এ মাসের বই/ অক্টোবর ২০১৭



আমার প্রিয় বুকব্লগাররা সকলেই অক্টোবর মাসজুড়ে হইহই করে হ্যালোউইন উদযাপন করলেন। এত আনন্দ করে সবাইকে ভূতের বই পড়তে দেখে আমি আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। বহু বছর পর পরপর দুখানা হরর নভেল পড়ে ফেললাম। 


উৎস গুগল ইমেজেস

সেই দু’হাজার পনেরোতে বেরোনোর সময়েই জশ ম্যালেরম্যান-এর বার্ড বক্স-এর নাম শুনেছিলাম, কিন্তু তারপর যা হয়, বোকার মতো রিভিউ পড়তে গেছি। 

রিভিউর ব্যাপারে একটা জিনিস খেয়াল করে দেখেছি, লক্ষ লক্ষ প্রশংসাসূচক রিভিউর মধ্যে যদি একখানা নেগেটিভ রিভিউ থাকে, মন সবসময় সেইটাকেই আঁকড়ে ধরে।  যারা প্রশংসা করছে তাঁরা পা চাটা স্তাবক, ঝাঁকের কই, যে গালি দিয়েছে সে-ই সততার প্রতিমূর্তি।

এই ফাঁদে পড়ে আমার বার্ড বক্স পড়া পিছিয়ে গেল দু’বছর। তারপর মাসের শুরুতে একজন বুকব্লগারের হ্যালোউইন রেকোমেন্ডেশনে বার্ড বক্স-এর নাম শুনে কী মনে হল, কিছু না ভেবে কিনে ফেললাম। তার পরের তিনঘণ্টায় দু’শো চুরানব্বই পাতার বইটা পড়েও ফেললাম। 

বার্ড বক্স-এর গল্প চলে দুটো সুতো ধরে। প্রথম সুতো চার বছর আগের, যখন এক অদ্ভুত ঘটনার কথা প্রথম লোকের কানে আসছে। নিতান্ত স্বাভাবিক অবস্থা থেকে লোকজন মুহূর্তের মধ্যে পাগল হয়ে গিয়ে প্রথমে আশেপাশের লোকজনকে আক্রমণ করছে, খুন করছে এবং ফাইন্যালি নিজেকে মারছে। কেন এ ঘটনা ঘটছে তার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি, শুধু ধরে নেওয়া যায়, এইরকম হিংস্র হয়ে ওঠার আগে তারা কিছু একটা দেখেছিল। কাজেই একমাত্র প্রতিকার হচ্ছে দেখা আটকানো। অর্থাৎ সবাই যে যার জানালাদরজা বন্ধ করো, স্বেচ্ছায় অন্ধ হও। অ্যামেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে যখন এ ঘটনার আঁচ এসে পৌঁছল, তখন গল্পের প্রধান চরিত্র ম্যালরি সদ্য আবিষ্কার করেছে যে সে গর্ভবতী। 

প্রথমে যখন লোকজন প্যানিক করতে শুরু করল, জানালায় কম্বল ঝোলাল, চোখে ফেট্টি বাঁধল, তখনও ম্যালরি ব্যাপারটাকে হেসে উড়িয়ে দিচ্ছিল কিন্তু অচিরেই আর ব্যাপারটা হাসির রইল না। তারপর এমন একটা ঘটনা ঘটল যে ম্যালরিকে নিজের বাড়ি ছেড়ে উঠতে হল এক ‘শেল্টার হাউস’এ। যেখানে তারই মতো আরও চারজন পুরুষ আর একজন মহিলা (পরে দু’জন হবে) প্রাণ বাঁচানোর তাগিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। 

গল্পের দ্বিতীয় সুতো বর্তমানে, যখন আমাদের চেনা সভ্যতা সম্পূর্ণ ধ্বসে গেছে। শেল্টার হাউসে ম্যালরি একা, সঙ্গে দুটি চার বছরের ছেলে মেয়ে। চার বছর ধরে নেওয়া প্রস্তুতির পরীক্ষা সমাগত। ছেলে এবং মেয়েটিকে নিয়ে ম্যালরি, বলা বাহুল্য তিনজনের চোখেই কালো মোটা কাপড়ের ঢাকনা, বেরিয়ে পড়েছে, এই ভয়ানক জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচতে। 

ভয়ের সিনেমা দেখলে যত ভয় লাগে, দৃশ্য দেখিয়ে বা শব্দ শুনিয়ে ভয় পাওয়ানো যত সহজ, লিখে ঘাড়ের রোম খাড়া করা অত সহজ নয়। অজানা আতংক ভাষায় ফুটিয়ে তুলতে ম্যালরম্যান অধিকাংশ সময়েই সফল। তাছাড়া শেল্টার হাউসে একসঙ্গে ছ’সাতজন অচেনা লোকের একসঙ্গে থাকার ডায়নামিক্সও বিশ্বাসযোগ্য। একবার পড়তে পড়তে আমি অর্চিষ্মানের টি শার্ট পর্যন্ত খিমচে ধরেছিলাম, আর বাথরুমের ভেজানো দরজার ফাঁক দিয়ে আসা আলোর দিকে তাকাতে ভয় লাগছিল।

