙ্গনা' শব্দে অঙ্গসৌষ্ঠবের আকর্ষকতাই বড়। 'রমণী' তো রমণেরই ইঙ্গিতবাহী (রমণে রমণী মরে কোথাও না শুনি - কবিকঙ্কণ)। 'কামিনী' - কম্ ধাতুজ, কামনারই ধন, ব্যাখ্যা করা হয়েছে অত্যন্ত কামুকী হিসেবে (কামিনী দেখিয়া কামে হইল বিভোল - কাশীরাম)। 'ললনা' মানে বিলাসিনী - পুরুষকে যে লুব্ধ করে ছলাকলায় (লালয়তি পুমাংসম্‌)। 'প্রমদা'য় আছে মাদকতার অর্থ। 'যোষা' 'যোষিৎ' ললনার অর্থবাহী। 'স্ত্রী' শব্দে গর্ভধারণের ব্যাপারটাই বড়। স্তৈ ধাতু এর মূলে, স্ত্যায়তে শুক্র শোণিতে য়ম্যাস্‌ (শুক্রশোণিত যাতে কাঠিন্য পায়)। লাতিন sator-এর সঙ্গে 'স্ত্রী'র উচ্চারণসাম্য লক্ষণীয়। লাতিন শব্দটির অর্থ begetter। স্ত্রী-বাচক 'দার' শব্দটির মূল অর্থ ('দার' পুংলিঙ্গ শব্দ) কৃষ্টভূমি। নারীও ভূমিকল্পা, বীজ-বপনে সন্তান-শস্য-উৎপাদিকা। একট

থ্যাংকসগিভিং ২০১৫

আমি থ্যাংকফুল . . . ভালোমন্দ, উচিতঅনুচিত, সততাঅসততা, আয়, ব্যয়, সঞ্চয়ের প্রতি একই রকম দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন, যে মাসের ক্রেডিট কার্ডের বিল সে মাসেই শোধ করার জন্য একইরকম প্যানিকগ্রস্ত, চায়ের প্রতি একই রকমের নেশাগ্রস্ত এবং অন্যান্য নেশার প্রতি একইরকম উদাসীন জীবনসঙ্গীর জন্য। রান্নাঘরে ইলেকট্রিক কেটলি আর টি ব্যাগের জন্য। জীবনের প্রথমদিককার বোকাবোকা প্রেমগুলো ভেঙে যাওয়ার জন্য। সেগুলো হওয়ার জন্য। খাওয়াপরা নিয়ে কোনওদিন কষ্ট না পাওয়ার জন্য। এই পৃথিবীর রূপরসগন্ধ উপভোগ করার মতো পাঁচটি কর্মক্ষম ইন্দ্রিয়ের মালিক হওয়ার জন্য। আত্মবিশ্বাসী মায়ের জন্য। ভ্রমণবিলাসী বাবার জন্য। দাদু, ঠাকুমা, পিসি, কাকুপরিবৃত শৈশবের জন্য। সবাইকে ছেড়ে একা থাকতে শেখার জন্য। রোজ সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটা জায়গায় গিয়ে সারাদিন কাটাতে পারার জন্য। সে জন্য মাসের শেষে মাইনে পাওয়ার জন্য। অনলাইন ব্যাংকিং-এর জন্য। মোবাইলে ইন্টারনেটের জন্য।  ভালো কোয়ালিটির হেডফোনের জন্য। অফিসে, বাড়িতে, মেট্রোয় বসে নিমেষে বাকি দুনিয়ার সঙ্গে সমস্ত সংযোগ ছিন্ন করতে পারার জন্য। কোনওদিন কোনও খরা, বন্যা, দুর্ভিক

