Posts

Showing posts from May, 2016

চায়োস

Image
রাস্তার ধারের চায়ের দোকানেও চা পাওয়া যায়, চায়োস-এও চা পাওয়া যায়। তাহলে দুটোর মধ্যে তফাৎ কী?    ১। মালিকের যোগ্যতা। চায়োস-এর মালিকেরা আই আই টি পাশ। বম্বে আই আই টি-র নীতিন সালুজা আর দিল্লি আই আই টি-র রাঘব ভার্মার সৃষ্টি চায়োস।  ২। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বসার জায়গা। ৩। চায়ের বৈচিত্র্য। চায়োস-এর ইউ এস পি হচ্ছে ‘মেরি ওয়ালি চায়’। দুধ (পানি কম, দুধ কম, রেগুলার, ফুল দুধ), চা পাতা (রেগুলার, কড়ক) এবং বিবিধ অ্যাড অন (তুলসী, আদা, মৌরি, এলাচ, গোল মরিচ, কাঁচা লংকা ইত্যাদি)-এর পারমুটেশন কম্বিনেশনে বারো হাজার রকমের চা নাকি বানিয়ে দিতে পারেন চায়োস-এর চাওয়ালা, থুড়ি, শেফ-রা। ৪। সজ্জা। সাধারণ চায়ের দোকানের পাশে সাইকেল সারানোর দোকান থাকে, তাদের ছেঁড়াফাটা টায়ার, ভাঙাচোরা ধাতব কাঠামো এদিকওদিক ছত্রাকার হয়ে থাকে, চায়োস-এ সে চাকা হলুদ রং হয়ে সিলিং-এ চড়েছে। চাকার ঝাড়লন্ঠন থেকে ঝুলছে ন্যাড়া বাল্ব। আমি ঠিক জানি না, তবে একেই বোধহয় ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল’ স্টাইল ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন বলে।  অবশ্য ঝাড়লণ্ঠনের আলো আমাদের না হলেও চলত। দোকান খোলে সকাল আটটায়, আমরা পৌঁছেছিলাম আটটা পঁয়ত্রিশ নাগাদ। আমরাই ফার্স্ট।

কুইজঃ আমি কোথায়? (উত্তর প্রকাশিত)

বহুদিন বেড়াতে যাওয়া হয়নি বলেই বোধহয় সর্বক্ষণ বেড়াতে যাওয়ার কথা মাথায় ঘুরছে। সারাদিন বসে বসে ভাবছি কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়। আর নয়তো ভাবছি কোথায় কোথায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সে সব জায়গা সম্পর্কে শোনা গল্প, ছোট ছোট ঘটনা, সব সিনেমার মতো মাথায় ঘুরছে। কখন যে কীসে যে ট্রিগার করবে বোঝা যাচ্ছে না। গত সপ্তাহে দিল্লিতে দু’দিন ঝড়বৃষ্টি হয়ে বাতাস ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। ট্যাক্সিতে বসে এসি বন্ধ করতে বলে জানালা নামালেই মনে হচ্ছে পাহাড়ের পথে চলেছি, ন্যাট জিও-তে মুষকো হরিণ দেখে ভাবছি বাড়ির পাশের করবেট এখনও অধরা রয়ে গেল, গ্যাসের সামনে দাঁড়িয়ে সসপ্যানে ফুটন্ত জলে চামচ মেপে চা পাতা ঢালতে গিয়ে মনে পড়ে যাচ্ছে মাজুলির চারিআলির মোড়ের বটের তলার বিজেপির পোস্টারের নিচে বসে চায়ে চুমুক দেওয়ার কথা।  কুইজেও যে তার ছাপ পড়বে তাতে আর আশ্চর্য কী। নিচে সাতটা জায়গা/ দ্রষ্টব্যের বর্ণনা রইল। সাতখানাই পশ্চিমবঙ্গে, সাত জায়গাতেই আমি গেছি। জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করার দায়িত্ব আপনাদের।  খেলা চলবে সামনের চব্বিশ ঘণ্টা ধরে।  উত্তর বেরোবে সোমবার সন্ধ্যে সাতটায়। ততক্ষণ আমি কমেন্ট পাহারা দেব।  অল দ্য বেস্ট।  ***** ১। আ