হরর গল্পের পৃষ্ঠপোষকরা সকলেই বলেছেন, (এমনকি যাঁদের বার্ড বক্স ভালো লাগেনি তাঁরাও) ম্যালরম্যানের প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে মৌলিক। 

*****


উৎস গুগল ইমেজেস

সামাজিক পালার ঝড়ের মুখে ঘরানা যাতে উড়ে না যায় সেটা আমার অন্যতম মাথাব্যথা বটে, কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে ঘরানারও কুলীনঅকুলীন আছে। গোয়েন্দাগল্প নিয়ে লোকে যতই নাক বেঁকাক না কেন, গোয়েন্দাগল্পের বাজার এখনই ওঠার কোনওরকম সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না, বরং হাওয়া উল্টো কথাই বলে। সামাজিক পালাকারেরাও অনেকদিন সামাজিক পালা লেখার পর মুখ বদলাতে হলে প্রথমে গোয়েন্দাগল্পের দিকেই হাত বাড়ান। 

এ সৌভাগ্য সব ঘরানার হয় না। আমি খবর রাখি না বলে কি না জানি না, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভৌতিক বা হরর কাহিনী বাংলায় এখনও লেখা হয় কি? একসময় হত জানি। শরদিন্দুর বরদা, মনোজ বসুর বেশ কয়েকটি গায়ে কাঁটা দেওয়া গল্প বারবার সানডে সাসপেন্সে চালিয়ে শুনি।

তবে এ অবহেলা শুধু বাংলাদেশে ঘটছে তেমন নয়। সাহেবমেমেদের দেশেও নাকি এমনটাই ঘটছে। যে ইংরিজি ভাষার সাহিত্যে এডগার অ্যালান পো জন্মেছিলেন, তার হরর ঘরানার একেবারে দুচ্ছাই অবস্থা। অন্তত এই হ্যালোউইনের বাজারে সে রকমই শুনতে পেলাম। একা কুম্ভের মতো দাঁড়িয়ে আছেন স্টিফেন কিং। তাই তিনি যাঁকে  "the finest writer of paperback originals in America today" খেতাব দিয়েছিলেন, সেই মাইকেল ম্যাকডাওয়েলের লেখা ‘দ্য এলিমেন্টালস’ আর গড়িমসি না করে পড়ে ফেললাম। 

মাইকেল ম্যাকডাওয়েল ইংরিজি সাহিত্যে হার্ভার্ড থেকে বি এ, এম এ করেছেন, ব্র্যান্ডেইস থেকে ইংরিজিতে পি এইচ ডি করেছেন, (ডিসার্টেশনের বিষয় ছিল American Attitudes Toward Death, 1825–1865) বোস্টন আর টাফটস-এ স্ক্রিপ্ট রাইটিং পড়িয়েছেন এবং সারা জীবন নামে-ছদ্মনামে মিস্ট্রি, সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, গথিক হরর লিখে গেছেন। তিনি বলেছিলেন, “I am a commercial writer and I'm proud of that. I am writing things to be put in the bookstore next month. I think it is a mistake to try to write for the ages.”

পঞ্চাশ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনের সব সৃষ্টির মধ্যে বিখ্যাততম নিঃসন্দেহে ম্যাকডাওয়েলের সাদার্ন গথিক উপন্যাস ‘দ্য এলিমেন্টালস’। 

এলিমেন্টালস-এর গল্প শুরু হচ্ছে একটি ফিউন্যারেল চলাকালীন। ফিউন্যারেলের দৃশ্য দিয়ে গল্প শুরু করার একটা যুক্তি অ্যান্থনি হরোউইটজ তাঁর ‘ম্যাগপাই মার্ডারস’-এ উল্লেখ করেছেন। একসঙ্গে অনেক চরিত্রের সঙ্গে পাঠকের আলাপ করিয়ে দেওয়া যায়। এলিমেন্টালসের ফিউনেরাল সিনেও আমরা মোটামুটি সব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের সঙ্গে পরিচিত হই। অ্যালাবামার দুই বড়োলোক এবং ঐতিহ্যশালী পরিবার, স্যাভেজ আর ম্যাকক্রে। বিবাহসূত্রে এবং প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় আবদ্ধ। এই স্যাভেজ পরিবারের ম্যাট্রিয়ার্কের ফিউনেরালে কিছু অদ্ভুত এবং ভয়ংকর আচারের পরিচয় আমরা পাই, যেটা শতশত বছর ধরে স্যাভেজ পরিবারে চলে আসছে। ফিউনেরালের পর দুই পরিবারের লোক সিদ্ধান্ত নেয়, এই শোক থেকে সেরে উঠতে সবাই মিলে বেলডাম বলে একজায়গায় বেড়াতে যাওয়া হবে। বেলডাম হচ্ছে গালফ কোস্ট-এ বিচ্ছিন্ন একফালি দ্বীপ। সে দ্বীপে তিনটি ভিক্টোরিয়ান প্রাসাদ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। একটির মালিক স্যাভেজ-রা, একটির ম্যাকক্রে-রা। আর তিননম্বর বাড়ি কারওর নয়। কেউ থাকে না। থাকা সম্ভবও নয়। খোলা জানালাদরজা দিয়ে বালি ঢুকে এসে গ্রাস করছে বেলডাম-এর ‘থার্ড হাউস’কে।