বিয়েবাড়িতে গিয়ে আমি যে সাতটা জিনিস জানলাম

Image
১। গন্ধে যেমন অর্ধেক খাওয়া হয় , তেমনি জায়গার নাম শুনলে/পড়লেও অর্ধেক বেড়ানো হয়। অন্তত রাঁচি এয়ারপোর্টে নেমে ট্যাক্সির দোকানের গায়ে টাঙানো রেটচার্ট দেখে আমাদের সে রকমই মনের ভাব হল। চিনি চিনি! চাইবাসা , গিরিডি , ডালটনগঞ্জ , হাজারিবাগ , পাতরাতু। আঠেরো বছর বয়সে জীবনের প্রথম চাকরি নিয়ে আমার বাবা এই পাতরাতুতেই এসেছিলেন। ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই ঝাড়খণ্ড আমাদের টু গো লিস্টের মাথায় চড়ে বসল। ওই দেড়দিনে এয়ারপোর্ট , হোটেল আর বধূমাতার বাড়ি যেতে আসতে যেটুকু চোখে পড়েছে , তাতেই রাঁচি শহরটা আমাদের পছন্দ হয়েছে বেশ। শান্তশিষ্ট , পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বিরসা মুন্ডা-র স্মৃতিতে ছয়লাপ। এয়ারপোর্ট , স্টেডিয়াম , রাস্তা , রাস্তার মোড়ে বিরাট কে এফ সি-র পাশে মুখচোরা টেলারিং শপ , সর্বত্রই বীর বিরসা-র নাম জ্বলজ্বল করছে। ২। ছড়া বলা স্টেজের আমিকে মনে রাখার মতো লোক এখনও এই পৃথিবীতে আছে। যেমন ম-মাসি। মাসি বললেন , “ সোনা যখন ছোট ছিল , ‘ একটা ছড়া বল তো সোনামণি ’ বললেই গড়গড়িয়ে ছড়া বলতে শুরু করত। ’ এই কথাটা একটু ঘুরিয়েফিরিয়ে অনেকেই অবশ্য আমাকে বলেছে। ছড়া বলতে বললেই সোনা ছড়া বলে , গান গাইতে বললেই গান গায়। কোনও প্যা

নোটিস

Image
উৎস যদিও আজকাল বিনানোটিসে হাপিশ হওয়ার বদঅভ্যেস অবান্তরের মালিকের চরিত্রে বেশ জেঁকে বসেছে, তবু সেটার প্রতিকারের চেষ্টায় এই পোস্ট। এই পোস্ট আপনারা যখন পড়বেন তখন আমরা ওলাক্যাব চেপে এয়ারপোর্টের দিকে ছুটেছি, গন্তব্য রাঁচি, উপলক্ষ্য আমার মামাতো ভাইয়ের বিয়ে। মামাবাড়ির দিকে আমাদের প্রজন্মে এই শেষ বিয়ে, কাজেই এ বিয়ের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অসীম। রাঁচি থেকে বিয়ে খেয়ে শতাব্দী চেপে কলকাতায় বৌভাত খেয়ে দিল্লি ফিরতে ফিরতে সেই রবিবার গভীর রাত। কাল সন্ধ্যে পর্যন্তও আমি নিশ্চিত ছিলাম যে এই পোস্টটা লেখার আমার দরকার পড়বে না। আমি এও নিশ্চিত ছিলাম যে যাওয়ার আগে দুটো পোস্ট আমি শেডিউল করে রেখে যেতে পারব। একটা বই রিভিউ বৃহস্পতিবার বেরোবে, আরেকটা সাপ্তাহিকী শনিবার। রবিবার রাতে ফিরে এসে না ঘুমিয়ে আরেকটা পোস্ট লিখে সোমবার সকালে সেটা ছেপে দিলে কেউ টেরই পাবে না যে আমি আদৌ ঠাঁইনাড়া হয়েছি। এখন আপনারাও নিশ্চয় নিশ্চিত হয়ে গেছেন যে আমার জীবনের বেশিরভাগ ফুলপ্রুফ প্ল্যানের মতোই এই প্ল্যানটাও মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই বুক রিভিউ মাঝপথে বন্ধ রেখে এই নোটিস লিখতে বসেছি। জানালার বাইরে ঘোর অন্ধকার, ছটপুজো উদযাপক বোমা ফাটছে দ