সাপ্তাহিকী

Image
Quality is not an act, it’s a habit.                                                                                                ---Aristotle এই লিংকটা আগে দিয়েছি কি না মনে করতে পারছি না। তাই আরেকবার দিয়ে দিচ্ছি। দ্য বুক সিয়ার। একবিংশ শতকের শ্রম আইনঃ দ্য রাইট টু ডিসকানেক্ট। আমি ঝাণ্ডা উড়িয়ে সঙ্গে আছি। বই পড়তে পারাটা যে কত বড় প্রিভিলেজ এই খবরগুলো পড়ে সে সত্যিটা মাঝে মাঝে ঝালিয়ে নেওয়া দরকার। দ্য মোস্ট সাকসেসফুল ফিমেল এভারেস্ট ক্লাইম্বার অফ অল টাইম। আপনার চোখে যে মানুষটার ছবি ভেসে উঠছে তার সঙ্গে বোধহয় বাস্তবের খুব একটা মিল নেই। ভুঁড়ি আর মুড়ি (চানাচুরের সঙ্গে এ মুড়ি যায় না)-র অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের ব্যাপারে আমার মা আমাকে চিরদিন সতর্ক করে এসেছেন। সেলফির কোল্যাটেরাল ড্যামেজ। গেরো পাকাতে পছন্দ করেন? তাহলে এ লিংক আপনার কাজে লাগতে পারে। এই ব্রিজে আমি চড়তে রাজি নই। আপনি? এ সপ্তাহের গান।

Quotes from The Sympathizer by Viet Thanh Nguyen

Image
উৎস গুগল ইমেজেস ইদানীং ‘দ্য সিমপ্যাথাইজার’ পড়ছি। ভিয়েতনাম যুদ্ধ, উদ্বাস্তুদের সমস্যা, আমেরিকায় এসে বসত করা উদ্বাস্তুদের সমস্যা, আদর্শ আর নীতির সারশূন্যতা, আর সে সবের ফাঁদে পড়া মানুষের হেনস্থা, বলার অনেক কিছুই বলার মতো আছে এ বইয়ে, সে সব নিয়ে সামনের সপ্তাহে প্রকাশিতব্য ‘মে মাসের বই’ পোস্টে বলব, কিন্তু আরও যা আছে তা হল পাতায় পাতায় কোটেবল কোটস্‌-এর সম্ভার। পড়তে পড়তে কতবার যে থামছি আর বুকমার্ক করছি আর খাতা খুলে টুকছি, তার ইয়ত্তা নেই। এখনও পর্যন্ত যে উদ্ধৃতিগুলো মনে ধরেছে তাদের কয়েকটা আজকের পোস্টে তুলে দিলাম।  ***** One must be grateful for one's education no matter how it arrives. I had an abiding respect for the professionalism of career prostitutes, who wore their dishonesty more openly than lawyers, both of whom bill by the hour. But to speak only of the financial side misses the point. The proper way to approach a prostitute is to adapt the attitude of a theatregoer, sitting back and suspending disbelief for the duration of the show. The improper way is to

জয়জয়ন্তী

মুল গল্পঃ The Day It Rained Forever লেখকঃ Ray Bradbury ***** খাঁ খাঁ মাঠের মধ্যে বাড়িটা দাঁড়িয়ে আছে। স কাল থেকে সন্ধ্যে। গনগনে সূর্যের আলোয় পুড়ছে। পালাবে যে তার জো নেই, যতদূরে চোখ যায় দিগন্তরেখা ঘিরে আছে চক্রব্যূহের মতো। গাছপালাও একটা নেই যে তাপ শুষে নেবে। যা ছিল পুড়তে পুড়তে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। থাকার মধ্যে আছে একটা পথ। বাড়িটার সামনে দিয়ে সোজা চলে গেছে উত্তর থেকে দক্ষিণে। খালি চোখে তাকে দেখা যায় না। আগুনের আঁচ থেকে বাঁচতে সেটা যেন মাটির ভেতর যতখানি পারে সেঁধিয়ে যেতে চেয়েছে। তবু যারা জানে তারা জানে যে আছে ওইখানে একখানা পথ। অবশ্য যে পথ দিয়ে কেউ চলে না, তাকে পথ বলা চলে কি না সেই নিয়ে পদ্মরানী অনেক ভেবেছে। রোজই ভাবে। যেমন এখন ভাবছে। বারান্দায় বসে বসে, অদৃশ্য পথটার দিকে চোখ মেলে রেখে। বারান্দায় বসার সময় শুধু এইটুকু। সারাদিন ঘরের বাইরে বেরোনো যায় না। দরজা জানালায় খিল এঁটে মোটা চটের বস্তা ঝুলিয়ে রাখতে হয়। আর ঘণ্টায় ঘণ্টায় জলের ছিটে দিতে হয়। তাতে যদি গায়ে ফোসকা পড়া এড়ানো যায়। সূর্য দিগন্তের নিচে নেমে যাওয়ার  পরও কিছুক্ষণ চারদিকটা গনগনে হয়ে থাকে। তারপর চোরের মতো খিল খুলে পা টিপে ট