এলিমেন্টালস-এর প্রধান ভালো বিষয়টা হচ্ছে, ঘরানা সাহিত্যে সাধারণত যেটা কমজোরি হয়, বইটার লেখা। অসম্ভব শক্তিশালী। বেলডাম-এর নিঃসঙ্গতা, অ্যালাবামার ছায়াহীন রোদ, তাপ, এ সব শুধু প্রেক্ষাপট নয়, যেন জ্যান্ত চরিত্র। স্যাভেজ এবং ম্যাকক্রে পরিবারের দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিক, বিনীত ব্যবসায়ী, অবহেলিত অ্যালকোহলিক ম্যাট্রিয়ার্ক, বোহেমিয়ান বাবা এবং কিশোরী মেয়ে এবং এদের পারস্পরিক সম্পর্ককে, একটা ভূতের গল্প বলার সঙ্গে সঙ্গে ছবির মতো ফুটিয়ে তোলা, দু’শো বিরানব্বই পাতার মধ্যে, লিখতে না জানলে সম্ভব নয়।

এলিমেন্টালস-এর বিরুদ্ধে প্রধান যে অভিযোগটা আনা যায় সেটা হচ্ছে মৌলিকতার অভাব, যে মৌলিকতা জশ ম্যালেরম্যান বার্ড বক্স-এ দেখিয়েছেন। সব আঁশ ছাড়িয়ে নিলে দ্য এলিমেন্টালস শেষমেষ ভূতুড়ে বাড়ির গল্প বই আর কিছু নয়। দ্বিতীয় খুঁত, পেসিং। গোড়ায় অসম্ভব এলানো, শেষে অসম্ভব হুড়োহুড়ি। আর তিন নম্বর যে খুঁতটা ধরা যায়, সেটা বললেই অনেকে হাঁউমাউ করে উঠবে, বলবে, “তখন ওইরকমই হত”। সাদা পরিবারের লোকের ভালো কালো চাকর, তাকে ক্রমাগত ‘ব্ল্যাক উওম্যান’ বলে উল্লেখ করা, এবং প্রভুদের জন্য প্রাণ দেওয়ার জন্য সেই চাকর একেবারে বলিপ্রদত্ত। 

***** 


উৎস গুগল ইমেজেস

জেফ্রি ইউজেনাইডিস-এর মিডলসেক্স পড়েছিলাম অনেকদিন আগে, ভালোও লেগেছিল। ভদ্রলোকের বাকি উপন্যাসগুলোও পড়ার ইচ্ছে ছিল, বিশেষ করে তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য ভার্জিন সুইসাইডস, কিন্তু হয়ে ওঠেনি। এ মাসে হাতে বইটা পেয়ে আবার পুরোনো ইচ্ছেটা চাগাড় দিয়ে উঠল, আর পড়ে ফেললাম। 

ভার্জিন সুইসাইডেস-এর ঘটনা ঘটছে সত্তরের দশকের মিশিগান রাজ্যের এক শহরতলির এক শান্ত পাড়ায়। সে পাড়ায় থাকেন স্থানীয় হাইস্কুলের অংকের মাস্টারমশাই মিঃ রোনাল্ড লিসবন, তাঁর স্ত্রী মিসেস লিসবন, আর তাঁদের পাঁচ মেয়ে, টেরেসে (১৭), মেরি (১৬), বনি (১৫), লাক্স (১৪) এবং সেসিলি (১৩)। একদিন সেসিলি বাথটবে হাতে ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ডাক্তাররা সেসিলিকে বাঁচিয়ে তোলেন। কিছুদিন পর সেসিলি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে মারা যায়। ঘটনার ঠিক একবছর পর, টেরেসে, মেরি, বনি এবং লাক্স একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এবং মেরি ছাড়া সকলেই সফল হয়। হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার এক মাসের মধ্যে মেরি আত্মহত্যা করে। এর পর মিস্টার এবং মিসেস লিসবন পাড়া ছেড়ে চলে যান।