কুইজঃ শেষ লাইন (উত্তর প্রকাশিত)

Image
উৎস গুগল ইমেজেস আজকের কুইজ বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত শেষ লাইনদের নিয়ে। যাদের দেখে আপনাকে রচনা এবং রচয়িতাকে চিনতে হবে। কেউ যদি চুলচেরা বিচার করতে চান তাহলে নিচের দুয়েকটা লাইন আক্ষরিক অর্থে শেষ লাইন নয়। কারণ তার পরেও পরিশিষ্ট বলে একটা চ্যাপ্টার ছিল। তবে পরিশিষ্টর শেষ লাইনগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইন্টারেস্টিং হয় না , তাই আমি তাদের ধরিনি। সে জায়গায় নিচের লাইনগুলো প্রত্যেকটাই ইন্টারেস্টিং এবং স্মরণীয়। আমার তো অনেক ক্ষেত্রে শুধু এই লাইনগুলোই মনে আছে , বাকি গল্পটা ভুলে মেরে দিয়েছি। নিয়ম সেই আগের মতোই। তবে এতদিনের অনভ্যাসে যদি কেউ ভুলে গিয়ে থাকেন তবে আবার মনে করিয়ে দিই। খেলা চলবে চব্বিশ ঘণ্টা ধরে। অর্থাৎ উত্তর বেরোবে দেশে মঙ্গলবার িকেল পাঁচটায়। ততক্ষণ কমেন্ট পাহারা দেব আমি। অল দ্য বেস্ট। ***** বিসর্জ্জন আসিয়া প্রতিষ্ঠাকে লইয়া গেল। তাঁর বুকে গুলি লেগেছিল , তাঁর হয়ে গেছে।   তোমাদের কিনা এখনও বেশি বয়স হয়নি , তাই তোমাদের কাছে ভরসা করে এসব কথা বললাম। দুঃখের বিষয় , সান্ধ্য আড্ডাটি ভাঙিয়া গিয়াছে। দূর গাধা , যাঃ মানেই হ্যাঁঃ। যেমন মনে করিয়াছিলাম তেমন কর

দ্য ব্লু ডোর ক্যাফে

Image
দিল্লিতে বলার মতো ব্রেকফাস্ট খাওয়ার জায়গা খুঁজতে বেরোলে ইন্টারনেটে যে কটা লিংক বেরোবে তাদের প্রায় প্রত্যেকটাতেই থাকবে খান মার্কেটের 'দ্য ব্লু ডোর ক্যাফে'-র নাম। অনেকদিন ধরে যাচ্ছি যাব করে কাল সকালে অবশেষে যেখানে আমাদের যাওয়া হল। অবশ্য ব্লু ডোর ছাড়াও আরও অনেক দোকানের নামই ঘুরে ফিরে সব লিস্টে আসে। লোকেশন, রিভিউ, রেস্ত, লোকেশন, কুইজিন - দোকান বাছার জন্য মোটামুটি এই থাকে আমাদের শর্ত। ব্রেকফাস্টের দোকানের ক্ষেত্রে একটা পাঁচ নম্বর শর্ত যোগ হয়। সময়। দিল্লির অনেক প্রাতরাশ সার্ভ করা দোকান খোলে বেলা এগারোটার সময়। যখন আমার প্রায় লাঞ্চের সময় হয়ে এসেছে। সে জায়গায় ব্লু ডোর ক্যাফে উজ্জ্বল উদ্ধার। সাড়ে সাতটায় খুলে যায়। চাদরে মাথা মুড়ে অটো চেপে যখন খান মার্কেটে গিয়ে পৌঁছলাম তখনও সাড়ে ন'টা বাজেনি। বাজার পাটে পাটে বন্ধ। বাহরিসনস বুকসেলারস-এর বন্ধ দোকানের কাঁচের গায়ে সাজানো অভিরূক সেনের 'আরুশি'র সারি পেরিয়ে মিডল লেনে পৌঁছে ডানদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে কিছু না পেয়ে বাঁদিকে ঘাড় ঘোরাতেই দেখি ব্লু ডোর ক্যাফের সাইনবোর্ড আকাশের গায়ে ঝুলছে। এই শুরুর শীতের বাজারে সাড়ে ন'টা এমন কিছু