The Gift

পরশু সন্ধ্যেবেলা

Image
বাকি সবাই যেটা করে, নিজে সে কাজটা না করার ইচ্ছে সবারই জীবনে কখনও না কখনও হয়। আমার এ’রকম প্রথম যে ইচ্ছেটা (বা অনিচ্ছে বলাই উচিত হবে বোধহয়) এখন মনে করতে পারি সেটা হল যে আমি কোনওদিন বিয়ে করব না। স্কুলের মাঝামাঝি নাগাদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তারপর হরমোনের তাগিদে বিয়েতে নিমরাজি হলেও মন বলল, সেটল বাবা করছি না কিছুতেই। ঘুরে ঘুরে বেড়াব সারা পৃথিবী। আজ আইসল্যান্ড তো কাল কেপটাউন তো পরশু মালসেজঘাট। শেষে যখন ফুটো প্যারাশুট গুটিয়ে দিল্লিতে এসে নামতে হল তখনও আমার শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়নি। বুক ফুলিয়ে বললাম, জীবনে আর যা-ই করি না কেন, সি আর পার্কের ওই বাঙালি ঘেটোতে ঢুকছি না কিছুতেই। (তখনও যত্রতত্র ‘ঘেটো’ জাতীয় শব্দপ্রয়োগের রাজনৈতিক অসুবিধেটা হৃদয়ঙ্গম হয়নি।) ল্যাজ গুটিয়ে ‘সুরভি টেম্পু সার্বিস’ লেখা গাড়িতে চড়ে গুটি গুটি সি আর পার্কে এসে ঢুকেছি তাও হয়ে গেল ছ’বছর। এখন সি আর পার্ক ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার কথা হলে বুক ধড়াস ধড়াসও করে। যদিও আমি জানি থাকার জন্য সি আর পার্ক অতি খারাপ জায়গা। তার প্রধান কারণটা এর অবস্থান। সি আর পার্কে যে দিক দিয়েই ঢুকতে যান না কেন জ্যামে আপনাকে পড়তে হবেই। আশেপাশে মেট্রো স্টেশন

সাপ্তাহিকী

Image
I know now, what I didn't know then, that affection can't always be expressed in calm, orderly, articulate ways; and that one cannot prescribe the form it should take for anyone else.                                                                                 — Magda Szabó, The Door বোকো হারামের কবল থেকে। The fight against Guantánamo.  সেই ফাইটের প্রধান কাণ্ডারি মারা গেলেন সদ্য। When do you give up on treating a child with Cancer?  There is no such thing as Free will. But we’re better of believing in it anyway.  একেবারে একমত। বিশেষ করে দ্বিতীয় লাইনটার সঙ্গে। কোকা কোলা -র কোকাটুকু সত্যি সত্যি কোকেন থেকে এসেছে। জানতেন? যে যাই বলুক না কেন, আমি কোনওদিন চায়ের কাপে চায়ের আগে দুধ ঢালিনি, ঢালছি না, ঢালবও না। সংশোধনের উপায় হিসেবে অপরাধবোধে সুড়সুড়ি দেওয়াটা আমি কেন যেন ঠিক নিতে পারি না। অবশ্য কেউ বলবে তাতে যদি কাজ দেয় ক্ষতি কী? (লিংক পাঠিয়েছে শ্রীমন্তী) ‘আয়ান র‍্যান্ড’ যে ছদ্মনাম জানতাম না।  এ সপ্তাহের গান।