ভার্জিন সুইসাইডস-এর গল্প বলছে ওই পাড়ার কয়েকজন ছেলে, ঘটনার সময় যারা কিশোর ছিল। গল্প এগোয় স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে। এভিডেন্স নম্বর এক, দুই, তিন, এগারো, সতেরো দিয়ে বক্তারা লিসবন বোনেদের ডায়রি, পাড়ার পুরোনো বাসিন্দাদের সাক্ষাৎকার ইত্যাদি পাঠকের সামনে পেশ করতে থাকে। 

মিডলসেক্স-এও লক্ষ করেছিলাম, ভার্জিন সুইসাইডস-এও আছে ব্যাপারটা। ইউজেনাইডিসের গল্পের মুখ্য চরিত্র আসলে একটা অঞ্চল, এক্ষেত্রে একটা পাড়া, এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই পাড়ার লোকজন এবং পরিপার্শ্বের বদলে যাওয়া। তাই লিসবন বোনেদের গল্প বলতে বলতে মাঝেমাঝেই অন্য কোনও চরিত্রের পিছু ধাওয়া করেন লেখক এবং তাকে নিয়ে গোটা পনেরো পাতা কাটিয়ে দেন। গল্প বলার গুণে এটা ক্লান্তিকর হয় না, কিন্তু চোখে পড়ে। তাছাড়াও ইউজেনাইডিসের বাক্য দীর্ঘ এবং জটিল, তাই শব্দবাহুল্যের অনুভূতি জাগায়। 

ভার্জিন সুইসাইডস আমার ভালো লেগেছে। একটা সময়কে, একটা অঞ্চলকে লেখক নিখুঁত ধরেছেন। অসহায় বাবার ভূমিকায়, অত্যাচারী মায়ের চরিত্র, এমনকি হরমোনে টইটম্বুর পাড়ার অল্পবয়সী ছেলেদের চরিত্রচিত্রায়ণ নিখুঁত। এবং সেটা নিখুঁত করতে গিয়েই ইউজেনাইডিস কিছু ক্রিটিকের রোষের মুখে পড়েছেন। একদল চোদ্দ, পনেরো বছরের ছেলের চোখ দিয়ে আরেকদল চোদ্দ পনেরো বছরের মেয়েদের (যে সব মেয়েদের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য উক্ত ছেলেরা উন্মুখ,) দেখাতে গেলে যা হয় তাই হয়েছে, মেয়েরা একএকটি খোলসে পরিণত হয়েছে। তাদের নাকচোখমুখ, শরীরের বিভঙ্গ এবং যৌনাচার ছাড়া আর কিছু আমরা জানতে পারি না। গল্পে লিসবন বোনেদের পারস্পেক্টিভ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।

যা স্বাভাবিক সাহিত্যে তা-ই সর্বদা দেখানো উচিত, না উচিত জিনিসকে স্বাভাবিকের মধ্যে ঢোকানো উচিত, সে বিষয়ে আমি নিজে এখনও ধোঁয়াশায় কাজেই এই বিষয়ে কিছু মত দিচ্ছি না।



Comments

  1. virgin suicide niye sophia copolla-r ekta darun cinema ache.amar khub priyo.college er ek bondhu dekhiyechilo ..dekhben possible hole

    ReplyDelete
  2. ar apnar lekha Do Androids Dream of Electric Sheep er review porar ichche roilo..ager mase boelchilen likhben eta niye

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, ওটার লাস্ট কয়েকটা পাতা এখনও পড়া হয়নি, ঋতম। পড়ে নিয়েই লিখব। সোফিয়া কপোলার সিনেমাটা একটু একটু দেখছিলাম ইউ টিউবে বইটা শেষ করার পর। আমারও দেখার ইচ্ছে আছে।

      Delete
  3. প্রথম দুটো উপন্যাস আমার কাছেও রেকমেন্ডেড হয়ে এসেছিল। হরর, বিশেষত স্লো-বার্নিং নন-সুপারন্যাচারাল হরর উপন্যাস আজকাল সযত্নে এড়িয়ে চলি বলে আর পড়ার চেষ্টা করিনি। তবে আপনার লেখা পড়ে দ্য বার্ড বক্স-টা পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. বার্ড বক্স আমার ভালো লেগেছে, ঋজু, পড়ে দেখতে পারেন।

      Delete
  4. bird box ta besh interesting laglo- Bratati.

    ReplyDelete
    Replies
    1. কনসেপ্টটা আমার ভালো লেগেছে, ব্রততী।

      Delete
  5. Besh besh. Horror byaparta bhalo lagena bole porina. Tobe The Virgin Suicides boita pore felte hobe.

    ReplyDelete
    Replies
    1. পড়ে ফেলুন, অরিজিত।

      Delete

Post a Comment