সাপ্তাহিকী

Image
শিল্পী বিল ওয়াটারসন  Experience is the comb that nature gives us when we are bald.                            ---Belgian proverb খেলাটা প্রথমবার খেলে আমার বয়স বেরোল একান্ন, তার পরের বার একচল্লিশ, তার পরের বার সাঁইত্রিশ, তার পরের বার একত্রিশ, তার পরের বার সাতাশ, তার পরের বার চব্বিশ। তার পরের বারও যখন চব্বিশ বেরোল তখন আমি চেষ্টা করা বন্ধ করলাম। ভাঙা জিন জোড়া লাগানোর উপায় বার করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিপ্লব আসতে পারে। শিল্পী যখন সমুদ্র। একটা দুটো থাকলে না হয় বোঝা যেত, কিন্তু একটা বনের সবকটা গাছই বাঁকা হলে মাথা চুলকোতে হয় বৈকি। আমার যে রোজ অফিস থেকে ফেরার পথে তেলেভাজা খেতে ইচ্ছে করে তার মানে হচ্ছে আমার শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটেছে। দুধ, চিজ, শাকপাতা খেলে যেটা মিটবে। অর্থাৎ কিনা দাদুর চপ না খেয়ে বাড়ি এসে লালশাকের ঘণ্ট খেলেও চলবে। তিরিশটি সৎ লোগো। চল্লিশটি সৎ বিজ্ঞাপনী স্লোগান। সিঁড়িগুলো দেখেই আমার মাথা ঘুরছে। থরের আধুনিক হাতুড়ি। শব্দ না থাকলে কি বর্ণও থাকে না? বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, যখন 'নীল' শব্

১০-১১ নভেম্বর, ২০১৫

Image
১০ নভেম্বর , কালীপুজো একদিনের উৎসব যে মন ভরানোর পক্ষে যথেষ্ট নয় এটা গোড়াতেই বুঝে দুর্গাপুজোওয়ালারা পাঁচদিনের ব্যবস্থা করেছিলেন। দিওয়ালিওয়ালারা বোঝেননি , এখন তার খেসারত দিচ্ছেন। আগেপিছে টেনেটুনে , গোঁজামিল দিয়ে বাড়াতে হচ্ছে। গতকালই অফিস থেকে সবাইকে ড্রাই ফ্রুটের বাহারি বাক্স ধরানো হয়েছে। সবার ডেস্কে ডেস্কে ঘুরে , দরজা ঠেলে ঢুকে হ্যাপি দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। আসল মজাটা অবশ্য হবে আজ , যেদিন আমাদের কালীপুজো আর ওদের ছোটি দিওয়ালি। আজ খাওয়াদাওয়া হবে , খেয়েদেয়ে উঠে তাম্বোলা খেলা হবে। তাম্বোলামাম্বোলা আমি আগে জানতাম না , এই অফিসে চাকরি করতে এসে জেনেছি। একটা কাগজের টুকরো দেবে আপনার হাতে , তাতে কাটাকুটি ঘর কাটা , প্রতিটি ঘরে একটা করে নম্বর ছাপা আছে। আপনাকে শুধু মনে করে একটা পেন নিয়ে খেলতে বসতে হবে। ভুলে গেলেও অসুবিধে নেই। খেলার ঘরের বাইরেই কর্তৃপক্ষের তরফের একজনের ডেস্ক , যাঁর দায়িত্ব খাতা পেন পেনসিলের খাঁই মেটানোর। নিজের ডেস্ক পর্যন্ত হেঁটে না গিয়ে ভুলোমনেরা সবাই তাঁর ডেস্ক থেকে টপাটপ পেন তুলে নেবেন , এক দুপুরে অফিসের পেনের স্টক অর্ধেক । খেলার নিয়মটা মোটামুটি সোজা। টেবিল