A - Z book tag

Image
উৎস গুগল ইমেজেস এই পঁয়ত্রিশ বছরে আমি যে দুটো সত্যিকে কখনও মিথ্যে হতে দেখিনি তারা হচ্ছেঃ ১। একটা কাজ করতে আমার নিজের যতটা সময় লাগবে মনে হয়, আসলে সময় লাগে তার আড়াই কিংবা তিন গুণ।  ২। যে কাজে যত বেশি সময় ঢালার জন্য প্রস্তুত থাকি, সে কাজে তত বেশি সময় লাগে। অর্থাৎ, ডেডলাইন না থাকলে এ জন্মে আমার কোনও কাজই শেষ হত না । যেমন ধরা যাক, অবান্তরের পরবর্তী যে পোস্টটা ছাপার কথা, সেই কথাটা ঝুলে আছে গত চার মাস ধরে। আগের সাপ্তাহিকী ছাপার পর “এইবার হয় ওই পোস্টটা ছাপব না হলে আর কিছুই ছাপব না” বলে মাটি কামড়ে পড়লাম, আর অমনি আমাদের এসি খারাপ হয়ে গেল।  এই বাজারে দিল্লিতে এসি খারাপ হওয়া মানে হচ্ছে লেভেল থ্রি এমারজেন্সি। সে এমারজেন্সি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে, কিন্তু নতুন পোস্ট করার যে টাইমলাইনটা মাথার ভেতর ছিল সেটা গোলমাল হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম আজ সেটা পোস্ট করা যাবে, নিদেনপক্ষে কালকে, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সোমবার টার্গেট করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।  কিন্তু ততদিন অবান্তরকে খালি ফেলে রাখা ভালো দেখায় না। তাই একটা ফাঁকিবাজি পোস্ট করছি। ইন্টারনেটে ভেসে বেড়ানো লক্ষ লক্ষ ট্যাগ থেকে একটা তুলে নিচ্ছি

সাপ্তাহিকী

Image
এরকম একটা জানালা আর জানালার বাইরে অমন দৃশ্য যদি থাকত। উৎস এরা বলছে আমি নাকি 'বুক নার্ড'। পনেরো বছরের উইলিয়াম হারিয়ে যাওয়া মায়ান শহর আবিষ্কার করে ফেলেছে। কী করে করেছে সেটা ভালো করে বোঝা আমার এই পঁয়ত্রিশ বছরের কচি ব্রেনে সম্ভব নয়। আপনারা নিজেরা পড়ে নিন। আমি জানতাম, দোষ আমার নয়। তা বলে বাবামা’র সম্পর্কে এইরকম সত্যি আবিষ্কার করতে হয়নি ভাগ্যিস। Bike in a backpack. ব্যাংগালোরের এক ডিজাইন কোম্পানির সৃষ্টি। এই লিস্টের প্রথমে যে পাহাড়টার নাম, তার চুড়োয় আমি সর্বক্ষণ চড়ে বসে থাকি। মাকাল ফলের উল্টোটা যদি কিছু থাকে তবে এই বাড়িগুলো সেই। সব বাণীগুলোর সঙ্গে আমি একমত নই, তবে ক্যালিগ্রাফিটা চমৎকার। এত কায়দার জায়গায় বসে পড়তে গেলে পড়ার বদলে আমি ঘুমিয়ে পড়ব। তেরোটার একটা প্রশ্নও আমরা কেউ কাউকে করিনি। কপালে যে কী আছে কে জানে। আনারস ১। আনারস ২। আউগস্‌বার্গ এগিয়ে আছে। কোনটা আসল কোনটা নকল? এ সপ্তাহের গান।

কিন্ডল

গতমাসে উইন্ডফল গেন হয়ে দুজনের ব্যাংকেই কিছু বাড়তি টাকা এসে গেল। টাকাটা দিয়ে দরকারি অদরকারি অনেক কিছু করা যেত। বেড়াতে যাওয়া যেত। রান্নাঘরের ননস্টিক বাসনকোসনের একটিকেও আর চোখের মাথা না থেকে ননস্টিক বলা যায় না, ছাত্রাবস্থার দু’লিটারের প্রেশার কুকারে মাংসের সঙ্গে আলু দিলে ঢাকনা বন্ধ হয় না - সে সব সমস্যার সমাধান করা যেত, কিন্তু সেসবের আমরা কিছুই করলাম না। কারণ কী করা যায় প্রশ্নটা যে মুহূর্তে মুখ থেকে বেরিয়ে দুলতে দুলতে চোখের সামনে এসে দাঁড়াল, সঙ্গে সঙ্গে উত্তরটাও এসে গেল। আর আমরা কিন্ডল অর্ডার করে ফেললাম। পাঁচ মিনিটের মধ্যে। টিভি, ফ্রিজ, এসি, ক্রোমকাস্ট কেনা, এমনকি ভাড়াবাড়ি পাল্টানো নিয়েও এত ভাবিনি যত কিন্ডল কেনা নিয়ে ভেবেছি। ভেবে ভেবে মাথা খারাপ করেছি, নিজেরা রিসার্চ করে পাগল হয়েছি, কিন্ডলওয়ালা লোকদের খুঁচিয়ে পাগল করেছি। উইশলিস্ট থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ বই (কিছু পড়া হয়েছে কিছু হয়নি), যোগব্যায়ামের মাদুর (যেটা গত দু’বছরে সাত বার ব্যবহার হয়েছে), ওজন মাপার মেশিন (যেটার খেলনায় পর্যবসিত হয়েছে), ট্র্যাক প্যান্টস (ভবিতব্য জানতে হলে আগের দুটি আইটেম দর্শনীয়), টিফিন বাক্স (যেটার ঢাকনা বন্ধ করা য

লেদার

সঙ্গে থাকার নানারকম সংজ্ঞা হয়। আর সেসব সংজ্ঞা অনুযায়ী গুনতিও নানারকম হয়। যদিও সেদিন আমরা জানতাম না যে আমরা কখনও একসঙ্গে থাকব, তবু পরে যা যা ঘটেছে ওই দিনটি না থাকলে সে সবের কিছুই ঘটত না, এই যুক্তিতে দু’হাজার নয় সালের সেপ্টেম্বর মাসের ওই দিনটা থেকেই যদি গুনতি শুরু করি তাহলে আমি অর্চিষ্মানের সঙ্গে আছি সাড়ে ছ’বছরের সামান্য বেশি সময়।  আবার ওই বছরেরই মাসতিনেক পরের ডিসেম্বর মাসের শীতকাতর দিনটা থেকে যদি গুনি, যেদিন সকাল থেকে আকাশে ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ, বাতাসে দূষিত কুয়াশার ছায়া বুঝতে দিচ্ছে না দিনটা ঠিক কোনদিকে গড়াবে, কিন্তু বিকেলসন্ধ্যে জুড়ে নদীর ধারে হেঁটে, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে, থাই রেস্টোর‍্যান্টে গ্রিন কারি আর রাইস খেয়ে গরম টু গো কফির কাপে হাত সেঁকতে সেঁকতে যখন অর্চিষ্মান আমাকে বাসস্ট্যান্ডে ছেড়ে দিতে এল, তখন মেঘকুয়াশা কেটে আকাশ একেবারে দ্বিধাহীন নীল, আর তাতে ফুটে আছে নিঃশঙ্ক তারা - সেই দিনটা থেকে যদি হিসেব করা হয় তবে আমরা একসঙ্গে আছি সাড়ে ছ’বছরের সামান্য কম সময়। আর যদি এইসব সংজ্ঞায় আপনার আস্থা নয়া থাকে, যদি আপনি বিশ্বাস করেন ওইসব নিজেদের হয়ে নিজেরাই নেওয়া “এইবার আমরা একসঙ্গে থাকব”

Writing Tag

Image
উৎস গুগল ইমেজেস লোকের লেখা পড়তে তো আমার ভালো লাগেই, কিন্তু লোকে কী করে লেখে সেটা পড়তেও সমান ভালো লাগে। কখন লেখে, কোথায় লেখে, টানা লেখে না লিখতে লিখতে বার বার জল খেতে ওঠে এইসব। যাঁরা বিখ্যাত লেখক তাঁদের সৃষ্টির প্রক্রিয়ার কথা তো জানতে ইচ্ছে করেই, কিন্তু ইন্টারনেটের সুবিধে হচ্ছে আমার মতো অলেখকরাও চাইলে নিজেদের কথা নিজেরা বলতে পারি। 'রাইটিং ট্যাগ বলে একটা প্রশ্নপত্র আছে ইন্টারনেটে, আমি সেটা সলভ্‌ করে ছেপে দিলাম। যেহেতু ট্যাগটা ওদের দেশে তৈরি, তাই তাতে নানারকম আগডুম বাগডুম প্রশ্ন ছিল, যেমন ‘হাতের লেখা' প্রিন্টেড না কার্সিভ?' যেগুলো আমার ক্ষেত্রে অবান্তর। কাজেই আমি সেগুলো বাদ দিয়ে নিজে কিছু প্রশ্ন যোগ করেছি। আরও একটা ডিসক্লেমার, আমি এখানে ব্লগিংকে রাইটিং-এর সঙ্গে একাকার করে দেখেছি, আশা করি সত্যিকারের রাইটাররা রাগ করবেন না। ***** ১। লেখার আইডিয়া আসে কোথা থেকেঃ অন্যের লেখা, গল্পের বই, রাস্তাঘাট থেকে। অসংখ্য, অগুন্তি আইডিয়া। আমার সমস্যাটা আইডিয়ার অভাবের নয়। আমার সমস্যা হল সেই আইডিয়াগুলোর পেছনে সময় না দেওয়ার। ২। আইডিয়ার পাওয়ার পরঃ লেখা শুরু হয়। একটা ব্যাপার আ